যার চাহিদা যত কম, সে তত বেশি সুখী।আর যার চাহিদা যত বেশি, সে ততই বেশি অসুখী।
আসসালামুআলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
পোষ্টের ভেরিয়েশন ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
যার চাহিদা যত কম, সে তত বেশি সুখী।আর যার চাহিদা যত বেশি, সে ততই বেশি অসুখী। |
---|
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। তবে এ বিষয়টি নিতান্তই আমাদের সমাজে এবং ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে আসছে।আসলে এ বিষয় গুলো আমি নিজেও উপলব্ধি করি। সেই হিসেবে নিজের মনে উপলব্ধি কৃত কিছু কথা আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। সত্যি বলতে যে বিষয়টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেটি হচ্ছে যার চাহিদা যত কম, সে তত বেশি সুখী।আর যার চাহিদা যত বেশি, সে ততই বেশি অসুখী।
বন্ধুরা এই বিষয়টি আসলে কার কার সাথে কেমন ভাবে ঘটেছে সেটা আমি জানি না। তবে আমার মাঝে বা আমার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বার ঘটেছিল সেই হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের এই কথাগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করছি আপনারা পুরো ব্লগটি পড়লে হয়তো ভালো লাগতে পারে।
বর্তমানে দেখা যায় আমাদের চাহিদা অনেক বেশি থাকে।যেমন কারো কাছ থেকে কিছু পাবো, কেউ আমাকে কিছু দিবে, অথবা কেউ আমাকে কিছু কেন দিলো না,আবার আমি যতটুকু পেতাম তার চাইতে কম কেন দিল, আমার খুব নিকট আত্মীয় সে আমাকে দেওয়া উচিত ছিল, কোন আপনজন আমাকে না দিয়ে অন্য কাউকে কেন দিল, আমি যোগ্য ব্যক্তি আমাকে না দিয়ে অন্যকে কেন দিল এরকম হাজারো চাহিদা মনে ঘোরাফেরা করে। আর এটাই নিজের দুঃখের বা অসুখী হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কারণ আমার তো সেই সব ব্যক্তির কাছে চাহিদা রয়েছে, কিন্তু সে যখন আমাকে দিল না তখন আমার কাছে খুবই কষ্ট লাগে। আবার অনেক সময় এই কষ্টকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের মধ্যে আঘাত আসে। আবার এই একই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয় সম্পর্কের মধ্যে। যেমন সে আমাকে দিলো না আমিও তাকে দিব না। সে আমার জন্য কোন কিছু করেনি আমিও তার জন্য কোন কিছু করবোনা। এই রকম অসংখ্য মনোভাব সৃষ্টি হয়, শুধুমাত্র বেশি চাহিদা থাকার কারণে ও চাহিদা পূরণ না হওয়ার কারণে।
আর যার চাহিদা কম সে খুবই সুখী। কারণ তার কারো কাছে তেমন চাহিদা থাকেনা। কেউ কিছু দিলে সে শুকরিয়া আদায় করে। আবার না দিলে তার কোন কিছু আসে যায় না। কোন লোভ কাজ করে না তার মধ্যে। তার যা আছে সে তাই নিয়েই সুখি।কেউ তাকে দিল না দিল এ বিষয়ে তার কোন ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা বা চাহিদা কিছুই নেই। আর এই কারণেই যার চাহিদা কম সে সব দিক থেকে সুখী।
আমি শুধু একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে আপনাদের মাঝে এই কথা গুলো তুলে ধরতে চেয়েছি। আসলে এই বিষয়টি বিভিন্নভাবে ও হতে পারে। যেমন কোন বিজনেস সেক্টরে ও হতে পারে। আবার ব্যক্তি জীবনে অনেক ঘটনা থাকে, যেগুলো পোস্টের মধ্যে তুলে ধরা সম্ভব না। অসংখ্য ঘটনার মধ্যে এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়, যার কারণে আমি মনে করি যার চাহিদা কম সেই সুখী।আর যার চাহিদা বেশি সে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এই রকমই অশান্তির মধ্যে থাকবে এবং অসুখী থাকবে।
তো বন্ধুরা আজকের ব্লগের মর্ম কথা হল নিজেকে সুখী রাখার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে চাহিদা কমিয়ে দেওয়া। নিজের যা আছে তা নিয়ে সুখী থাকা। আর অবশেষে যে যতটুকু পেয়েছে সেটা নিয়ে শুকরিয়া আদায় করা। আর এতে করেই নিজেকে সুখী রাখা সম্ভব।
তো বন্ধুরা আজকের ব্লগটা আপনাদের কেমন লেগেছে, সেটা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। যদি আপনাদের কারো সাথে এই বিষয়ে বা কোন উদাহরণ এর সাথে মিলে যায়,তাহলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।যারা ব্লগটি কষ্ট করে পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | রাইটিং |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
আমি মনে করি আপনি একদম পারফেক্ট কথাগুলো বলেছেন।আসলে চাহিদার মধ্যে মানুষের সুখ এবং দুঃখ হওয়ার অনেক বেশি সম্পর্ক রয়েছে।অনেক মানুষ আছেন হাজার টাকা থাকার পরেও কিন্তু তাদের কুলাই না।এসব মানুষ কখনো সুখী হতে পারে না।আবার অনেক মানুষ আছে অল্প খাবারের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি তেমনি অল্প টাকার মধ্যেও সুখী হয়।যার চাহিদা যত কম সেই তত বেশি সুখী।অনেক সুন্দর একটি টপিক্স তুলে ধরেছেন বেশ ভালো লেগেছে।
পোস্টটি পড়ে খুব চমৎকার একটি উপলব্ধি মূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1622623972084047874?s=20&t=5aK8ZsC3Ql4OABFzK8BiBQ
জি ভাই, খুব সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আসলে মানুষের চাহিদা যতো কম থাকে ততো সুখী হওয়া যায়। তবে বাস্তবতা হলো একটি চাহিদা পূরণ হলে অনেকগুলো চাহিদা আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হয়। আমাদের সমাজে আরেকটা বড় সমস্যা হলো আমরা অন্য লোকের কোন জিনিস দেখে তা পাওয়ার জন্য খুবই আফসোস করি। নিজের যা আছে তা নিয়ে কখনো সন্তুষ্ট থাকি না। নিজের যা আছে তা নিয়ে যদি সন্তুষ্ট থাকতে পারে তাহলে আমরা প্রকৃত সুখী হতে পারবো। পোস্টটি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
পোস্টটি পড়ে ও উপলব্ধি করে, এত চমৎকার একটি গোছানো মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবসময় সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
আমার নিজের মধ্যেই কিছুদিন যাবত এই যুদ্ধটা চলছে মনে মনে, আসলে কারো কাছ থেকে কোন কিছু পাব এটা আশা করাটাই বোকামি, এটা যখনই মনের মধ্যে আসবে তখনই মানুষ কষ্ট পাবে।
একদম যথাযথ বলেছেন ভাই আমিও এই রকম কিছু আসলে উপলব্ধি করি এবং তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া আমাদের জীবনে চাহিদা যত কম আমরা তত বেশি ভালো থাকতে পারবো। আমাদের অনেক নিকট আত্মীয় হয়তো আমাকে কিছু না দিয়ে অন্য কাউকে দিচ্ছে। এর মানে এই নয় যে সেটা পাওয়ার যোগ্য শুধু আমি। আমরা যদি নিজের যোগ্যতা নিজেই যাচাই করি তাহলে কখনোই ভালো থাকতে পারবো না। অন্যকে যাচাই করতে দিতে হবে এবং নিজের যা কিছু আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদা এই কামনা।
একদম ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যাদের চাহিদা কম তারা জীবনে সুখী হতে পারে। সব সময় মনে রাখতে হবে আমার আয় যদি দশ টাকা হয় তাহলে চাহিদা রাখতে হবে ৬ টাকার।
আপনার পোস্ট এর মধ্যে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো।
একদম যথাযথ একটি উদাহরণ দিয়েছেন ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে যথাযথ একটি মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদানের জন্য।
পোষ্টের শিরোনামটা অসাধারণ লেগেছে ভাই। একদম মনের কথাই বলে দিয়েছেন। আমাদের চাহিদা বা কোন কিছু প্রাপ্তির আশা যত বেশি থাকে আর দিনশেষে ফলাফল যদি সেই মতো না পাই তবে সত্যিই প্রচুর পরিমাণে ভুগতে হয় এবং কষ্ট পেতে হয়। ফলের আশা ত্যাগ করে যদি কর্ম করতে পারি তবেই প্রকৃত সুখ লাভ করা যায়।
একদম ঠিক ভাই,আমাদের চাহিদা বা কোন কিছু প্রাপ্তির আশা যত বেশি থাকে আর দিনশেষে ফলাফল যদি সেই মতো না পাই তবে সত্যিই প্রচুর পরিমাণে ভুগতে হয় এবং কষ্ট পেতে হয়।
ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রকৃত অর্থে আমাদের চাহিদা যত কম হবে আমরা ততো বেশি খুশি থাকতে পারবো আর যখনই আমাদের চাহিদা বাড়তে থাকবে অর্থাৎ আমাদের লোভ বাড়তে থাকবে তখনই আমরা জীবনে অসুখী হতে শুরু করব। কারণ মানুষের চাওয়ার শেষ নেই , মানুষের লোভের সীমা নেই। আর দিন শেষে আমাদের চাহিদা যদি অপূর্ণ থেকে যায় তবে আমাদের ভোগান্তির আর শেষ থাকে না।
বাস্তব কথা বলেছেন ভাই, দিন শেষে আমাদের চাহিদা যদি অপূর্ণ থেকে যায় তবে আমাদের ভোগান্তির আর শেষ থাকে না।
অসাধারণ একটি টপিক্সের উপর আজকে লেখালেখি করেছেন ভাই। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই লেখাটি পড়ে।ব্যক্তি, বিজনেস সব ক্ষেত্রেই এই কথাগুলো প্রযোজ্য এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কয়েকদিন আগে আমি আমার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে এরকম কিছু লিখে পোস্ট করেছিলাম। সেই লেখাগুলোর সাথে আপনার লেখারও বেশ মিল পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বড় বিষয় কে তুলে ধরার জন্য। চাহিদা কম হলেই সুখ বেশি হবে এটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট ঠিক কথা। চাহিদার সাথে সুখের ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক।
জি ভাই ঠিকই বলেছেন, চাহিদা কম হলেই সুখ বেশি হবে এটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট ঠিক কথা। চাহিদার সাথে সুখের ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক।
সুখের আশা করতে গেলে এই জিনিসটা গভীরভাবে বোঝা উচিত আমাদের।