হঠাৎ করেই ফ্যামিলি নিয়ে মুছাপুর ভ্রমণ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
হঠাৎ করেই ফ্যামিলি নিয়ে মুছাপুর ভ্রমণ। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য এসেছি । মূলত প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আর সেই ধারাবাহিকতায় আজকের পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।তো বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মেইন পয়েন্টে ফিরে যাই।
একদিন দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া করে রেস্ট নিচ্ছিলাম হঠাৎ করেই বৃষ্টি বলল যে কোথাও থেকে ঘুরে আসি। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় যাবে। সে বলল যে মুছাপুর কখনো যাওয়া হয়নি, চলো মুছাপুর যাব।সেদিন কিছুটা ফ্রি ছিলাম তাই হুট করে সেই প্ল্যানটি কাজে লাগিয়ে দিলাম। যথারীতি মুছাপুর যাওয়ার জন্য নিজেরা রেডি হচ্ছিলাম এদিক থেকে শালিকাকে জিজ্ঞাসা করা হলো সে যাবে কিনা। তখন সে প্রথমে বলল যাবে না পরে বললাম যে আমি না নিলে কেউ তোকে নিবেও না। তখন সে রাজি হয়ে গেল একসাথে যেতে।
যথারীতি সবাই রেডি হলো নিভৃতকেও তার খালামণি রেডি করিয়ে দিল। নিভৃত তো সবার আগে গিয়েই মোটর সাইকেলে বসে গিয়েছে এবং সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করছে। যাইহোক সবাই রেডি হওয়ার পর আমরা বাইকে করে রওনা দিলাম। আমরা যেখান থেকে রওনা হচ্ছিলাম সেখান থেকে মুছাপুরের দূরত্ব অনেক বেশি। তাই অনেকক্ষণ ড্রাইভ করার পর একটা জায়গা থামলাম নাস্তা করার জন্য। আবার এদিক থেকে নিভৃত কান্নাকাটি করছিল তাই সেখানে দাঁড়িয়ে নিভৃতের জন্যও লেক্সাস বিস্কিট নিয়ে নিলাম।
Location
#Device:S-G,M32
আর বাকিদের কেউ চকবার আইসক্রিম কেউ কোণ আইসক্রিম আর আমি নিজের জন্য কোকাকোলা জিরো সুগার নিয়ে নিলাম।যাইহোক সেগুলো খাওয়ার পরে আমরা আবার রওনা দিলাম মুছাপুরের উদ্দেশ্যে। যদিও মুছাপুর যাওয়ার আগে বাংলাবাজার পার হয়ে একটি বড় ব্রিজ আছে। সেখানেও পিকনিক স্পট এর মতই। সেখানেও অনেক মানুষ ঘোরাঘুরি করতে যায়। তাই সর্বপ্রথম আমরা সেই ব্রিজটি দেখতে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে আমরা ব্রিজের নিচের দিকে নেমে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ফটোগ্রাফি করে উপরে উঠে গেলাম।
Location
#Device:S-G,M32
তারপর বাইকে করে পুরো ব্রিজটি তাদেরকে দেখিয়ে আনলাম। ব্রিজটি লম্বাতে অনেক বিশাল। আর ব্রিজের উপরে বাইকে করে যেতে অন্যরকম একটা ফিলিংস আছে। যাই হোক পরে সেখান থেকে আবার রওনা হয়ে গেলাম মুছাপুরের দিকে। ব্রিজ থেকে মুছাপুরের দূরত্ব প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারের মত হবে। যথারীতি ধীরে ধীরে আমরা মুছাপুরের এরিয়ার ভিতরে ঢুকে গেলাম।
সেখানে গিয়ে প্রথমত যেখানে বাঁধ দেওয়া আছে সেই বাঁধ এরিয়া ঘুরে আসলাম। সেখানে দেখতে পেলাম নতুন নতুন ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছে। তারপর সেখান থেকে গিয়ে আরো একটি এরিয়া ঘুরে বেড়ালাম।তারপর সেখানে কিছুক্ষণ নদীর পাশে বসে দুষ্টামি করলাম নিভৃত সহ। তারপর সেখান থেকে গাছপালা এবং বিভিন্ন দোকান আছে এরকম একটা এরিয়াতে গেলাম। তারপর সেখানে আমরা চটপটি খেলাম কেউ ফুচকা খেলো। আর এদিক থেকে চটপটি ফুচকা খাওয়া শেষে আমরা চা খেলাম। নিভৃতের জন্য ডিম নিলাম সে ডিম খেলো।
আর সেখানের চা টা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। গরুর দুধের চা বলে কথা। আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ, ঘুরাঘুরি শেষ, এবারে চলে আসার পালা। সবাই আবার রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। যাওয়ার সময় যদিও একটা জায়গাতে দাঁড়িয়েছি আসার সময় কোথাও দাঁড়ানো হয়নি। একবারে টান দিলাম একই টানে বাড়িতে এসে পৌছালাম। যদিও আসতে আসতে নিভৃত বাইকের মধ্যে ঘুমিয়ে গিয়েছিল।
Location
#Device:S-G,M32
তো বন্ধুরা এই ছিল হঠাৎ প্ল্যান করে মুছাপুর ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা বাড়াবো না ।আগামীতে ভিন্ন কোন ভ্রমন পোস্ট নিয়ে আবারও ফিরে আসবো সে পর্যন্ত সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন এই কামনায় বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
হঠাৎ করে আপনারা মুসাপুর ঘুরতে গিয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের মত মাঝেমধ্যে আমরাও কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই বাইরে ঘুরতে চলে যাই। আর এই হঠাৎ করে যাওয়া বিষয়গুলো কিন্তু ভীষণ ভালোই লাগে। তাছাড়া মুসাপুর জায়গাটা এমনিতেই খুবই সুন্দর। আর আপনারা সবাই মিলে বেশ মজা করেছেন দেখছি। নিভৃত দেখছি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে। পরিবারের সবাই মিলে কোথাও গেলে অনেক বেশি মজা হয়।
আসলে নিভৃত সেখানে অনেক মজা করেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধন্যবাদ। 🌿,
হঠাৎ করে বৃষ্টি আপুর কথায় ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। বোঝাই যাচ্ছে ঘুরাঘুরির মুহূর্তে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। এরকম মুহূর্ত বার বার আপনাদের জীবনে ফিরে আসুক এই কামনা করি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য।
আসলে ও সেখানে কখনো যায়নি তো তাই ঘুরে আসা আর কি।ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন।
পরিবারসহ ঘুরতে যাওয়ার ফিলিংসটা কিন্তু একদম অন্যরকম ভাইয়া। আর তাও যদি হয় প্রিয় মানুষটির সাথে তাহলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবে নদীর মধ্যে বড় ব্রিজ গুলোতে ঘুরতে বেজায় ভালো লাগে। আর ছোট বাচ্চারা যদি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় থাকে তাহলে তাদের সাথে দুষ্টুমি করতে বেশ ভালো লাগে। যাইহোক সব মিলিয়ে আপনার মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার দারুন অনুভূতির বর্ণনা দিয়েছেন আপনি। খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি মনের কথা বলেছেন প্রিয় মানুষটি সাথে থাকলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আসলে পরিবারকে সাথে নিয়ে এরকম পরিবেশের মধ্যে ভ্রমণের মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ। দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন। বিশেষ করে ছোট বাবুর দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
জি ভাই বাবু বেশ মজা করেছে সেখানে।
ফ্যামিলি নিয়ে মুছাপুর ভ্রমণের মুহূর্ত অসাধারণ ছিলো। আসলে পরিবারের সাথে নিয়ে কোথাও ভ্রমন করলে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে জায়গাটি যদি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় হয়, নদীর পারে এই ভ্রমণের মুহূর্ত আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ছোট বাবুর আনন্দময় দৃশ্যগুলো থেকে আরো ভালো লাগলো।
ঠিক রায়হান ভাই পরিবার সাথে নিয়ে কোথাও ভ্রমন করলে খুবই ভালো লাগে।
ইস্ জায়গাটি তো দারুন। তাহলে আমি কেন গেলাম না আপনাদের সাথে। এমন সুন্দর জায়গায় তো যে কেউ গেলে আর ফিরে আসবে না। আমি তো নাই। যাই হোক নেন বা না নেন। সময় কিন্তু বেশ ভালোই কাটিয়েছেন আপনারা। বিশেষ করে নদী আর প্রকৃতি কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগলো।
আমাদের এলাকায় বেড়াতে আসুন তাহলে ঘুরতে নিয়ে যাবো আপু।
https://x.com/Nevlu123/status/1787656441894961209
ব্রিজ টার আশপাশের দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ছিল ভাই, মুছাপুর জায়গাতে আমি আজও কখনো যায়নি তবে আপনাদের ব্যস্ত জীবন থেকে সময় বের করে আপনি এবং আপনার পরিবার সবাই মিলে ওখানে ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো।
জি ভাই আসলেই ব্রিজ টার আশপাশের দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ছিল।
হঠাৎ করে ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে গেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।মাঝে মাঝে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে ঘোরাঘুরির সময় সুন্দর একটি মুহূর্ত তো অতিবাহিত করেছিলেন। বিশেষ করে ছোট বাবুর দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
জি ঠিক ভাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
হুম ভাই সত্যি অনেক ভালো লাগে।
💯❤️💯