প্রতিযোগিতার জন্য নির্মিত একটি প্রজেক্ট এর বিহাইন্ড দ্যা সিন (লস প্রজেক্ট)শেষ পর্ব-।

বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমার নির্মিত একটি প্রজেক্ট এর বিহাইন্ড দ্যা সিন এর শেষ পর্ব ।

যাই হোক এরই মাঝে কয়েক জন লোক আমাদের ঘরের আশে পাশে হাঁটাহাঁটি করতেছিলো। যখন তারা দেখতে পেল আমি এই রং গুলোকে নিচ্ছিলাম তখন তারা সেটা দেখে প্রশ্ন করে এগুলো দিয়ে আমি কি করবো। আসলে প্রশ্ন করার কথাই, কারণ এই সময়ে এই রকম কাজ করা আসলে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার সমতুল্য। তখন তাদেরকে তো এই বিষয়টা জানানো যাবে না।তাই আমি বললাম এগুলো দিয়ে চুলের জন্য একটা মেডিসিন বানাচ্ছি।এগুলো চুলে লাগালে ভালো একটি ফলাফল পাওয়া যাবে।

যাইহোক যাকে বুঝ দিলাম সে মোটামুটি বুঝে নিল। আসলেই আমি এটি বানাচ্ছিলাম চুলে ব্যবহার করার জন্য।কারণ আমার মাথায় চুল কিছুটা কম আছে তাই হয়তো বিশ্বাস করে নিল।এরপর সে তার মত করে চলে গেল আর আমি আমার কাজে মনোনিবেশ করলাম।পরবর্তীতে এই ছয়টি রং সংগ্রহীত ওয়ান টাইম কাপগুলো নিয়ে একটা জায়গাতে সংরক্ষণ করে রাখলাম।

আর হ্যাঁ আমি এই কালার সংগ্রহের কাজটি করেছিলাম সকাল বেলায়। আর সংগ্রহ করে রেখেছি বিকেল বেলায় আর্টের কাজ শুরু করব তাই।যাই হোক বিকেল যখন হলো তখন শুরু করলাম আর্টের কাজ। প্রথমে ব্যানারের জন্য একটি সাদা কাপড় স্কয়ার করে কেটে নিলাম। এরপর মার্কার পেন দিয়ে ব্যানার তৈরির জন্য কিছু অংশ এঁকে নিলাম। তারপর শুরু করলাম রঙের কাজ।

প্রথমে দেখতে পাচ্ছেন প্রকৃতি থেকে সংগ্রহীত একটি কালার ছোট বৃত্তের মধ্যে দিলাম।পরবর্তীতে আবার বড় বৃত্তের মধ্যেও একই কালার দিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এই কালারগুলো কাপড়ে একই জায়গাতে স্থির ছিল না। এই কালারটি ধীরে ধীরে বৃত্তের বাইরে চলে গেল। কারণ এই কালার মূলত ফুল ও পাতার রস। এখানে কোন কেমিক্যাল নেই যার কারণে এটি পানির মতোই।

এগুলো যখন কাপড়ে লাগলো তখন এগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল। এ পানি গুলোকে কাপড় যেন নিজের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য চুষে নিতে লাগলো। যার কারণে আমার আর ব্যানারের কাজ করা হলো না তখন। কারণ যে কালার আমি এপ্লাই করব একটা কালারের সাথে একটা কালার গিয়ে মিক্স হয়ে যাবে।এতে করে আমার কাজটা আমি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারবো না।

আর তাই লস প্রজেক্ট হিসেবে সেটাকে শেষ করে দিলাম।পরবর্তীতে ভাবলাম এবারে আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব না। কিন্তু এটা শুনে আমার ওয়াইফ @bristy1 বলে তুমি পোস্টার কালার দিয়ে কাজটি করতে পারো।সবাইতো ক্যানভাসে বা ড্রইং খাতায় করবে, আর তুমি কাপড়ে করবে, এটাও তো ইউনিক। যাই হোক তার কথা শুনে আমি পরবর্তীতে আবারো একটি কাপড় কেটে নিলাম এবং সেটাকে আবারো একই রকম ডিজাইন করে নিলাম। তারপর পোস্টার রং দিয়ে এই প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করলাম।

পরবর্তীতে সে প্রতিযোগিতায় নিজেকে ষষ্ঠ স্থানে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো।অন্তত কষ্ট করেছি হিসেবে উইনার লিস্টে নিজের নাম শুনতে পেয়ে, মনে হলো কষ্টটা কিছুটা হলেও সার্থক হলো। তো বন্ধুরা এই ছিল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিহাইন্ড দ্যা সিন/ বা আমার লস প্রজেক্ট। আশা করছি বিষয়টি আপনাদের জন্য একটু ব্যতিক্রমে ছিল। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই ফিডব্যাক জানাবেন। যারা কষ্ট করে পুরো ব্লগটি পড়েছেন তাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	বিহাইন্ড দ্যা সিন (লস প্রজেক্ট)
ক্যামেরা.মডেল	এম ৩২
ক্যাপচার	@nevlu123
সম্পাদনা	রিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থান	বাংলাদেশ

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}