ফিরে আসার গল্প-2, ৩য় পর্ব।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
ফিরে আসার গল্প-2, ৩য় পর্ব।
গত পর্বে মিশু রাগারাগি করে সেখান থেকে চলে গেল। আর সে যে গেল কোথায় গেল সে বিষয়ে কারো কিছু জানা নেই।
মেয়েটি তখন স্কুলে কন্টিনিউ পড়াশোনা করছিল মনোযোগের সাথে।কিন্তু মাঝে মাঝে অন্যমনস্ক হয়ে যেত, আর সেখানকার মিশুর একজন ক্লোজ ফ্রেন্ড তাকে বিষয়গুলা জানাত। মিশু অনেক দূরে চলে যায় রাগ করে তবে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখেনাই সুবর্ণার সাথে।
তবে দূর থেকে ভালোবাসা এবং খোঁজখবর ঠিকই নিতো, হয়তো সুবর্না টের পেত না। একদিন মিশুর ক্লোজ ফ্রেন্ড সুবর্ণাকে জিজ্ঞেস করল কিরে মিশু তো তোর জীবনে আর নেই, তোর জন্য একটা ভালো অফার আছে। অনেক হ্যান্ডসাম একটা বড় ভাই তোর জন্য অফার দিয়েছে প্রেম করার উদ্দেশ্যে কি বলিস।
তখন মেয়েটি মানে সুবর্ণা মিশুর ক্লোজ ফ্রেন্ডকে বলেছে তুই না আমাদের ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিলি। এই রকম বাজে অফার কিভাবে দিস তুই। তুই জানিসনা আমি মিশু কে ভালোবাসি। আর মিশু আমার সাথে রাগারাগি করে চলে গেলেও, আমি জানি সে আমাকে ভালোবাসে এবং একদিন না একদিন সে ফিরে আসবেই,আর এই বিশ্বাস নিয়ে আমি বেঁচে আছি।
যাইহোক পরবর্তীতে জানতে পারা যায় এই বিষয়টি ছিল মিশুর একটি প্ল্যান মেয়েটিকে পরীক্ষা করার। এদিক থেকে মিশুও শহরের কোন ভালো কলেজে এডমিশন নেয় এবং সেও রীতিমতো ভালোই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল।
তার কোন প্রকার চিন্তা করা লাগতো না, কেননা তার ক্লোজ ফ্রেন্ড সুবর্ণার সাথে রয়েছে এবং সে সবসময় খবর পাচ্ছে।এদিক থেকে সুবর্ণা কোন খবর না পাওয়াতে সে একটু ডিপ্রেশনে ভোগে। এভাবে কয়েক বছর চলে গেল।তারপর ইন্টারমিডিয়েট শেষ করল এবং ডিগ্রিতে এডমিশন নিলো সুবর্ণা।
আর মিশুও তার জায়গা থেকে পড়াশোনা যথাযথভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল। এদিক থেকে অনেক বড় বড় ঘরের বিয়ের প্রস্তাব আসছিল সুবর্ণার জন্য। কিন্তু সুবর্ণা এক পায়ে দাঁড়িয়ে, যে আমি পড়াশোনা করব, কোন বিয়ের কথা আমার সামনে নিয়ে আসবেন না।
এভাবে বলে বলে সে ডিগ্রী কমপ্লিট করল। অবশেষে সে আর কতবার অজুহাত দেখাবে। তখন তার ডিগ্রী কমপ্লিট করা শেষ হলো, কিন্তু এখনো মিশুর কোন খোঁজ খবর পায়নি সুবর্ণা।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু , আশা করি আগামি পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
গত পর্ব গুলো এখানে👇
পর্ব | বিষয় | পোস্ট লিংক |
---|---|---|
১ | ফিরে আসার গল্প,১ম ও ২য় পর্ব | https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/3zdjnf |
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
সত্যি বলতে একটা সময় পর্যন্ত কারো ভালোবাসার পরীক্ষা নেওয়া ভালো। কিন্তু এতদিন ধরে একজন কে অপেক্ষা করানো মানেই অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি। মেয়েটিও উচিত একটু শিক্ষা দেওয়া ছেলেটিকে।খুব সুন্দর লিখেছেন।
যাক তাহলে পরের পর্ব পড়ার নিমন্ত্রণ রইল, তাহলে বুঝতে পারবেন কি ঘটেছে শেষ পর্যন্ত ধন্যবাদ।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
অনেক অনেক ধন্যবাদ নিজ থেকে সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1580367231447273472?s=20&t=t_jCwJO_qWsuWnhVkl98tw
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।,,।