lifestyle:- প্রাকৃতিক দৃশ্যে মধ্যে বসে পিকনিক করার মুহূর্ত।
ABB 12 মে ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। বিশেষ কিছু মুহূর্ত আমাদের সবাইকে অনেক বেশি আনন্দিত করে। যা কখনো ভোলার মত নয়। সবাই একসাথে কোথাও ঘুরতে গেলে বা খেতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। যা স্মরণ থাকে অনেক দিন। স্মৃতিগুলো হয় মধুর।
আসলে কিছু কিছু মুহূর্ত ভোলার মত নয়। আমরা সবাই এ ধরনের মুহূর্ত গুলোকে অনেক বেশি পছন্দ করি। যার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় পিকনিক করে থাকি। বিশেষ করে স্কুল লাইফে আমরা অনেক বেশি ফিকনিক করে থাকতাম। কিন্তু বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে হয়তো সবাই একসাথে হওয়া যায় না যার কারণে পিকনিকের মত করে কোন অনুষ্ঠান করা হয় না। সময় পেলেই কোথাও ঘোরাঘুরি করতে যাই।
কিছুদিন আগে আমার বড় ভাইয়ের একটি কোচিং সেন্টারের কম্পিউটার স্টুডেন্টদের কে নিয়ে একটি পিকনিকের আয়োজন করেছিল। সে অনুষ্ঠানে আমাকে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছিল। এ বিষয়টা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আসলে দীর্ঘদিন এভাবে সময় কাটানো হয় না। প্রথমত চিন্তা করেছিলাম আমরা সেখানে গিয়ে সবাই একসাথে বিরিয়ানি রান্না করবো। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তার করা হলো না।
সবাই সবার মতো করে ব্যস্ত। নিজে রান্না করতে হলে সকালে যেতে হবে এবং সেখানে রান্না করতে হবে। এরপর খেতে হবে। কিন্তু একেক জন একেক ভাবে ব্যস্ত থাকার কারণে তা আর করা সম্ভব হয় নাই। পরবর্তীতে একটি দোকান থেকে বিরিয়ানি নিয়ে গেলাম। তরমুজ নিয়ে গেলাম একটি নদীর পাড়ে বসে পিকনিক ঠিক করার চিন্তা করেছি।
আমরা কয়েকজন কয়েকটি মোটরসাইকেল করে গিয়েছিলাম। এরপর বাকিরা সিএনজি করে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে নদীর পাড়ে সবাই অনেকক্ষণ পর্যন্ত ছবি তুলেছিল এবং অনেক বেশি মজা করেছিল। এ বিষয়গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে সবার আনন্দ দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যার কারণে আমি সব সময় আনন্দ পেতে এবং আনন্দ দিতে ভালবাসি। এজন্য যে কেউই আমাকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বললে অথবা আনন্দ পেতে অথবা আনন্দ দিতে বললে আমি অনেক বেশি খুশি হই।
নদীর পাড়ে এত সুন্দর একটি সময় আমার সারা জীবন স্মরণ থাকবে। যা হৃদয় লেগেছিল। আসলে একটা সময় সবাই গ্রুপে অনেক কিছু করতে ভালোবাসতো। কিন্তু বর্তমানে আমি তা দেখি না। সবাই সবার মত করে ব্যস্ত থাকে। স্কুল জীবনে আমি উদ্যোগ নিয়ে নিয়ে অনেক্ষন অনুষ্ঠান করেছিলাম। টাকা দিতে সবাই প্রস্তুত কিন্তু উদ্যোগ নিতে নয়। উদ্যোগ নিলে ওই কাজটি সফল হয়ে যেত। আজ সেই বন্ধুবান্ধব কেউ নেই পাশে। সবাই স্বার্থপর আর বেইমানের মত দূরে আছে। আচ্ছা যাই হোক।
বিরিয়ানি খাওয়ার পর আমরা কয়েকটি তরমুজ নিয়ে গিয়েছিলাম। তরমুজ কিনার সময় অনেক বেশি ভয় লাগে। কারণ ভালো তরমুজ বা মিষ্টি তরমুজ পাওয়া খুবই কঠিন। আমাদের মধ্যে তরমুজ চিনে এমন মানুষ হচ্ছিল না। সবাই মোটামুটি ছোট ছিল। যার কারণে চোখ বন্ধ করেই নিতে হলো। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো তরমুজগুলো এত বেশি মিষ্টি ছিল বলার বাহিরে। অনেকগুলো তরমুজ নিয়েছিলাম। মনে করছি সবাই খেতে পারবে না। কিন্তু মিষ্টি তরমুজ হওয়ার কারণে সবাই খুবই ভালোভাবে খেয়েছিল।
এই বিষয়টা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। যার কারণে পুরো পিকনিকটা আনন্দময় ছিল। এভাবে আরো কয়েকটি অনুষ্ঠান করার চিন্তা ভাবনা করতেছি। কারণ এগুলো স্মৃতির পাতায় জড়িয়ে থাকে। যা সবাইকে মুগ্ধ করে। অনেক মজা দেখতে মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে অন্য কোন চমৎকার পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন। নিরাপদে মানবিক মানুষ হয়ে বেঁচে থাকুন। ফি আমানিল্লাহ।
পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | Lifestyle |
|---|---|
| ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
| পোস্ট তৈরি | narocky71 |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/NARocky4/status/1789692268066000944?t=NtAV0gEWp9lkFtw1_o5AYg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এমন পিকনিক তো ভালোই হয়। সেটাও আবার নদীর পাড়ে বসে। আপনারা সবাই দারুণ সময় কাটিয়েছেন। আসলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বন্ধুগুলোও হারিয়ে যায়। সবাই ব্যস্ত হয়ে পরে নিজেকে নিয়ে।
সত্যি মাঝেমধ্যে এরকম পিকনিক করলে ভালোই লাগে।
বাহ প্রাকৃতিক পরিবেশে দারুন একটি পিকনিকের আয়োজন করলেন। আসলে জীবনে এগুলোই স্মৃতি হয়ে থাকে। এক সময় হয়তো এখানের অনেকই থাকবে না অথবা দূরদূরান্তে বিদেশে থাকবে। কিন্তু এই স্মৃতিগুলো কখনো ভুলা যাবে না। আপনি গেস্ট হিসেবে সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। মাঝে মাঝে এমনভাবে পিকনিক করলে খুবই ভালো লাগে। আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
আসলেই অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম। পিকনিক করতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।
বাহ সুন্দর পরিবেশের মধ্যে আপনাদের পিকনিকের আয়োজন দেখে বেশ ভালো লাগলো। এমন সুন্দর পরিবেশ এবং সাথে যদি বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের লোকজন থাকে তাহলে তো বেশ ভালো সময় কাটবে অনায়াসে। খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ছিল ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে বসে পিকনিক করার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খাবারগুলো কিন্তু সত্যি লোভনীয় ছিল। পিকনিকটা জমিয়ে করেছি।
নদীর পাড়ে এমন পরিবেশে পিকনিক করেছেন জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। খোলা মেলা আবহাওয়া এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি চমৎকার ভাবে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন। এভাবে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। সত্যি বলতে আপনার অনূভুতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এমন সময় মাঝে মধ্যে কাটানো উচিত তাহলে মন অনেক ভালো থাকবে। শুভ কামনা আপনাদের জন্য।
হ্যাঁ ভাই সবাই এভাবে একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করার মজাটা আলাদা। আর প্রকৃতির মাঝে হলে তো কোন কথা নেই।
কোচিং সেন্টারের স্টুডেন্টদের কে নিয়ে প্রকৃতির মাঝে একটা সুন্দর পিকনিক এর আয়োজন করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। প্রকৃতির মাঝে সময় অতিবাহিত করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আর প্রিয় মানুষের সাথে যদি এমন পরিবেশ পিকনিক করা যায় তাহলে তো আর কোন কথাই থাকে না।
প্রিয় মানুষগুলোর সাথে পিকনিক করলে আলাদা আনন্দ লাগে।
বড় ভাইয়ের কোচিং সেন্টারের স্টুডেন্টদের নিয়ে তো দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন।আসলে আজকাল সবাই এতো ব্যস্ত তাই রান্না করে খাওয়া একটু বেশী টাফ ই হয়ে যায়। আপনারা বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে নদীর পাড়ে চমৎকার পিকনিক করলেন।এখন দেখছি ঢাকায় খুব ছোট ছোট তরমুজ পাওয়া যায়। তরমুজ গুলো যেমন লাল, তেমন মিষ্টি ও।আমাদের কালকে দুটো এনেছে।খুব মিষ্টি। যাক আপনাদের তরমুজ গুলো ও ভারী লাল দেখলাম।সবাই তাই খেতেও পেরেছে ভালো। সুন্দর সময় উপভোগ করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
পিকনিক টা সত্যি চমৎকার ছিল। সবার মুহূর্তটা অনেক ভালো কেটেছে।
প্রকৃতির মাঝে বসে খুব সুন্দর একটি পিকনিকের আয়োজন করেছেন আপনারা। এই জিনিসগুলো সারা জীবন মনে রাখার মতই। প্রকৃতির মাঝে এরকম সবাই মিলে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সবাই মিলে। খাওয়া দাওয়ার ও ভালোই আয়োজন ছিল। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ প্রকৃতির মাঝে পিকনিক টা ভালো হয়েছে। সময়টা দারুন কেটেছে এক কথায়।