লাইফস্টাইল:- চায়ের গ্রামে চা খাওয়ার মুহূর্ত
ABB ০৩ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার ❤️
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটানোর কথা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
আজ অনেকদিন যাবত ভাবতেছি চায়ের গ্রামে চা খেতে যাব। আসলে ফেনী জেলার মধ্যে চায়ের গ্রাম নামে একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানে প্রায় 48 ধরনের চাপ বিক্রি করে থাকে। আবার কফি রয়েছে পাঁচ ধরনের। দীর্ঘদিন পর্যন্ত সেখানে যাওয়ার কথা ভাবতেছি। কিন্তু সময়ের ব্যস্ততার জন্য যাওয়া হচ্ছে না।
আসলে আমি যখন ফেনী শহরে যাই তখন খুবই ব্যস্ততার মধ্যে থাকি। কারণ যে কোন কাজ হাতে না রেখে শহরে যাওয়া হয় না। এজন্য কাজ করতে করতে সময় পাওয়া একদমই যায় না। এজন্য কিছুদিন আগে চিন্তা করলাম চায়ের গ্রামের চা খেতে যাব। গিয়েছিলাম সোনিয়াকে কলেজে দিয়ে আসতে। সোনিয়াকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে আমি চলে গেলাম নিবলু ভাইয়ার কাছে।
কিছুক্ষণ বড় ভাইয়ের সাথে সময় কাটালাম। এবং দুপুরের সময় তাদের বাসায় খাওয়া-দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাইয়াকে নিয়ে চায়ের গ্রামে যাওয়ার কথা বললাম। আসলে ফেনীতে ভাইয়া অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে থাকে। ব্যস্ত মানুষ থেকে সময় পাওয়া খুবই কঠিন , এরপরেও যখন আমি বলেছি তখন সে রাজি হল।
তখন দুইজন একসাথে হয়ে চায়ের গ্রামে গিয়ে চা অর্ডার করলাম। প্রথমে অনেক বেশি দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম কোনটা খাব। এত প্রকার চা দেখে প্রথমে হতভাগ হয়ে গেলাম। উপরে ৬০ টাকা দামের একটি দামের অর্ডার করলাম। তারা বলল এটি খেলে অনেক ভালো লাগবে। যাওয়ার সময় চিন্তা করলাম দুই তিন কাপ চা খাব। কিন্তু একটা খেয়ে অবস্থা খারাপ। আর খেতে পারলাম না।
চা খেয়ে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। চায়ের কাপ দেখতে ছোট হলেও, কাপের ভিতরে অনেক চা রয়েছে। খেতে খেতে শেষ হচ্ছিল না। চা খাওয়ার পর কিছুক্ষণ সময় সেখানে বসলাম। বড় ভাইয়ের সাথে কথা বললাম। এরপর সেখান থেকে রওনা দিয়ে দিলাম। অর্থাৎ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। এত ধরনের চা দেখে চিন্তা করেছি, একেক দিন গিয়ে একেক ধরনের চা খেয়ে টেস্ট নিব। আশা করি আপনাদের সবার আজকের চা খাওয়ার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগবে।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চায়ের গ্রামে চা খাওয়ার মুহূর্ত। আপনার নেবলু ভাই দুজন মিলে অনেক সুন্দর ভাবে চা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এখনকার ছেলেমেয়েরা চা খেতে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম চায়ের দাম নিয়েছিল ৬০ টাকা। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমার সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ চায়ের গ্রামে ৪৮ প্রকার চা দেখলাম। আপনাদের ৬০ টাকা দামের চা টা দেখেই মন ভরে গেছে। কাপটা ছিল স্পেশাল,বানিয়েছে স্পেশাল ভাবে। যায়হোক মাঝে মাঝে গিয়ে এক প্রকার করে টেষ্ট করে আসবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই কাপটা যেমন স্পেশাল ছিল তেমনি বানিয়েছিল ও অনেক স্পেশাল ভাবে। হ্যাঁ অবশ্যই চেষ্টা করব মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রকার চা খাওয়ার টেস্ট করার।
চায়ের গ্রামে চা খেতে যাওয়ার আরও একটি পোস্ট পড়েছিলাম। অসাধারণ ভাইয়া চায়ের ডেকোরেশনটা। এত সুন্দর করে যদি ডেকোরেশন করে চা পরিবেশন করা হয় তাহলে অনেক ভালো লাগবে খেতে। চায়ের কালার দেখে তো অসাধারণ ভালো লাগলো। আমার তো চা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না আমি আবার চা প্রেমি অনেক।
আপনি চা প্রেমী এটা জেনে তো খুব ভালো লাগলো। একদিন আমাদের এখানে এসে চায়ের গ্রামে যাবেন এবং সেখানে মজার মজার চা খেতে পারবেন।