ভ্রমণ : নাশিয়াকে নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত। (২য়/শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

Abb 6 জুলাই 2024

বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

20240325_131147.jpg

আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। ‌মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।

20240325_130407.jpg

ইতিমধ্যে আপনারা জানেন আমার মেয়েকে নিয়ে আমি শিশু পার্কে গিয়েছিলাম। এটি মাঝে মাঝে করা হয় তার মাকে ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাই। এখনো মাঝে মাঝে অনেক বেশি বায়না করে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য। বিভিন্ন খেলা জিনিস গুলোর দেখার জন্য। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম ফেনী একটি শিশু পার্কের মধ্যে। শিশু পার্কের পরিবেশ আমাদের সবারই খুবই ভালো লাগে সব সময়। নাশিয়া বিভিন্ন জায়গায় গেলে অনেক বেশি খুশি হয়।

20240325_122835.jpg

যার কারনে তার মা সহ অনেক জায়গায় যাই ঘোরাঘুরি করার জন্য। কিন্তু পাশে কে নিয়ে যখন ফেনী শিশু পার্কে গিয়েছিলাম তখন অনেক দুশ্চিন্তা হলেও , মেয়েটি অনেক বেশি খেলাধুলা করেছিল। বিভিন্ন রাইড গুলোর মধ্যে যখন তুলতেছিলাম তখন সে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। তার খুশি দেখলে দুনিয়ার সব সুখ যেন হৃদয় চলে আসে। প্রত্যেকটা মা-বাবার কাছে তার মেয়ে রাজকন্যা হয়ে থাকে। আমার কাছেও আমার মেয়ে রাজকন্যা।

20240325_123437.jpg

নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক দুঃখ কষ্টে থাকলেও সন্তানদের সব সময় হাসিখুশি রাখতে চেষ্টা করি। ফেনী শিশু পার্কের মধ্যে যখন আমরা ঢোকার পর বিভিন্ন রাইড গুলোতে উঠে খেলাধুলা করতেছে , তখন নিজের মাঝে অনেক বেশি আনন্দ খুঁজে পাই। আমি ঢোকার সময় নাশিয়ার জন্য অনেকগুলো খাওয়া-দাওয়া নিয়েছিলাম। কিন্তু এত বেশি খুশি ছিল খাওয়ার কথা ভুলে গিয়েছে।

20240325_123113.jpg

আমরা চিন্তা করেছিলাম দুপুরে নাস্তাগুলো করব অনেকটা সময় ধরে। কিন্তু দুপুর পার হওয়ার পরেও তার আনন্দ যেন শেষ হচ্ছে না। এত বেশি দুষ্টামি আর দৌড়াদৌড়ি করতে ছিল যা দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমি শুনেছিলাম ছেলেমেয়েদেরকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গেলে তারা অনেক বেশি ভালো থাকে।

20240325_130721.jpg

তাদের মেধাবিকাশে অনেক বেশি সহযোগিতা হয়। এজন্য ভালো খাওয়া-দাওয়া এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা বাচ্চাদেরকে নিয়ে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে বেশ কিছুদিন আগে আমি একবার নাশিয়াকে অনেক বড় একটি শিশু ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকার পর এত বেশি সুন্দর ছিল যা চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। বড় বড় শিশু ডাক্তারদের চেম্বার গুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে ‌ । মেয়েকে নিয়ে যখন ঢুকলাম সে খুশিতে সবগুলো জিনিসপত্র ধরতেছিল।

20240325_130656.jpg

আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কোন কিছু নষ্ট করে ফেললে আবার কিছু বলে নাকি। তখন মেয়েকে আমি বলতেছি এগুলো না ধরার জন্য। তখন ডাক্তার আমার সাথে অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করলো। সে সবগুলো ধরে নষ্ট করে ফেলুক। এতে আমার সমস্যা আপনার কিসের সমস্যা। আমি গিয়েছিলাম নাশিয়ার কোন সমস্যা আছে কিনা তা দেখার জন্য। মেয়ের হাসিখুশি মুখ এবং দুষ্টামি দেখে ডাক্তার বললেন তার ভিতরে কোন সমস্যা নাই।

20240325_130417.jpg

যে শিশুগুলোর মধ্যে সমস্যা থাকে সেগুলো কখনোই এভাবে দুষ্টামি করতে পারে না। যে বাচ্চারা দুষ্টামি করে সেগুলো সুস্থ। আর শিশু বয়সে কখনোই শিশুদেরকে ভয় দেখাবেন না। ঘরের সব জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেললেও তাদেরকে ধমক দিয়ে কথা বলবেন না। ধমক দিয়ে কথা বললে তাদের মেধায় অনেক বেশি আঘাত খায়। যা ভবিষ্যতে কম মেধাবী হতে সহযোগিতা করে। তাকে সব ধরনের দুষ্টামি করতে সহযোগিতা করবেন আপনারা। সে যা যা করতে মন চায় সে সে দুষ্টামি গুলো পড়ে থাকবে।

20240325_132206.jpg

ডাক্তারের কথা শুনে ভীষণ ভালো লেগেছিল। এজন্য যখন শিশু পার্কে গিয়েছিলাম তখন তার দুষ্টামি গুলো আমি নিষেধ করতেছি না। যখন যেটাই চাচ্ছে সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করেছি। মেয়েটির সাথে দুষ্টামি করতে করতে মনে হয়েছে আমি নিজেও অনেক ছোট। দুজনে অনেক দুষ্টামি করতে ছিলাম। চিন্তা করেছে কিছুদিন পর আবার তাকে নিয়ে এখানে আসবো। তাহলে সে অনেক বেশি দুষ্টামি করতে পারবে। আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। সময় দিয়ে ব্লগ পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

20240325_131432.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ক্যামেরাSamsung S23 Ultra
পোস্ট তৈরিnarocky71
লোকেশনবাংলাদেশ

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)


3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM (1).gif


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ,
💖ধন্যবাদ💖

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

আসলে ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে তাদের আবদারের শেষ হয় না। তারা একটার পর একটা আবদার ধরে থাকে সব সময়। আপনি দেখছি আপনার মেয়ে কে নিয়ে শিশু পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে আপনার মেয়ে অনেক খুশি হয়ে গিয়েছিল। আপনার মেয়ের খুশি দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে।

 4 days ago 

হ্যাঁ ভাই নাশিয়া অনেক খুশি হয়েছিল।

 5 days ago 

বাচ্চারা তো দুষ্টুমি করবেই। কিন্তু কিছু কিছু সময় আমরা ভুলে যাই যে তারা বাচ্চা। সারাদিন বিভিন্ন খেলাধুলা করলে তাদেরও মেধা বিকাশ ঘটে। তাছাড়া এরকম জায়গায় বাচ্চাদেরকে ঘুরতে নিয়ে গেলে তারা আরো বেশি খুশি হয়। আপনার মেয়ে যে খুব খুশি হয়েছিল তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর সন্তানের খুশি বাবা-মার কাছে সবথেকে বড় বিষয়। ভালো লাগলো হাসিমাখা মুখখানা দেখে।

 4 days ago 

ঠিক বলেছেন বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে গেলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়।

 5 days ago (edited)

নাশিয়ার হাসির মুখ দেখে সত্যি পরান টা জুড়িয়ে গিয়েছে। এটা ঠিক নিজেদের মন খারাপ হলেও সন্তানের হাসি মুখ দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে। বাচ্চারা যতই দুষ্টামি করুক না কেন তাদের সেই দুষ্টামি আমি অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে নাশিয়ার দুষ্টামি গুলো। নাশিয়া ঐদিন অনেকগুলো রাইডে চড়েছিল, আর এটা তো আমাকে এসেই আনন্দের সাথে বলেছিল। আর এটাও বলেছিল সে নাকি আমার জন্য একটুও কান্না করেনি। যাইহোক তুমি আজকে নাশিয়াকে নিয়ে শিশু পার্কে কাটানো সুন্দর মুহূর্তটার শেষ পর্ব শেয়ার করেছ দেখে ভালো লাগলো।

 4 days ago 

হ্যাঁ নাশিয়া সত্যি একটুও কান্না করেনি। আমাকে তো বলেছে যেন আবারো তাকে ওখানে নিয়ে যাই।

 5 days ago 

নাশিয়াকে নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরাঘুরি করা সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে শিশুরা ঘুরাঘুরি করতে একটু বেশি পছন্দ করে ।ঘোরাঘুরি করার সময় মিষ্টি মেয়ে নাশিয়ার অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক মিষ্টি লেগেছে। আপনি নাশিয়াকে নিয়ে এমন মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করবেন এবং সেই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন সেই আশা করি।

 4 days ago 

চেষ্টা করেছি আপু নাশিয়াকে নিয়ে ভালো সময় কাটানোর মুহূর্ত টা আপনাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।

 5 days ago 

নাশিয়াকে নিয়ে শিশু পার্ক ভ্রমণের প্রথম পর্বটা আমি দেখেছিলাম। আজকের শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খুব মজা করেছেন দুজনে মিলে। নাশিয়াকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে ভীষণ খুশি হয়েছে সেখানে গিয়ে। খুব সুন্দর ছবি তুলেছেন নাশিয়ার। ঠিকই বলেছেন মেধাবিকাশের জন্য খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি ভ্রমণ করাও প্রয়োজন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 4 days ago 

খুশি হয়েছে মানে, খুশিতে তো সে খাওয়ার কথাই ভুলে গিয়েছিল।

 5 days ago 

দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করলেন আপনি আজকে ভীষণ ভালো লেগেছে। বাচ্চাদেরকে নিয়ে পার্কে ঘুরাঘুরি করলে দেখতে অনেক বেশি খুশি হয়। আপনি তো শিশু পার্কে নিয়ে গেলেন নাশিয়া কে নিয়ে। তাকে তো দেখেই মনে হচ্ছে সেই বেশি খুশি। আপনি সবগুলো রাইডে তুললেন আপনার মেয়ে সবগুলোতেই খেলাধুলা করল। সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।

 4 days ago 

হ্যাঁ প্রত্যেকটা রাইডে উঠে সে অনেক মজা করেছে।

 5 days ago 

শিশু পার্ক টি ভিষণ সুন্দর। আপনার ছোট্ট মেয়ে ওই পার্কে যে ভীষণ আনন্দ করেছে তা বেশ বুঝতে পারছি। শিশুদের ভালো রাখতে পারলে আমরাও যেন ভালো থাকি। ওদের হাসির প্রতিফলন প্রতিমুহূর্তে এসে পড়ে আমাদের ওপর। ওরা ভগবানের আশীর্বাদ। আপনার মেয়ে অনেক বড় হয়ে মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠুক। আর আপনার ছবিগুলো ভীষণ ভালো হয়েছে। আমার তো এখনই আপনার ছোট্ট মিষ্টি মেয়ের সাথে খেলতে ইচ্ছে করছে।

 4 days ago 

দোয়া করবেন সব সময় আমার মেয়ের জন্য। যেন ভালো মানুষ হিসেবে সে গড়ে উঠতে পারে।

 4 days ago 

বাচ্ছারা শিুশু পার্কে গেলে অনেক খুশি হয়। কারন সেখানে অনেক রাইড থাকে,যেগুলোতে চড়ে তারা বেশি আনন্দ পায়। নাশিয়াকে দেখলাম বিভিন্ন রাইডে চড়ে অনেক খুশি হয়েছে। দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দের জন্য পার্কে বানরও দেখলাম। ধন্যবাদ।

 4 days ago 

শিশু পার্ক গুলোতে আমি মনে করি বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাওয়া উচিত। ঈদের তাদের মনটা অনেক ভালো হয় আর ব্রেনটাও ফ্রেশ থাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64741.88
ETH 3457.21
USDT 1.00
SBD 2.55