lifestyle:- হঠাৎ আরুসকে নিয়ে হসপিটালে।
ABB 17 ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার।
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার একমাত্র ভাতিজাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার মুহূর্ত টা শেয়ার করব।
আসলে গত দুই এক মাস আগে খালাতো ভাইয়ের ছেলে হয়েছিল। অর্থাৎ সোনিয়ার ভাইয়ের ছেলে। সেটা এর আগে আপনাদের খুব মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আসলে হঠাৎ করে আমাদের বড় আপু ফোন করলো আমাকে। কিন্তু মোবাইল আমার কাছে না থাকার কারণে ছুটি রিসিভ করেছিল। তখন ই ছেলের অসুস্থর কথা বলল। ভাইয়ের ছেলের নাম আরুশ ইবনে আব্দুল্লাহ।
আরুশের অসুস্থতার কথা যখন বলল তখন অনেক খারাপ লাগলো। যখন আপু ফোন দিয়ে তার অসুস্থতার কথা বলে, এবং সঙ্গে ফেনী যাওয়ার কথা বলে। আসলে যেদিন ব্যস্ত থাকা হয় সেদিন ভালোভাবে ব্যস্ততা এ দিন কাটে। ঐদিন আমার পার্সোনাল একটি কাজে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার অসুস্থতার কথা শুনে যাওয়ার ইচ্ছে হলো না। তাকে নিয়ে ফেনী যাওয়ার কথা বললাম।
আমাকে আর সোনিয়াকে বড় আপু বলল তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তখন আরুশ তার নানার বাড়িতে ছিল। আরুশের নানার বাড়ি থেকে আসতে আসতে আমরাও বাড়িতে পৌছে গেলাম। ছেলেকে দেখলাম, ছেলের কি সমস্যা তা জিজ্ঞেস করাতে বলল ছেলেটি নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় উপর করে নেয়। অর্থাৎ আমরা যেমন নিচের দিকে নিঃশ্বাস পেলি, ছেলেটি উপরের দিকে করে নিঃশ্বাস ফেলার চেষ্টা করে। অনেক বিকড আওয়াজ হয় যখন পিছন দিক করে নিঃশ্বাস নেয়।
যে কেউই এই অবস্থায় দেখলে ভয় পেয়ে যাবে এমন ভাবে নিঃশ্বাস পেলে। কিন্তু এটি দীর্ঘদিন যাবতই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা চিন্তা করলো না। এমনিতে গ্রামের পাশে একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছিল। তারা কিছু মেডিসিন দিয়েছিল সেগুলো খাচ্ছিল অনেকদিন। এরপর আমি একটি সিএনজি নিয়ে ফেনী হায়দার ক্লিনিক নিয়ে গেলাম। ফেনীতে বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো একটি অসুবিধা এটা। যখন ভাগ্নী মাইসুন হয়েছিল তখন সেখানে নিয়েছিলাম। অনেকদিন পর্যন্ত সেখানে থেকে ছিল। আর অলিউল্লাহ যে ডাক্তার রয়েছে সেটি অনেক বড় ধরনের ডাক্তার। বাচ্চাদের দেখলেই বুঝতে পারে কি সমস্যা হয়েছে।
এজন্য আমরা কোন কিছু চিন্তা না করে সেখানে নিয়ে গেলাম। যখন ডাক্তার দেখিয়েছি তখন ডাক্তার বলল এটি কোন সমস্যা নয়। বয়সের সাথে সাথে এসব কিছু চলে যাবে। কিন্তু কেন এভাবে আওয়াজ করে তা নিশ্চিত করে কিছু বলল না। এটা বলে কয়েকটি মেডিসিন লিখে দিয়ে বিদায় দিয়ে দিল। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ মত কথা শুনে অনেক ভালো লেগেছিল। কারণ এ বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তার বাবা সহ সবাই অনেক ভয় পাচ্ছিল। বিশেষ করে যখন কান্না করে তখন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত হয়। এ বিষয়গুলো সবাই অনেক ভয় পেয়েছে।
যখন বাসায় এসে সবাইকে ডাক্তারের কথা বললাম সবাই অনেক খুশি হয়েছিল। কারণ এভাবে কেউ কখনো করে না। আসলে আমাদের একটিমাত্র ভাতিজা এজন্যই ভয় সবাই বেশি পেয়েছিল। তাকে সবাই অনেক বেশি আদর করে। মাইসুনের পরে ছোট বাচ্চা সে রয়েছে। আসলে এখন একদম ছোট আর কয়েক মাস পর সবাই ভালোভাবে আদর করতে পারবে। একদম ছোট বাচ্চাদের কোলে নিতেও আমি নিজেও ভয় পাই। এজন্য এত ছোট বয়সে আমি বাচ্চাদের কোলে নিই না এত বেশি। মনে হয় যেন দুই হাতের মধ্যখান দিয়ে পড়ে যাবে। কিন্তু যখন বাসায় এসে সবার সাথে কথা বললাম সারাদিনের ক্লান্তি দূর হলো। আপনারা সবাই অবশ্যই আমার ভাতিজার জন্য দোয়া করবেন। সে যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারে। সবাই ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। আজকের মতো ব্লগ এখানে শেষ করলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/NARocky4/status/1736205081803141430?t=6mHMY8gaCz-XbAuPuqCw0w&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট বাচ্চারা বয়সের সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন করে। আর তাদের কে যত্নের ত্রুটি রাখা যাবে না।যাইহোক আরুশের জন্য দোয়া রইলো দ্রুত সুস্থ হোক সেই কামনা করি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন, ছোট বাচ্চাদেরকে যত্নের ত্রুটি রাখা যাবেনা। দোয়া করবেন আরুশের জন্য।
বাসার ছোট বাচ্চা গুলো যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে পরিবারের মাঝে একটি দুঃখের ছাপ পড়ে। ভাতিজার কথা শুনে নিজের সব কাজ ফেলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ডাক্তারের কথা শুনে কিন্তু আমিও মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দোয়া রইল ভাতিজার জন্য যেন এমন মাসুম বাচ্চা বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছিল। সেজন্য নিজের সব কাজে পেলে চলে গিয়েছিলাম। দোয়া করবেন সব সময় তার জন্য।
প্রথমে বাবুর জন্য অনেক দোয়া রইল। আসলে বাচ্চারা অসুস্থ হলে বাবা মার চিন্তার শেষ থাকে না। আর ছোট বাচ্চা তাই কিছু বলতে পারে না আরো বেশি খারাপ লাগে। যাইহোক ডাক্তার দেখিয়ে বেশ ভালো করেছেন।দোয়া করি বাবুটা তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে সবাই অনেক বেশি চিন্তা করে বাচ্চারা অসুস্থ হলে। আপনাদের দোয়ায় অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
বেশ ভালোই হলো ফেনীতে গিয়ে ভালো একটি ডাক্তার দেখালেন। আসলেই প্রায় বাচ্চারা এভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় আওয়াজ করে। তবেই আমি যতটুকু জানতে পেরেছি বাচ্চাদের নাকের ছিদ্র ছোট হওয়ার কারণে নাকি এমন হয়। তবে সেটা কতটুকু সঠিক তা জানি না। তবে আমার বাচ্চাদেরকে দেখিয়েছিলাম এরকম একটা কথা বলছিলেন। যা বড় হওয়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে কমে যাবে। যাক অবশেষে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হলেন ভালো লাগলো।
আসলে এই সম্পর্কে আমি নিজেও জানিনা। দোয়া করবেন আপু বাবুটার জন্য।
আসলে ছোট বাচ্চাদের অসুখ বিসুখ হলে অনেক দুশ্চিন্তা হয়। কারণ তারা তো কিছু বলতে পারে না। যাইহোক আপনার ভাতিজাকে হসপিটালে নিয়ে গিয়ে খুব ভালো করেছেন। দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হয়ে গিয়েছে। একেবারে ছোট বাচ্চাদের কোলে নিতে আমারও খুব ভয় লাগে। যাইহোক আপনার ভাতিজার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে অনেক বেশি দুশ্চিন্তা হয়। সেই সাথে অনেক বেশি ভয় লাগে। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ছোট বাচ্চাদের একটু কিছু হলেই আত্নীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশী সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে।বাবুটার নিশ্বাসের সমস্যা তাই চিন্তিত হওয়ারি কথা।ডাক্তার না দেখালে তো আমরা বুঝঝে পারি না কি সমস্যা তাই নানান রকমের খারাপ চিন্তা মাথায় আসে।যাই হোক বাচ্চা নিয়ে সবাই হাসি মুখে বাড়িতে ফিরেছেন এটাই সৃষ্টি কর্তার কাছে বড়ো পাওয়া। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বেশ হাসি খুশি ভাবে বাড়িতে ফেরা হয়েছে। ডাক্তারের কথা যখন সবাইকে বলেছিলাম তখন সবাই চিন্তা মুক্ত হয়েছিল।