হঠাৎ যমুনা ফিউচার পার্কে। ২৫-১০-২০২৩
ABB ০২ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার ♥️
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
আজ কিছুদিন যাবত চিন্তা করতেছি যমুনা ফিউচার পার্কে যাব কিন্তু ব্যস্ততার জন্য যাওয়ার সময় পাচ্ছিলাম না। গত ২৫ তারিখ আমি হঠাৎ করে এই ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। অর্থাৎ ২৪ তারিখ সকালের ঈশান নিলাম ২৫ তারিখ ঢাকা যাব। অনেকের সাথে ঢাকায় গেলে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু ইমারজেন্সি যাওয়াতে কারো সাথে দেখা করতে পারলাম না।
আমার কিছু পার্সোনাল কাজে ঢাকায় যমুনা পার্কে গিয়েছিলাম। এর আগে আমি কখনো যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়া হয় নাই। হঠাৎ করে যাওয়াতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আসলে যমুনা ফিউচার পার্ক এত বেশি সুন্দর লেগেছিল যা বলে বুঝাতে পারব না। কিন্তু ২৫ তারিখ যদি আমি যেতে না পারতাম তাহলে হয়তো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যেতে পারতাম না। কারণ প্রতিদিন অনেক বেশি ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছি।
আসলে আমি এবং আমার এক বড় ভাই গিয়েছিলাম । যাওয়ার সময় অনেক ভয় লেগেছিল কারণ ঢাকায় অনেক বেশি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ঝামেলা তৈরি হওয়ার আগেই আমি চলে গিয়েছিলাম। আসলে এটি খুবই ভাগ্য ছিল আমার। যখন যমুনা ফিউচার পার্কের ভিতরে গিয়েছি তখন অনুভূতিটা অনেক ভালো লেগেছিল। ঢাকাতে অনেক বছর ছিলাম কিন্তু কখনো যমুনা ফিউচার পার্কে অথবা বসুন্ধরা সিটিতে যাওয়া হয় নাই। এই দুটি শপিংমলে ঘুরার খুবই ইচ্ছে ছিল।
অনেক কষ্টের বিনিময়ে এ স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। আসলে আমাদের কিছু কিছু স্বপ্ন থাকে যেগুলো খুব সহজে পূরণ হয় না। বসুন্ধরা সিটিতে যে কারণে গিয়েছি একটি স্বপ্নের কারণে। স্বপ্নটি দেখেছি গত তিন বছর আগে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে গত ২৫ তারিখ। আসলে আমাদের জীবনে কিছু কিছু স্বপ্ন থাকে যেগুলো কখনো পূরণ হয় না। আমার স্বপ্নটি এভাবে পূরণ হবে কখনো আশা করি নাই।
পরিবারের সবার সম্মতিতে আমি আমার স্বপ্নটি পূরণ করেছি। এটি পূরণ হওয়াতে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। স্বপ্নটা কি ছিল তা অবশ্যই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিন্তু এখন নয়। স্বপ্নটির কথা বলতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। কিছু কিছু স্বপ্নের কথা একটু দেরিতে বললেই ভালো লাগে। স্বপ্ন যেমন পূরণ হতে তিন বছর সময় লেগেছে তেমনে সবার মাঝে শেয়ার করতেও কিছুদিন হলেও সময় লাগবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ রয়েছে যারা এই বিষয়ে জানেন। বিশেষ করে আমার পরিবারের এবং আপন কাছের কিছু মানুষ। কিন্তু ঢাকাতে গিয়েছে কিছু প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল। কয়েকজন আপু এবং ভাই আমাকে অনেক বেশি রিকোয়েস্ট করেছিল একদিন থাকার জন্য। কিন্তু আমি ব্যস্ততার কারণে একটা রাত থাকার সময় পাইলাম না। কারণ প্রতিদিন আমাকে অনেক ধরনের কাজ শেষ করতে হয়।
সে কারণে এখন ঘুরতে যাওয়ার সময় ও পায়না। এজন্য অনেকদিন হলো ট্রাভেলিং পোস্ট করতে পারি না। আসলে আমি ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ। ভ্রমণ করতেই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। নিজের স্বপ্নটা পূরণ যেমন করেছে তেমনি অনেক মানুষের স্বপ্ন পূরণ করার খুব ইচ্ছে রয়েছে । আমি আশা করি খুব শীঘ্রই সবার স্বপ্নগুলো আমি পূরণ করতে পারব। সবাই ভালো থাকবেন। আমার স্বপ্নটির কথা অবশ্যই আপনাদেরকে বলবো। অপেক্ষায় থাকুন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/NARocky4/status/1719902227413004733?t=9rsnSm3XQqmwZB_hvRMSdg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন বোঝা যাচ্ছে।শপিংমল গুলোতে ঢুকলে আর বের হতে ইচ্ছা করে না৷ আপনার যমুনা ফিউচার পার্কে ঘোরার সপ্ন যে পূর্ণ হয়েছে জেনে ভাল লাগল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন শপিংমল গুলোতে ঢুকলে আর বের হতে ইচ্ছে করে না।
যমুনা ফিউচার পার্কএ যাওয়ার আমারও খুব ইচ্ছা ছিল। আমি যখন ঢাকায় ছিলাম আমার ইচ্ছা ছিল বসুন্ধরা সিটিতে যাওয়া। আমি প্রথম দিন গিয়েছিলাম তারপর ঢাকায় যখন কোচিং করতে গেছিলাম আমি বসুন্ধরা সিটিতে একা একাই যেতাম। অনেক ভালো লাগতো। মন খারাপ থাকলে মন ভালো হয়ে যেত। আপনার জন্য অনেক দোয়া রইল যে আপনি ঢাকার যেরকম পরিস্থিতি তার আগেই আপনি সব কাজ সেরে চলে এসেছেন এটা ভালো লাগলো। আমার মনে হচ্ছে আপনি একটা আইফোন কিনেছেন বা কিছু একটা কিনেছে। অবশ্যই আমি জানতে পারবো আপনার স্বপ্নের কথা আশা করি আপনি। পরিবারের সকলেরই স্বপ্ন পূরণ করবেন এবং আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো ভাইয়া
পরবর্তীতে অবশ্যই বলব। কিন্তু আপনার অনুমানটা অনেক ভালো লাগছে।
আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে সুন্দর একটি পার্ক দেখার সৌভাগ্য হলো ভাইজান। আসলে এ পার্কের নাম আমি ইতো পূর্বে অনেকবার শুনেছি কিন্তু স্বচক্ষে যখন দেখা হয়নি। আপনাদের মাধ্যমে দেখার সুযোগ হয় এভাবে। অনেক অনেক খুশি হলাম আপনার সুন্দর এই পার্কের দৃশ্য দেখতে পেরে।
সুন্দর পার্কের দৃশ্য দেখতে পেরে আপনি খুশি হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
বাহ তাহলে তো বেশ ভালোই করলেন আপনি যমুনা ফিউচার পার্কে যেয়ে ঘুরে আসলেন। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অনেক মানুষের ভিড় ছিল। এখন তো আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে মানুষের ভিড় একটু কম। এমন পরিবেশে আসলেই ঘোরাফেরা করলে বেশ ভালো লাগে। কারণ সব গুলো খুব আরামের মধ্যেই ঘুরে ঘুরে দেখা যায়। অসাধারণ ছিল আপনার অনুভূতি অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু মানুষের ভিড় একটু কম ছিল।
ভাই যমুনা ফিউচার পার্কে আসা যাওয়ার সময়, আমার বাসার সামনে দিয়ে অর্থাৎ মদনপুর দিয়েই আসা যাওয়া করেছেন,কিন্তু আমার সাথে দেখা না করেই চলে গেলেন। যাইহোক যমুনা ফিউচার পার্ক এবং বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে অসংখ্যবার কেনাকাটা এবং খাওয়া দাওয়া করেছি। এই শপিং মল দুটি আমার খুব পছন্দ। আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আমার মনে হচ্ছে আপনি ইউটিউবে যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল শপের ভিডিও দেখে, সেখান থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড স্যামসাং এর "এস সিরিজ কিংবা নোট সিরিজের" কোনো মোবাইল কিনেছেন। যাইহোক আশা করি খুব শীঘ্রই সবকিছু শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। সেই অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
আসলে আমি দিনে গিয়ে দিনে চলে এসেছিলাম, যার জন্য কারো সাথে যোগাযোগ করিনি। কেন গিয়েছিলাম তা অবশ্যই পরবর্তীতে জানতে পারবেন। সম্পূর্ণ পোস্ট দেখে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।