গল্প :- চোখের দেখা ও ভুল হতে পারে ।
ABB 27 আগস্ট ২০২৩ রবিবার ❤️
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি। আসলে বর্তমানে গল্প লেখা একেবারেই হয় না। একটা সময় গল্পের মতো করে অনেক লেখায় লিখতাম । কিন্তু বর্তমানে জেনারেল রাইটিং অনেক বেশি লেখা হয়। বিশেষ করে প্রতি সপ্তাহে একটি জেনারেল রাইটিং লিখে থাকি। আজকের বিষয়টা খুবই ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। আসলে এই গল্প থেকে অনেক সুন্দর একটি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। আশা করি অনেক বেশি ভালো লাগবে। আপারে যদি ভালো লাগে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে অভিমত শেয়ার করবেন।
একটা ছেলে নাম ছিল রতন। রতন খুব ভালো ভদ্র একটি ছেলে। সে খুবই পজেটিভ মাইন্ডের একটি ছেলে। সব সময় পজেটিভ চিন্তা করে চলাফেরা করে। কখনো কারো ক্ষতি করে না রতন। রতন বিয়ে করেছে আজ এক বছর হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে তার সম্মান অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কারণ রতন খুব ভালো একটি ছেলে। আসলে এমন কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় তখন ভালো ছেলেগুলো, মানুষের কাছে খারাপ হয়ে ওঠে। কিন্তু তার ভেতরটা ছিল একদমই পরিষ্কার।
আসলে কিছু সমস্যার কারণে, রতনের পরিবারসহ, রতন তার শ্বশুরবাড়িতে কিছুদিন থাকতেছে। কারণ বিয়ের এক বছরের মধ্যে রতন তার শ্বশুরবাড়িতে থাকার সময় পেত না। আসলে যখন শ্বশুর বাড়িতে আসতো এর কিছুক্ষণ পর আবার চলে যেত। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার তার শ্বশুর বাড়িতে আসা হতো। বিশেষ করে রতনের শ্বশুরবাড়ি , রতনের বাড়ি থেকে খুব কাছে ছিল। মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে ১০ মিনিটের মত সময় লাগতো। এজন্য যখনই রতনের স্ত্রী বলতেন, তখন রতন শ্বশুরবাড়িতে আসতো। সন্ধ্যায় আসলে আবার রাতে চলে যেত।
কয়েক ঘন্টার জন্য সব সময় রতন তার শ্বশুর বাড়িতে আসছে কিন্তু রতন দীর্ঘ সময় কখনো থাকতে পারে না। আজ কয়েকদিন রতন তার শ্বশুর বাড়িতে থাকতে চাই। রতনের শ্বশুর একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার শেষ করে রাতে বাড়িতে আসে। কিন্তু আবার প্রায় সময় দুপুর বেলাও বাড়িতে আসে খাওয়ার জন্য। কিন্তু রতন তার শ্বশুরের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য রতন কে তার শ্বশুর এবং শ্বশুরবাড়ির সবাই অনেক বেশি ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। শুধু তাই নয়, শশুর বাড়ির যে কোন কাজের সিদ্ধান্ত তাকে ছাড়া নেওয়া হয় না।
একদিন সকালবেলা রতন তার শ্বশুরের রুমে আসলো । আসলে শ্বশুর ঘরের সামনের রুমে থাকে। রতন যখন শ্বশুরের রুমে গেল, দেখল বিছানার উপরে, বালিশের পাশে অনেকগুলো টাকা পড়ে আছে। কিন্তু ঘরে অনেক ছোট বাচ্চারা রয়েছে। তারা টাকাগুলো দেখলে নিয়ে যাবে এজন্য রতন, টাকাগুলোকে বালিশের নিচে রেখে দিল। এভাবে সকালে ঘুম থেকে উঠলে প্রায় সময় রতন এই কাজটি করতো। অর্থাৎ টাকাগুলো যদি বাইরে থাকে আর বাচ্চারা যদি নিয়ে যায় এজন্য রতন কাজটি করে। রতন টাকাগুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে বালিশের নিচে রেখে দেয়।
কিন্তু বিষয়টা দূর থেকে কয়েকদিন তার শশুর খেয়াল করতেছে। শশুর ভাবলো তার জামাই অর্থাৎ রতন শ্বশুরের টাকা নিয়ে যায়। প্রায় এভাবে অনেক দিন রতনকে খেয়াল করলো। এভাবে রতনের উপর তার শশুরের অবিশ্বাস হলো। প্রথমত বিষয়টা কাউকে বলে নাই তার শশুর। কিন্তু রতন তার স্ত্রীকে বলল অনেকদিন। যে বাবা প্রতিদিন বিছানার উপর টাকাগুলো রেখে দেয়, বাচ্চারা দেখলে তো টাকাগুলো নিয়ে যাবে। এজন্য প্রায় সময় টাকা দেখলে আমি বিছানার নিচে রেখে দি। তার স্ত্রী বলল তাহলে তো খুবই ভালো।
কিন্তু তার শশুর তাকে অবিশ্বাস করতে শুরু করলো। যখন বিষয়টা তার শশুর তার শাশুড়িকে বলল, শাশুড়ির বিশ্বাস করতেছে না। শ্বশুর বলতেছে অনেকদিন পর্যন্ত আমি বিষয়টা খেয়াল করতেছি, দেখে প্রায় সময় রতন আমার বিছানা থেকে টাকা নিয়ে যায়। আমার নিজ চোখে যদি না দেখতাম তাহলে কখনো বিশ্বাস করতাম না। এই কথা যখন রতনের শ্বশুর তার শাশুড়িকে বলল তখন তার শাশুড়ি ও একটু বিশ্বাস করলো। কিন্তু তার শাশুড়ি যখন রতনের স্ত্রীর সাথে এই বিষয়টা শেয়ার করলো তখন, রতনের স্ত্রী পুরো বিষয়টা মাকে বলল।
মা বলল আচ্ছা ঠিক আছে। এই বিষয়টা যেন কোনভাবে রতন না জানে। রতন জানলে অনেক বেশি মনে কষ্ট নিবে। এরপর মা বিষয়টা বাবাকে বলল। শেষ হলে অনেক বেশি অবাক হল। কিন্তু তার এখান থেকে যে টাকা কমে না এই বিষয়টা বাবা ইতিমধ্যে খেয়াল করেছে। অর্থাৎ যত টাকা রাখে বিছানায়, সেগুলো টাকা আবার বালিশের নিচে পায়। তার শশুর অনেক বেশি লজ্জিত হলো। চোখের দেখা যে ভুল হয় তার বড় একটি উদাহরণ এটা। এজন্য সব সময় পজেটিভ চিন্তা এবং ভালো মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। সত্যের জয় হয় কিন্তু মিথ্যা বুকে লালন করে যদি অবিশ্বাস করা হয় তাহলে নিজেকেই ঠকতে হয়। আশা করি আজকের এই গল্প থেকে আপনারা খুব ভালো একটি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
আমাদের সব সময় চোখে দেখা বিষয়টাকে সঠিকভাবা ঠিক না। কেননা চোখে দেখলেই সবকিছু বোঝা যায় না। যেমনটা রতনের শ্বশুর রতনের প্রতি করেছে। এখানে রতনের শ্বশুর চোখে ঠিকই দেখেছে কিন্তু সে বিষয়টা সম্পূর্ণ বুঝতে পারিনি। তাই আমাদের সবকিছু বুঝে তারপরে কোন কথা কাউকে বলা উচিত। অনেক ধন্যবাদ ভাই এরকম শিক্ষানীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক যে কোন কথা বুঝে তারপরে যে কাউকে বলা উচিত।
গল্পে আপনি সুন্দর ভাবে ফুটে তুলেছেন যে চোখের দেখাও অনেক সময় ভুল হয় আসলেই ঠিক।তাই যাচাই বাছাই না করে কাউকে শুধু চোখের দেখায় কাউকে দোষারপ করা একদম ঠিক না।রতনের মতো অবস্থা হয়তো সমাজে অনেকের সাথেই ঘটে এবং কোন ঘটনার সত্যতা প্রকাশ না পাওয়ার কারণে সু সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।রতনের শ্বশুড় শেষ অবদি ওনার চোখের দেখে যে আসলেই ভুল এটা বুঝতে পেরেছেন জন্য ভুল বোঝাবুঝি শেষ হয়েছিল এটাই অনেক বেশি।
আসলে এরকম ঘটনাগুলোর থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিতে পারি। আর আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে এই সুন্দর মন্তব্যটা করেছেন দেখে সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/NARocky4/status/1695646453237157986?t=vrF2ShwZqpnqQsCoX0qP4Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই।আসলে চোখের দেখায় সব কিছু করা ঠিক না।একটা জিনিসের উপর ভালো ভাবে খোঁজ নিতে হবে এবং সত্যটা যাছায় করতে হবে।তবে আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ চোখের দেখায় যেটা দেখে সেটায় মেনে নেয়। আসলে আমাদের সবার উচিত,এর পিছনে কি লুকিয়ে আছে,সেটা বের করা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
আসলে যে কোন কিছু দেখে বিশ্বাস করা ঠিক না। যাচাই করে দেখতে হয় এই বিষয়টা সত্যি নাকি মিথ্যা। আর এর পেছনে থাকলে লুকিয়ে রাখার রহস্য বের করতে হয়। পুরোটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি বিষয় আপনি আজকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ভাই। এই ঘটনা শুনে সত্যিই প্রমাণিত হলো, চোখের দেখাও ভুল হতে পারে। এক মুহূর্তে ভালো মানুষকেও লোকে এভাবেই অবিশ্বাস করতে শুরু করে দেয়, যেমন ভাবে রতনকে তার শশুর করল । পরে অবশ্য তার ভুল ধারণাও বদলে গেল, এটাই ভালো।
আসলে অনেক মানুষ রয়েছে শুধুমাত্র চোখে দেখলে তা বিশ্বাস করে নেই এবং উল্টো মাইন্ডে নেই। এই বিষয়টা কারো জন্য উচিত না। কারণ এর উল্টোটাও হতে পারে।
গল্পটা খুবই মজার ছিল। একদিকে পড়ে খুবই আনন্দ পেয়েছি। এবং অন্যদিকে অনেক বড় ধরনের একটা শিক্ষা হয়েছে। কারন মানুষের চোখের দেখার মধ্যে অনেক ভুল থাকতে পারে। সরাসরি দেখা এবং আন্দাজ করা খুবই মারাত্মক একটি খারাপ কাজ। অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো।
আসলে এটি অনেক শিক্ষনীয় ছিল। আমাদের উচিত আমরা যা দেখছি তা ঠিক কিনা এটা যাচাই করা।
সত্যি কিন্তু চোখের দেখা অনেক সময় ঠিক হয় না। চোখের দেখাটাই অনেক সময় ভুল হয়। আর এই ভুলের কারনে ভেঙ্গে যায় কত শত সংসার। এটা ভালো যে রতনের শ্বশুড় শেষমেষ নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। রতনের সততাও বুঝতে পেরেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
এটা সত্যি কথা, চোখের দেখাটা অনেক সময় ভুল হয়। হ্যাঁ রতনের শ্বশুর সবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল।
ভাইয়া দারুন একটি শিক্ষা মূলক পোষ্ট করেছেন। আমরা অনেক সময় দেখি একটা কিন্তুু বাস্তবে অন্য কিছু হতে পারে। তাই যে কোন বিষয়ে ভাল ভাবে না জেনে কথা বলা ঠিক না। ধন্যবাদ।
আসলে আমাদের উচিত জেনে শুনে কথা বলা, এমনকি সবকিছু দেখলেও ভালোভাবে দেখা। কারণ যেটা দেখা যায় সেটা সঠিক না, যেটা দেখা যায় না সেটা সঠিক।