কালবোউস মাছ দিয়ে কচুর মুখির মজাদার রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা❣️❣️
  • সবাই কেমন আছেন?
    আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো কালবোউস মাছ দিয়ে কচুর মুখির মজাদার রেসিপি😋। আমার সবচেয়ে প্রিয় সবজি হলো কচুর মুখি। সত্যি বলতে আমি এক প্লেট ভাত সাবাড় করে ফেলতে পারি 😂। সাথে যদি এক টুকরো লেবু হয় তাহলে কোন কথাই নেই।

  • আর তাছাড়া কচু মুখে আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। অনেকে কচুর মুখের ছাল ছাড়ানোর ভয়ে এটি রান্না করে না। যাইহোক রেসিপিতে যাওয়া যাক।

আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
রেসিপিটির ফাইনাল লুক

GridArt_20220923_203112512.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
  • কচুরমুখি
  • কালবোস মাছ
  • লবন
  • রসুন বাটা
  • পেঁয়াজ কুঁচি
  • কাঁচা মরিচ
  • হলুদের গুঁড়া
  • মরিচেরগুঁড়ো
  • জিরে গুঁড়া
  • সরিষার তেল

GridArt_20220923_203412924.jpg

প্রথম ধাপ:
  • প্রথমে মাছগুলোর মধ্যে হলুদের গুঁড়ো এবং লবণ মাখিয়ে নিলাম। এভাবে ৫ মিনিট মেখে রাখলাম।

GridArt_20220923_202834453.jpg

দ্বিতীয় ধাপঃ
  • এখন চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম এবং পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। তিল গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম।

GridArt_20220923_202851015.jpg

তৃতীয় ধাপ:
  • এখন পাতিল এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও রসুন বাটা দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম। ‌

GridArt_20220923_202908410.jpg

GridArt_20220923_202917718.jpg

চতুর্থ ধাপ:
  • তারপর পাতিল এর মধ্যে মশলার সবগুলো উপকরণ পরিমাণ মত দিয়ে দিলাম।

GridArt_20220923_202930277.jpg

পঞ্চম ধাপ:
  • এখন মসলা গুলো মিক্স করে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম।

GridArt_20220923_202946266.jpg

ষষ্ঠ ধাপঃ
  • মসলাগুলোর মধ্যে বলক আসলে কেটে রাখা কচুর মুখে দিয়ে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করলাম।

GridArt_20220923_203006522.jpg

সর্বশেষ ধাপ:
  • এখন পাতিল এর মধ্যে ভাজা মাছ গুলো দিয়ে দিলাম। এবং আবার কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে দিলাম। ৫-৬ মিনিট রান্না করা করার পর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

GridArt_20220923_203022536.jpg

মজাদার রেসিপিটি এখন সম্পূর্ণ তৈরি।

GridArt_20220923_203101910.jpg

GridArt_20220923_203039671.jpg

আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা
@naimuu
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🥰🥰
Sort:  

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

 2 years ago 

আপু একদম ঠিক বলেছেন, কচুর মুখির ছাল ছাড়ানোর জন্য অনেক সময় খাওয়া হয় না। আমার কাছেও মনে হয় কচুর মুখির ছাল ছাড়ানো খুবই কষ্টের একটি কাজ। তবে কষ্ট করলেইতো সুস্বাদু রেসিপি খাওয়া সম্ভব। যাইহোক অপু আপনার তৈরি কালবাউশ মাছ দিয়ে কচুর মুখির মজাদার রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে খেতে খুবই স্বাদ হয়েছে। প্রতিটি ধাপ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

প্রবাদেই আছে কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে।
অনেকেই কষ্টের জন্যই ছাল ছাড়ানোর ভয়ে এসব যদি রান্না করো না, কিন্তু এটি অনেক মজার একটি সবজি। যাইহোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যটির জন্য।

 2 years ago 

কচুরমুখি আপনার প্রিয় সবজি জেনে ভালো লাগলো। কচুরমুখি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমিও কচুরমুখি দিয়ে ডাল রান্না করেছিলাম। সাথে মাছের মাথা দিয়েছিলাম। খেতে দারুণ হয়েছিল। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিও দারুণ হয়েছে আপু।

 2 years ago 

হ্যাঁ কচিমুখের সাথে মাছের মাথা দিলে এই সাদাার উদ্দিনের বৃদ্ধি পায়। এবং খেতেও বেশ ভালো লাগে।

 2 years ago 

কালিবাউশ মাছ স্বাদের মাছ তাই যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই ভালো লাগে। আর কুচুর মুখি তো অনেক ভালো লাগে খেতে দুটো স্বাদের জিনিস একত্রে হয়ে এর স্বাদ আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।আপু আপনি খুবই সুন্দর ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

দুটো সাদের জিনিস একসাথে হলে আরো বেশি টেস্ট বেড়ে যায়। একদম ঠিক বলেছেন আপনি আপু।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

কালবোউশ মাছ দিয়ে কচুর মুচির মজাদার রেসিপি টি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। কালবোউশ মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমি মাঝে মাঝেই বাসায় কালবোউশ মাছ রান্না করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

জ্বী আপু কালবাউস মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

কচুর মুখী আপনার প্রিয় সবজি জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলেই পছন্দের সবজি দিয়ে অনেকগুলি ভাত একসঙ্গে খেয়ে ফেলা যায়। কাল বোস মাছ কখনো খাওয়া হয়নি।এর কি অন্য কোন নাম আছে? আপনার রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো। মনে হয় খেতে বেশ সুস্বাদু হবে।মাছগুলো ভেজে নেওয়াতে মনে হয় এর স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছিল।ধাপ গুলো বেশ ভালো ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বাউগনি,কালিয়া আবার আমরা নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় এটিজে কাইল্লারা মাছ বলি। এ মাছ একটু কালো দেখতে। আপনি একবার গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন আপু। মনে হয় চিনবেন আপনি।

 2 years ago 

কালবোউস মাছ সাথে কচুর মুখী দুটোই খুব ভালো কম্বিনেশন। আসলে কচুর মুখি দিয়ে তরকারি রান্না করলে সেটার মজা একটু অন্যরকম ই হয়ে থাকে। কালবোউস মাছ আনার কাছে খুবই মজাদার একটি মাছ। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাইয়া কোচের মুখে দিয়ে যে কোন মাছ সাথে থাকলে তা মজা হবেই। আর কালবাউশ মাছ আমারও খুব প্রিয় একটি মাছ।

 2 years ago 

আপনার তৈরি করা কালবোউস মাছ দিয়ে কচুর মুখির মজাদার রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

 2 years ago 

আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

অনেকদিন আমাদের পুকুরে কাল-বাউশ মাছ চাষ করা হয় না। কাল বাউশ মাছটি বেশ আমার কাছে দারুন লাগতো। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাড়ির পুকুরগুলোতে এই মাছ চাষ করা হতো, তবে এখন আমরা পুকুর আবাদ করে থাকে কিন্তু এই মাছের পোনা তেমন একটি পোনা পাওয়া যায় না বলে চাষে ফেলা হয় না। যায়হোক, এই মাসের রেসিপি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো

 2 years ago 

আমার জানামতে আপনি পাঙ্গাস মাছের চাষ করেন। যাই হোক আমাদের এদিকে সব পুকুরে মাছটি পাওয়া যায়। আর এই মাছটিও আমাদের পুকুরের মাছ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।

 2 years ago 

আপু কালবাউস মাছ দিয়ে কচুর মুখির রেসিপিটা রান্না করার সময় এক কালার আর পরিবেশনের সময় অন্য কালার দেখলাম। হয়তো ফটোগ্রাফির কারনে এমন হয়ছে। তবে রেসিপিটা মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 99357.59
ETH 3318.45
USDT 1.00
SBD 3.07