সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন - তৃতীয় পর্ব
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগার বন্ধুরা, আসাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আর এই ভালো থাকা নিয়েই আজকে আপনাদের মাঝে সেয়ার করতে যাচ্ছি সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব।
বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা ৮বর্গ কিঃমিঃ এর নীল জলরাশি দিয়ে ঘিরে রাখা বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন।
আপনাদের সাথে সেয়ার করব, এই দ্বীপে আমার চলাফেরা।
যারা প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়তে চানঃ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন - প্রথম পর্ব
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন - দ্বিতীয় পর্ব
এ পর্বে সেয়ার করবো সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর মনকাড়া সৌন্দর্য উপভোগ
৩১ শে জানুয়ারি ২০২১
আমরা দুপুরের খাবার শেষ করেছি, খাবার শেষে ছোট্ট মিটিং এর মাধ্যমে আমাদের করনীয় এবং বর্জনিয় সারসংক্ষেপে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
ছবিঃ শেষ দুপুর ৩:৩০, নীল দিগন্ত রিসোর্ট
মিটিং শেষ করে বেরিয়ে পরি নীল পানিতে পা ভেজাবার জন্য,
কিন্তু তা আর হলো না,
কারণ
একটা ভুল করেছিলাম,
সমুদ্র পারে হাটার জন্য এক্সট্রা সেন্ডেল নিয়ে আসতে মনে ছিলো না। আপনার যদি কখনো এরকম জায়গায় ভ্রমন করেন অবশ্যই সেন্ডেল নিয়ে যাবেন।
কিন্তু পরিবেশটা আমার সাথেই মিলিয়ে ছিলো। তখন ভাটা চলছিলো।
যাইহোক অনেই তখন সাইকেল নিয়ে ঘুরা ফেরা করতেছিলো, সেটা দেখে আমাকে আটকে রাখতে পারলাম না। আমি সহ আরো তিন সহ কর্মী মোট চারটা সাইকেল ভাড়া নিলাম, ৫০৳ ঘন্টা।
নোটঃ সাইকেল মালিক, আপনার কাছ থেকে ৮০-৯০ টাকা ঘন্টা প্রতি চাইবে, এক্ষেত্রে যদি আপনি একা থাকেন তাহলে হয়তো খুব বেশি কোমাতে পারবেন না। আমরা চারজন ছিলাম তাই কোমাতে পেরেছিলাম। কিন্তু, অনেকে ৪০৳ করেও নিয়েছিলো।
প্রথম দিনের সেন্টমার্টিন এর ঘুরা ফেরা ও কিছু ছবি
ছবিঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপ, বিকেল ৪:৩৭ মিনিট
ছবিঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপ, বিকেলে ৪:৫১ মিনিট
ছবিঃ বিকেল ৫:৪৮
জ্যামেতিক নিয়মে এরকম হয়তো পৃথিবীতে একবারই ঘটেছিলো
ঘোরাঘুরি শেষ এখন সন্ধা ঘনিয়ে এসেছে, সেই সাথে শুরু হয়েছে জোয়ারের ।
বিচের পারে অনেক গুলো দোকান বসেছে, ফুটপাতের দোকান গুলোর মত।
সেখানে অনেক রকম সামুদ্রিক মাছ এবং কাকড়া বিক্রি চলছে।
ছবিঃ এটার নাম আমি জানি না, সামুদ্রিক মাছ
ছবিঃ সামুদ্রিক কাকড়া
এটা দেখে খাওয়ার আনুমানিক স্বাদ গ্রহন করলাম।
আমরা চারজন ছিলাম তাই তিনটা কাকড়া অর্ডার করলাম।
নোটঃ ছোট বেলায় যারা কাকড়া খাওযার অভিজ্ঞতা রেখেছেন, তারা এটা খেতে পারবেন, নয়তো খেতে গিয়ে নষ্ট হওয়ার চান্ছ ৯০%।
অর্ডার করতেই সেটাকে রান্নার কাজ শুরু করে দিলেন।
ছবিঃ রান্নারত সামুদ্রিক কাকড়া
রান্নাটা খুবএকটা ভালো হয়নি, তবুও অনেকদিন পরে খাওয়া, ভালই লাগলো। ভাজা কাড়ার সাথে টমেটো সচ দিয়েছিলো।
ছবিঃ খাওয়ার শেষের দিক তুলেছিলাম
খাওযা শেষ করে ফিরে আসি রিসোর্টে। মাশাআল্লাহ, সেখানেও আয়োজন চলছিলো রাতের জন্য বারবিকিউ এর।
ছবিঃ সন্ধা ৭:১৮, নীল দিগন্ত রিসোর্ট এর বারবিকিউ তৈরি
এর পরে রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ রেষ্ট করি ও ফোনটাকে চার্জ করি,
৯টায় রাতের বারবিকিউ পার্টির মাধ্যমে রাতের খাবারের আযোজন শেষ করা হয়।
রাত ১০টা,
সিডিউল অনুযায়ী তখন ফানুস উরানোর কথা। তাই আবারো বিচ্ এর দিকে রওনা হলাম।
এবং সেখানে উপস্থিত থেকে ফানুস উরানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু অতিরিক্ত বাতাশ থাকার কারনে সব চেষ্টাগুলো ব্যর্থ হলো।
তবে অনেকেই সফল ভাবে উরাতেও পেরেছিলো। যাই হোক সবাইকে দিয়েই সবকিছু হয় না।
ছবিঃ রাত ১০:৩১, সেন্টমার্টিন
ডিভাইসঃ অপ্পো এ৯ ২০২০, নাইট মোড
এই ফানুস উরানোর মধ্যদিয়ে শেষ হয় সেন্টমার্টিন এর প্রথম দিনের।
আজকে এই পর্যন্ত……..
আমার পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনাঃ
যারা সেনমার্টিন ভ্রমন করবেন অবশ্যই টাইম মেইনটেইন করে সেখানে চলাফেরা করবেন। হোক সেটা একা একা বা ফ্যামেলি গত ট্যুর। আর এটা ট্যুর শুরু করার আগেই ঠিক করে নিবেন। তা নাহলে অনেক কিছু না দোখায় থেকে যাবে। এ বিষয়ে শেষ পর্বে বুঝতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। এটা মাথায় রেখে আমি বেশিরভাগ জায়গায় সময় উল্লেখ করেছি।
শেষ পর্ব দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই বিদায় জনাচ্ছি। - আল্লাহ হাফেজ
ফানুস ওড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আমিও উড়িয়েছিলাম।কিন্তু বেশি বাতাস থাকলে উড়েনা।আবার বাতাস না হলেও উরেনা। ভাইয়া আপনি সেন্টমার্টিন দ্বীপে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।ফটোগ্রাফি গুলো ও খুব সুন্দর ছিল।আপনাকে ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ আপু, মনে হচ্ছে আপনি সেন্টমার্টিন গিয়ে ফানুস উরিয়ে ছিলেন। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন দেখে খুবই ভালো লাগলো আমারও ইচ্ছা আছে যাওয়ার কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি। ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি যাব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সমুদ্রসৈকতে কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম কিন্তু সেন্টমার্টিনে যাওয়া হয়নি । আমার খুব শখ এই জায়গাটিতে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখছি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
সেন্টমার্টিন আমার আবেগ। আমি অফ-সিজনে দুইবার কক্সবাজার গিয়েছি। কিন্তু সেন্টমার্টিন যেতে পারিনি তবে আশা আছে ইনশাল্লাহ সেন্টমার্টিন ঘুরে আসব ।।আপনার সেন্টমার্টিন ভ্রমনের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো।।
কক্সবাজারের চেয়ে অনেক সূন্দর পরিবেশ আর প্রকৃতি পাবেন। হালকা শীতের ভেতরে যাবেন বেশি ভালো লাগবে
ভ্রমণ কাহিনী পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার সেন্টমার্টিন ভ্রমনের গল্পটা পড়ে নিজের সেন্টমার্টিন ভ্রমনের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারো ভ্রমন কাহিনি লেখতে এবং পড়তে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও