বাঘের মাংস (এঁচোড়) রান্না রেসিপি।
বাঘের মাংস (এঁচোড়) রান্না রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
আমি @mrnazrul আপনাদের বাংলাদেশী বন্ধু ।
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন ।
আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থভাবে সময় পার করছেন ।
আলহামদুলিল্লাহ,
আমিও মহান আল্লাহর রহমত ও আপনাদের দোয়া নিয়ে সুস্থ শরীরে থেকে আপনাদের সাথে একটি পোষ্ট উপহার নিয়ে দেখা করার চেষ্টা করছি।
বন্ধুরা
আপনারা জানেন নতুনত্ব সব সময় আমি কামনা করি ।আমি সব সময় চাই আমার টি আমার মত হোক ।আপনারটি আপনার মত হোক ।কারো অনুকরণ ও অনুসরণ নয় শুধু চোখের দেখা ও মনের বুঝ।
বন্ধুরা
আপনাদের জন্য আমার আজকের উপহার এঁচোড় ও আলু দিয়ে সাধারন রেসিপি ।এঁচোড়কে আমাদের এলাকায় কাঁঠালের জালি বলে ।কেউ কেউ কাঁঠালের মুঁচিও বলে থাকে ।
তবে আমাদের এলাকার আশেপাশে একে বাঘের মাংস নামে সবাই চিনে থাকে।
তাই আমি আজকের রেসিপি শিরোনামে বাঘের মাংস হিসেবে অভিহিত করেছি যা সহজে আপনাদেরকে আকৃষ্ট করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস ।
তবে দিনাজপুর হিলি বর্ডার এলাকায় সবাই একে বাঘের মাংস বলেই ডাকে ।কদাচিৎ কেউ জ্বালা বা কাঁচা কাঁঠাল বলে থাকে।
বন্ধুরা
এখন আমি আপনাদের দেখাবো আমার এই বাঘের মাংস কিভাবে রান্না করতে হয় ।এখানে বলে রাখা ভাল আজকের এই তরকারির পুরা কচি স্বাদ নিতে শুধু আলু দিয়ে রান্না করা হবে।
এখানে আজকে আর অন্য কিছু মেশানো হবেনা ।তবে আমরা একে ডিম, মাছ-মাংস উভয়ের সাথে খাই।
এখন আমি আপনাদের দেখাবো কি কি উপাদান নিয়ে আজকের বাঘের মাংস রান্না করতে বসেছি ।
দেখুন তাহলে----
🍅প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমান🥔
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ছোট একটি কাঁঠাল | আনুমানিক সোয়া কেজি। |
আলু | আধা কেজি পরিমাণ |
পিয়াজ | দুটি |
রসুন | একটি |
আদা | ১ ইঞ্চি পরিমাণ |
জিরা | দেড় চামচ পরিমাণ |
লবন | দু-চামচ পরিমাণ |
হলুদ | দেড়চামচ পরিমাণ |
মরিচগুঁড়া | দু'চামচ পরিমাণ |
তেজপাতা | ২ টি |
সয়াবিন তেল | আধা কাপ পরিমাণ |
বন্ধুরা
এই ছিল আমার আজকের বাঘের মাংস রান্নার উপকরণসমূহ ।এখন আমি আপনাদেরকে নিয়ে আমার রান্না ঘরে প্রবেশ করব ।আর দেখাতে থাকবো কিভাবে আমার বাঘের মাংস আলু দিয়ে রান্না করে সুস্বাদু করা যায় ।
তাহলে এবার ধাপে ধাপে দেখতে থাকুন-----
🔥আমার পাকশালা☃️
🔥রান্না চলছে-০১☃️
রান্নার জন্য এঁচোড় সাইজ মত কেটে হালকা ভাপে নেওয়া হয়েছে। ভাপানোর সময় ১ চিমটি হলুদ ও ১ চিমটি লবণ দেওয়া হয়েছিল ।এখন ধুয়ে রান্নার জন্য রেডি করে নেওয়া হয়েছে।
🔥রান্না চলছে-০2☃️
আলু সিদ্ধ করে ছিলে নেওয়া হয়েছে। এঁচোড়ের অরজিনাল স্বাদ নেওয়ার জন্য রান্নাটি শুধু আলু দিয়ে রান্না করা হবে।
🔥রান্না চলছে-০৩☃️
কড়াইয়ে প্রথমে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিয়ে তাতে রসুন ও পেঁয়াজ কুঁচি ভেজে নেওয়া হয় ।সুন্দর করে ভেজে বাদামী রং ধারণ করলে তাতে আলু ঢেলে দিয়ে আলতো করে কষিয়ে নেওয়া হয় ।আলু কষানো হলে তারপর সেখানে এঁচোড় টুকরোগুলো ফেলে দেওয়া হয় । এবার ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
🔥রান্না চলছে-০৪☃️
এবার প্রয়োজনমতো হলুদ ,মরিচ, পিঁয়াজ, মসলা বাটা, সহ সব মসলা একে একে দিয়ে দেওয়া হয়।
🔥রান্না চলছে-০৫☃️
এবার তরকারির সাথে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে আরো একবার সুন্দর করে কষিয়ে নেওয়া হয়। কষানো শেষ হলে হালকা পানি দিয়ে তরকারি ঢেকে দেওয়া হয়।
🔥রান্না চলছে-০৬☃️
এ পর্বে তরকারির ঢাকনা খুলে আরো একবার আলতোভাবে কষিয়ে মাখোমাখো হলে , তাতে শেষ রান্নার জন্য পরিমাণ মতো অল্প পানি দেওয়া হয় ।
🔥রান্না চলছে-০৭☃️
হালকা নাড়া চাড়া দিয়ে তরকারি প্রায় হওয়ার পথে ,নামিয়ে নেওয়া হবে।
🔥রান্না চলছে-০৮☃️
তরকারি নামিয়ে ভাতের পাতিলের কাছে রেখে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকেই পরিবেশন পাত্রে উঠিয়ে নেওয়া হবে।
🔥রান্না চলছে-০৯☃️
তরকারি পরিবেশনের জন্য পুরাই রেডি।
বন্ধুরা
এই ছিল আমার আজকের বাঘের মাংস রান্নার রেসিপি ।
আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে।
আর ভালো মন্দ বলার জন্য মন্তব্য বক্স তো ফ্রি রয়েছে ।
এখন আমি গরম গরম খেতে আপনাদের কে নিয়ে খাবার টেবিলে চলে যাব ।
চলেন আমার সাথে আপনাদেরও দাওয়াত রইলো।
Visit My Another Activists
Blog
Youtube
Regard By | @mrnazrul, Bangladesh |
---|---|
Category | **Flower, Nature, |
Device | Samsung F22 |
w3w | Location |
Beneficiary | 10% benefit of shy-fox. |
বাঘের মাংস দারুন একটি বিষয় জানলাম। এতদিন মানুষ বড় কিছু করলে বলতো বাঘের বাচ্চা আর আজকে বাঘের মাংস । বন ও প্রানি বিভাগ জানলে আপনাকে কিন্তু ধরে নিয়ে যাবে । হাহাহা। দুষ্টমি করলাম। এঁচোড় তো সেই ছোট বেলা থেকেই খাই। সুতরাং এর স্বাদ কেমন জানি। তবে রেসিপির নামটি বেশ চমৎকার । স্থান কাল পাত্র ভেদে নামের কত পরিবর্তন হয় তা আজকের পোষ্ট না পড়লে কেউ জানবে না।
আমাদের আশেপাশে এ নামেই ডেকে থাকে। তবে দিনাজপুরের হিলি বর্ডার এলাকায় এটাকে এ নামেই ডেকে থাকে।
বড় ভাই, বাঘের মাংস নামটি দেখেই কিছুটা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম😲, তারপরে লক্ষ্য করলাম আপনি এঁচোড় রান্না করেছেন। এঁচোড় রান্না করেছেন তাও আবার আলুর সমন্বয়ে আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন রেসিপি। কারণ আমরা সব সময়ই এঁচোড় খাই বিভিন্ন ধরনের মাংসের সমন্বয়ে তৈরি করে। আলু দিয়ে এতো সুস্বাদু করে রেসিপি তৈরি করা যায় তা আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আর এই সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের এলাকায় এটিকে বাঘের গোস্ত বলে থাকে ।বিশেষ করে যে সময়ে রান্না শুরু হয়ে যায়।
আমাদের এলাকায় কাঁঠালের মুচি বলে। তবে প্রথমে আপনার রেসিপির টাইটেল দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম 😁 ঝোলের কালার দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হয়েছিল।
এঁচোড়ের অরজিনাল স্বাদ বজায় ছিল।
ভাইয়া আপনার রেসিপির টাইটেল দেখে তো আমি প্রথমে মনে করেছিলাম আপনি ভাগের মাংস রান্না করেছেন পরে ভিতরে ঢুকে দেখলাম আপনি কাঁঠালের এঁচোড় এর নাম দিয়েছেন বাঘের মাংস। দেখে তো মনে হচ্ছে সুস্বাদু খাবার। আমার কাছে অসম্ভব ভাল লেগেছে আপনার রেসিপি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমাদের এলাকায় এটাকে বাঘের মাংসই বলে ।বিশেষ করে যে মুহূর্তে এটাকে কেটে রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হয়, তখনই বলা হয় বাঘের মাংস ।খাওয়ার পর কেউ জিজ্ঞাসা করলেও তখন উত্তর দেয়া হয় বাঘের মাংস খেয়েছি।
টাইটেল দেখে তো রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বাঘের মাংস রান্না। তারপর ভেতরের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আসলে আপনি এঁচোড় রান্না করেছেন। খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন এছাড়া রান্না করে খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাঘের মাংস টাইটেল দেখে আমার শরীর তো ঝিমে উঠেছে । তবে যখন বাঘের মাংস দেখতে এলাম পোস্ট এর ভিতরে , দেখলাম কাঁচা কাঁঠাল রেসিপি করেছেন। আপনার করা কাঁচা কাঁঠাল রেসিপি আমি কখনো খাইনি , তবে এর সিদ্ধো খেয়েছি। অনেক সুন্দর এবং আকর্ষনীয় একটি রেসিপি হয়েছে , সব চেয়ে বেশি আকর্ষনীয় হচ্ছে টাইটেল। শুভকামনা
সিদ্ধ আমরাও খাই ।তবে বছরে২-৪ বার তরকারিও খাই ।ভালই লাগে। তবে সবসময় ভালো লাগেনা।
সিদ্ধ আমরাও খাই ।তবে বছরে২-৪ বার তরকারিও খাই ।ভালই লাগে। তবে সবসময় ভালো লাগেনা।
ভাইয়া টাইটেল দেখে আমি তো রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বাঘের মাংস রান্না। সত্যি পোস্টের ভিতরে গিয়ে সবকিছু দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার রান্না প্রসেসিং টা অনেক ভাল ছিল একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
টাইটেল পড়ে তো রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছিলাম বাঘের মাংস 🤔 পরে বুঝলাম যে এটা আপনাদের আঞ্চলিক ভাষা। আসলে কাঁঠালের এঁচোড় রান্না আমারও খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে অবাক করা একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
এটা আসলে দর্শক মুগ্ধতা করার একটা কৌশল। তবে আমাদের এলাকায় এভাবেই একে ডেকে থাকে।
আমি প্রথমে আপনার টাইটেল দেখে হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। পরে পোস্ট দেখে বুঝলাম একটি কাঁঠাল এর তরকারি। কাঁঠালের তরকারি আমার খুবই ভালো লাগে। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। এত সুন্দরভাবে গুছিয়ে কাঁঠালের মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
সাধারণত নতুনত্বে আমরা এরকম কিছু ফিল করেই থাকি ।আপনি যা করেছেন এটি নতুন কিছু না ।সবারই হয়ে থাকে।
ছোট্ট একটি কাঁঠাল দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা খেতে খুবই মজা দায়ক এখনো খাওয়া হয়নি এই বছরে দেখে ভালো লাগলো ভাই।
খাওয়ার মধ্যে এটি ছিল আমার দ্বিতীয় সারিতে
আগেরটি মসুরের ডাল দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়ে গেছে
আর এটি আলু দিয়ে রান্না করে খাওয়া হলো ।ভালোই লাগে।