ভ্রমণঃ অনেকদিন পর ধানমন্ডি লেক ভ্রমণ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। এর আগে আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছি যেখানে আমি বলেছিলাম ধানমন্ডি লেক এর বিখ্যাত মেহেরপুরি খাবার বিষয়টি। যেহেতু ঢাকাতে অনেকদিন পরে গিয়েছি আর ঢাকাতে যাওয়ার হয়েছে যখন তখন ধানমন্ডি লেক ভ্রমণ করব না এটা তো হতেই পারে না। যেহেতু আমি ধানমন্ডি ১৫ নম্বর জিগাতলা রোড এ থাকি যার কারণে ধানমন্ডি লেক আমার খুব কাছেই অবস্থিত। যখন আমি প্রতিনিয়ত ঢাকাতে থাকতাম তখন বেশিরভাগ সময় ধানমন্ডি লেক এ কাটানো হতো। যখনই ভালো লাগতো না অথবা ঘুরতে বের হতে ইচ্ছা হতে ঠিক তখনই এই জায়গাটিতে যেতাম এবং সকলে একত্রিত ভাবে আড্ডা দিতাম। দীর্ঘ কয়েক বছর ঢাকাতে থাকা হচ্ছে না যার কারণে অনেকদিন এই জায়গাটিতেও যাওয়া হয়নি। গত দিনে অনেকদিন পর এখানে যখন যা ছিলাম তখন নিজের কাছে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করছিল।
আমাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি ছিল যে ফটোগ্রাফি ধারন করাই খুবই পুটু। সেই ফটোগ্রাফি ধারণা করতে এতটাই বেশি পরিমাণে ভালোবাসে যেখানেই যাক না কেন ফটোগ্রাফি দারুন করতে শুরু করে দেয়। সত্য কথা বলতে তার ফটোগ্রাফি ধারণ করার হার ও অনেক সুন্দর। আর ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মাঝে মাঝে রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে যায়। সত্য কথা বলতে তার ধারণ করার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি ভাবি যে মানুষ কিভাবে পারে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণা করতে। যাক সে যখন সাফি মামার ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিল তখন আমি এই ছবিটা তুলে নিয়েছিলাম।
এরপরে আমরা ধানমন্ডি লেক এর মধ্যে প্রবেশ করলাম। যেহেতু বেশ কয়েক বছর এই ধানমন্ডি লেকে যাওয়া হয়নি তাই অনেক কিছুই আমার কাছে নতুন নতুন মনে হচ্ছিল। আমি যখন প্রতিনিয়ত ধানমন্ডি লেকে যেতাম তখন সম্ভবত এই লেক হাউসটি ছিল না। যেহেতু এটা নতুন তৈরি করা হয়েছে আর এখানে প্রচুর পরিমাণে লাইটিং ব্যবহার করা হয়েছে এজন্য এটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। এখানে আমিও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম কিন্তু ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে নেই তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলাম না।
আপনারা কি কেউ কোন সময় ধানমন্ডি লেক ভ্রমণ করেছেন সেটা আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি কেউ এই জায়গাটা ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানাবেন যে এখানে সময় অতিবাহিত করতে আপনার কেমন লেগেছিল। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না আজকের মত এ পর্যন্তই। পরবর্তী সময়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
শ্রেণী | ধানমন্ডি লেক ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
W3W | https://w3w.co/mixes.highbrow.unrealistic |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি অনেকবার ধানমন্ডি লেকে গিয়েছি, ভালই লাগে । রাতের বেলা জায়গাটি অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। যেখানে অনেক মানুষ গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে। আপনি দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন ভালই লাগলো । আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পরিবেশটা উপভোগ করলাম।
এই জায়গাটাতে অনেক ধরনের লাইটিং থাকার কারণে এটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
জিগাতলা থেকে ধানমন্ডি লেক বেশ কাছে। আমরা এখন মোহাম্মদপুর থাকি মাঝেমধ্যে এই ধানমন্ডি লেকে হাটাহাটি করার জন্য যাওয়া হয়ে থাকে। একটু প্রকৃতির মাঝে হাটাহাটি করতে পারলেন ভালো লাগে তবে এখানে মানুষ অনেক ভিড়। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
জিগাতলা নতুন রাস্তা ধানমন্ডি লেকের কাছে হবার কারণে এখান থেকে অল্প সময়েই যাওয়া যায়।
আমি অনেকবারই ধানমন্ডি গিয়েছি। তবে সময় স্বল্পতার কারণে এই লেকে যাওয়া হয়নি৷ আপনি যখন আজকে লেকে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ ধানমন্ডিতে এরকম সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে তা আমি কখনো জানতাম না৷ আপনার মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু আজকে জানতে পারলাম৷ অবশ্যই পরবর্তী সময় যখন যাব তখন এখানে যাওয়ার চেষ্টা করব৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ব্যস্ততা এমনই একটা বিষয় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কাজ করতে পারা যায় না।