লাইফস্টাইলঃ বৃষ্টির দিনে রাতের বেলায় গ্রামের ছেলেদের সাথে পিকনিক
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই সবসময় এই গ্রামের ছেলেদের সাথে সময় অতিবাহিত করার সুযোগ পায়। এইতো কিছুদিন আগের কথা হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। যেহেতু বৃষ্টির দিন তাই বৃষ্টির দিনে অন্যরকমের একটা কিছু না করলে আমাদের ভালো লাগে না। আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করলাম কি করব আর কিভাবে করব। এমনটা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একজন বলে ফেলল যে আজকে রাতে পিকনিক করলে কেমন হয়। সেই একজনের কথা অনুসারে আমরা সকলেই রাজি হয়ে গেলাম আর রাতের বেলায় হঠাৎ পিকনিকের আয়োজন করতে শুরু করে দিলাম। যেহেতু রাতের বেলায় বিক্রি করব তাই কি দিয়ে পিকনিক করবো সেটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না । খুঁজে খুঁজে একজনের বাড়িতে দেশি মোরগ পাওয়া গেল আর আমরা সেই দেশি মোরগের মাংস দিয়েই পিকনিক করার কাজ শুরু করে দিলাম। যেহেতু বৃষ্টির দিন তাই এই দেশি মোরগের মাংসের সাথে খিচুড়ি খুবই ভালো লাগবে তাই তো আমরা খিচুড়ি রান্না করেছিলাম।
ঐদিন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছিল তাই আমাদের পিকনিক শেষ করতে করতে অনেক বেশি রাত হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পরে যখন আমি বাড়িতে এসেছিলাম তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেছিলাম রাত তিনটা বাজে। আসলে এমনটা গ্রামে না থাকলে কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। শহরের জীবন যাপনে এই ধরনের আনন্দঘন মুহূর্তটা অতিবাহিত করাটা অনেক কষ্টের হয়ে যায়। গ্রামে থাকার কারণেই আমি এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো অতিবাহিত করার সুযোগ পাই। যাই হোক আমরা সকলেই সাহায্য করেছিলাম রান্নার কাজে। কারণ এই রাতের বেলায় যদি একজনকে দায়িত্ব দিয়ে রান্নার কাজ করানো যেত তাহলে আরো বেশি সময়ের প্রয়োজন হতো। আর আমরা সবসময় চেষ্টা করি সকলে মিলেমিশে কাজ করতে তাহলে দেখা যায় যে কোন কঠিন কাজই অনেক সহজ হয়ে যায় আর সেই কাজের মধ্যে অন্য রকমের একটা আনন্দ অনুভূতি পাওয়া যায়। আর আমি লক্ষ্য করে দেখেছি পিকনিকের বিষয়টাতে যদি সকলে মিলে মিশে কাজগুলো সম্পন্ন করা যায় তাহলে পিকনিকের আনন্দটা আরও বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
আমাদের বয়সে একটা ছেলে রয়েছে সে খুবই ভালো রান্না করতে পারে তাই রান্নার প্রধান দায়িত্বটা তাকেই দেয়া হয়েছিল। আমরা শুধুমাত্র তাকে রান্নার কাজে সাহায্য সহযোগিতা করেছিলাম যেন সে সহজে কাজটা করতে পারে। রান্না শেষে আমরা সকলে মিলে একত্রিতভাবে খিচুড়ির সাথে দেশি মোরগের মাংস মজা করে খেলাম। এর মধ্যে আমরা কিছু টমেটোর সালাদও তৈরি করেছিলাম যার কারণে এটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে গিয়েছিল।
রাতের বেলায় পিকনিক করার বিষয়টা আপনাদের কাছে কেমন লাগে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোটবেলায় এরকম পিকনিক অনেক খেতাম। এখন যেহেতু গ্রামের বাসায় থাকা হয় না তাই পিকনিক খাওয়ার সুযোগ হয় না। আপনার এই পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পরে গেল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির দিনে খাওয়া-দাওয়া টা বেশ মজার। আরে খাওয়া-দাওয়া টা যদি পিকনিকের খাওয়া-দাওয়া হয় তাহলে তো আনন্দটা আরো বেড়ে যায়। রাতের বেলায় গ্রামের ছেলেদের সাথে পিকনিকের অনুভূতিটা আপনি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।