সকলকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। প্রথমে আমি আপনাদের সকলকে জানাই ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। দেখতে দেখতে আরও একটা ঈদ আমরা সকলে একত্রিতভাবে অতিবাহিত করতে পারলাম। আমরা সকলেই এই ঈদের দিনটাকে অনেক সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পেরেছি। ঈদ উদযাপন করার জন্য শহর থেকে প্রত্যেকে বাড়িতে ফিরে এসেছে। আর পরিবারের সকলের সাথে ঈদ উদযাপন করার যে আনন্দ সেটা সকলেই ভালোভাবে করে নিয়েছে। এই কারণটার জন্যই ঈদ মানুষ এত বেশি পছন্দ করে কারণ এই দিনে সকলেই একত্রিত হবার মতো সুযোগ পাই।
ঈদের দিন আমাদের এলাকাতে সকাল ৭:৩০ মিনিটে নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। যেহেতু একটু সকাল সকাল ঈদের নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল তাই আমি সকাল সাতটার দিকেই ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে যাবার পরে আমি লক্ষ্য করলাম যে এখনও ঈদগাহ ময়দানে মানুষের সমাগম শুরু হয়নি। আমি যখন যাই তখন মাত্র কয়েকজন সদস্য উপস্থিত হয়েছিল তাই আমি প্রথম কাতারে এই জায়গা পেয়ে যাই। এটাই আমার জীবনে ঈদগাহ ময়দানে প্রথম কাতারে জায়গা পাওয়ার প্রথমবার। এর আগে অনেক বছর আমি চেষ্টা করেছিলাম প্রথম কাতারে জায়গা করে নেবার জন্য কিন্তু কোন ভাবে সেটা করতে পারিনি। আর প্রথমবারের মতো এটা করতে পেরেছি বলে নিজের কাছে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করছিল।
এরপরে আস্তে আস্তে আমাদের পুরো গ্রামের সকল সদস্যরা ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হয় ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য। যেহেতু আমাদের গ্রামটা মোটামুটি বড় আকৃতি তাই আমাদের এই নামাজে অনেক মানুষের সমাগম হয়। ঈদের এই দিনে আমাদের গ্রামের সকল মানুষেরা একত্রিতভাবে একটা জায়গাতে নামাজ আদায় করে তাই আমার কাছে বিষয়টা খুবই ভালো লাগে।
ঈদের নামাজ শেষে সকলের কোলাকুলি করতে শুরু করে। যেহেতু এটা ঈদ উল আজহার নামাজ তাই আমরা কোলাকুলি করার পরপরই ফটোগ্রাফি ধারণ করতে শুরু করে দেয় কারণ এই দিনে আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। যেহেতু ঈদের নামাজের শেষে পশু কোরবানি করতে হয় তাই আমরা সেখানে আর বেশি সময় অতিবাহিত করলাম না। সকলে তাড়াতাড়ি বাড়িতে পৌঁছে গেলাম কারন আমাদের সকলেরই কোরবানির কাজ শেষ করতে হবে। আর যেহেতু এখন অনেক বেশি গরম পড়ছে তাই বেশি সময় দেরি করলে পরবর্তীতে অনেক কষ্ট করতে হবে ।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আপনারা কেমন ভাবে ঈদ উদযাপন করলেন সেটা আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাকে জানাই আমার পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। গ্রামের সকল যুবক ছেলেরা মিলে ঈদের নামাজ পড়ে বেশ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ঈদের নামাজ শেষে সকলের সাথে কোলাকুলের মাধ্যমে মতবিনিময় করেছেন যেন বেশ ভালো লাগলো। অনেকদিন পর রাজু মামাকে দেখতে পেলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের সবাই একত্রিতভাবে নামাজ আদায় করে তাই বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
ভাগ্য কখন কার কি হয় কেউ জানে না। রোজার ঈদে সবাই একসাথে সালাত আদায় করলাম ছবি উঠালাম। কিন্তু কে জানতো কোরবানির ঈদ গ্রামে আমার কপালে নাই। তবুও ঈদগাহের সুন্দর এই দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো। ইনশাল্লাহ আল্লাহ সহায় থাকলে হাসিখুশি ভাবে আগামীতে ঈদগাহে প্রস্তুত হতে পারব।
এবার ঈদগাহ ময়দানে আপনাকে দেখতে না পেরে খুবই খারাপ লেগেছিল।
ঈদ মোবারক ভাই। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আমাদের সকলের হৃদয়। ঈদের মুহুর্ত গুলো বেশ সুন্দরভাবে অতিবাহিত করেছেন ভাই। সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। একসাথে সবাই ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। এই মুহূর্তগুলো জীবনের পাতায় স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সকলে মিলে একত্রিতভাবে নামাজ আদায় করতে পেরেছি এর জন্য আমরা অনেক খুশি।
প্রথমেই আপনাকেও পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি এখন পর্যন্ত প্রথম কাতারে ঈদের নামাজ পড়তে পারি নাই। কারণ প্রথম কাতারে জায়গা নিতে হলে নামাজের এক থেকে দুই ঘন্টা আগে যেতে হবে। যেটা আমার মত অলসের দ্বারা কখনো সম্ভব না। আমাদের দিকে সকাল আটটায় ঈদের জামাত ছিল। যাই হোক আপনার অনুভূতি পড়ে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ।
আমিও পেরেছিলাম না এবার ঈদ প্রথম প্রথম কাতারে জায়গা পেয়েছি।