রেসিপিঃ ঈদের আনন্দে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ছাগলের মাংস রান্না
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার ,১৬ জুন ২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। প্রথমেই আমি আপনাদের সকলকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাতে চাই ঈদ মোবারক। দেখতে দেখতে আমাদের সকলের মাঝে ঈদুল আযহা হাজির হয়ে গেল। এই ঈদকে কেন্দ্র করে অনেকেই অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আসলে ঈদকে কেন্দ্র করে সকলের মাঝেই অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে তাই সকলে এই দিনটাকে খুবই ভালোভাবে উদযাপন করার জন্য চেষ্টা করে। যারা শহর অঞ্চলে থাকে তারা এই দিনটাকে পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে উপভোগ করার জন্য গ্রামে ফিরে আসে। ঈদের দিনের এই বিষয়টায় আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। ঈদ মানেই যেন আনন্দ আর সেই আনন্দটা আরও বৃদ্ধি পেয়ে যায় মজার মজার খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে। যেহেতু কালকে অনেকেই কোরবানি দিবে আর সেজন্য আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা ছাগলের মাংসের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি যে পদ্ধতিতে ছাগলের মাংস রান্না করেছি সেটা খুবই সাধারণ একটা পদ্ধতি। সাধারণ পদ্ধতি হলেও এই পদ্ধতিতে ছাগলের মাংস রান্না করলে সেটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | ছাগলের মাংস |
২ | তেল |
৩ | মরিচ গুঁড়া |
৪ | হলুদ গুঁড়া |
৫ | লবণ |
৬ | তেজপাতা |
৭ | এলাচ,দারুচিনি |
৮ | পেঁয়াজ কুচি |
৯ | রসুন বাটা |
ধাপ-১
প্রথমে আমি এক কেজি ছাগলের মাংস পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে নিলাম। ছাগলের মাংস ধোয়ার সময় খুবই খেয়াল রাখতে হয় কেননা এতে অনেক লোম থাকে।
ধাপ-২
এরপর চুলায় একটি কড়া বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা একটু গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, শুকনা মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, তেজপাতা ও স্বাদমতো লবণ।
ধাপ-৩
মসলা গুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে। মাংসগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর মাংসগুলো ভাজা হয়ে গেলে অল্প একটু পানি দিয়ে দেব কষিয়ে নেওয়ার জন্য।
ধাপ-৪
কষানো পানি দেওয়ার পর আমি পরিমাণ মতো জিরা ,এলাচ ও দারচিনি বেটে নিয়েছি। বাটা মসলা গুলো দিয়ে দিব। এরপর ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিব।
ধাপ-৫
এরপর কষানো পানি শুকিয়ে গেলে মাংস সিদ্ধ হওয়া ও ঝোলের জন্য একবারে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেব। তারপর কিছুক্ষণ রান্না করে নিব।
ধাপ-৬
আমার তৈরি করা ছাগলের মাংসের এই রেসিপিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এই পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঈদের আনন্দে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ছাগলের মাংস রান্নার রেসিপি তৈরি করে। ঈদের আগেই বাড়িতে তো দেখছি বেশ আনন্দ উল্লাস করছে না আপনারা আমাকে একটু দাওয়াত দিলেই পারতেন। আসলে ছাগলের মাংস খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের গ্রাম অঞ্চলগুলোতে সবাই এমন পদ্ধতিতে মাংস রান্না করে।
খুব সুন্দর ছাগলের মাংস রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার। আপনার এই চমৎকার মাংস রান্না করা দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি, আপনি উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার।
চেষ্টা করেছি লোভনীয় পদ্ধতিতে এটা রান্না করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই সময় সবাই গ্রামের দিকে চলে এসেছে। আর নিজের প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার চেষ্টা করছে। আমার শেয়ার করা রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার মধ্যে অন্য রকমের একটা আনন্দ রয়েছে।
আপনার তৈরি করা সুন্দর এই মাংসের রেসিপি দেখে খুশি হলাম। দারুন ভাবে আপনি রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রান্না করা এই রেসিপি। খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন আপনি রান্নার প্রতিটা ধাপ। সব মিলে অনেক সুন্দর হয়েছে।
আমার তৈরি করা এই রেসিপিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা যেন খুবই খুশি হলাম।
ছাগলের মাংস আমার খুব পছন্দের। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে ভাই । রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে ছাগলের মাংস খাওয়া অনুভূতি বেশ দারুন। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল ভাই।
ঠিক বলেছেন, ঈদ মানেই আনন্দ। যেহেতু কোরবানির ঈদ তাই আগামীকাল সবার বাসাতেই এরকম রেসিপি তৈরি হবে। আপনি সময় উপযোগী একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ছাগলের মাংস যদিও অনেক দিন খাওয়া হয় না তবে আজকে আপনার রেসিপিতে দেখে বেশ খেতে ইচ্ছে করছে। খুব সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়ই। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মজার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।
কোরবানির ঈদে সবাই এই রকমের রেসিপি তৈরি করে থাকে।
ছাগলের মাংসের রেসিপি খেতে আমি খুবই ভালোবাসি বলা যায় এটা বাঙ্গালীদের অনেক প্রিয় একটি খাবার। আপনি ঘরোয়া উপায়ে রেসিপিটা আমাদের মাঝে অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন যেটা বেশ ভালো একটা ব্যাপার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এমন রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক কথা বলেছেন এটা যেন বাঙ্গালীদের একটা প্রিয় খাবার।
ঈদের আনন্দের মাঝে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ছাগলের মাংস রান্না করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ছাগলের মাংস খেতে আমরা সকলেই অনেক পছন্দ করি। আপনার তৈরি করা রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া দারুন একটি রেসিপি আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ছাগলের মাংস খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টের।
আজকে হয়তো সকল মানুষের বাড়িতেই মাংস রান্না হয়েছে। আপনি দেখছি একদম ইউনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কুরবানীর খাশির মাংস রান্না রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
চেষ্টা করি কিভাবে ইউনিক পদ্ধতিতে রান্নাটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।