ভ্রমণঃ ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক প্রথম পর্ব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এজন্যই মাঝে মাঝেই আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে। আর আমার সেই ভবনের মুহূর্তগুলো আমি আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত পোস্ট আকারে শেয়ার করে থাকি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছে ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের মুহূর্তটা। প্রত্যেক বছরে আমি আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষা দেবার জন্য নিয়ে যাই। পরীক্ষা শেষে ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে কোথাও কিছু সময় ঘোরাঘুরি করা হয়। এবার আমি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। সত্য কথা বলতে পার্কটির আকৃতি কিছুটা ছোট হলেও ভিতরে প্রবেশ করার পরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য জায়গাটি খুবই সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। আর যেহেতু ঝিনাইদহ তে অনেক ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তাই সেখানে অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ভ্রমণ করার সুযোগ থাকে। আর সেই বিষয়টাকে চিন্তা করেই পার্কের ভিতর অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেননা আমরা সকলেই খুব ভালোভাবে জানি যে ছোট ছেলে মেয়েরা এমন জিনিসগুলোতে চড়তে খুবই বেশি পরিমাণে পছন্দ করে। সেখানে খুবই সুন্দর একটা ট্রেন এর রাইড ছিল যেটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।
এছাড়াও সেই পার্কের মধ্যে এতটাই সুন্দর সুন্দর কিছু রাইট ছিল যা কোনটি কোনটির থেকে কম নয়। প্রত্যেকটিতেই অনেক সুন্দর ভাবে সময় অতিবাহিত করা সম্ভব। এই ধরনের জিনিসগুলোতে ছোট ছেলে মেয়েরা সব থেকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে বলেই এমনটা তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে যাবার পরে একটা জিনিস দেখে আমি তোর রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার ভয় পাওয়ার সেই জিনিসটা হচ্ছে নাগরদোলা। কেননা এত বড় আকৃতির নাগরদোলা এর আগে আমি কোন সময় দেখেছিলাম না। যদিও আমরা সেখানে যাবার পরে বেশ কয়েকটা রাইড এ চলেছিলাম কিন্তু নাগরদোলায় চলতে ভয় পেয়েছি। কেননা এত উপরে চলে গিয়েছে যার দেখে যেন মনে হচ্ছে মেঘের মধ্যে ঢুকে যাব।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আমি পর্যায়ক্রমে আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
শ্রেণী | ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
W3W | https://w3w.co/elevated.wins.profound |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে আপনি ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে জায়গাটি অসম্ভব সুন্দর।নিশ্চয়ই ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি হয়েছিল।তাছাড়া নাগরদোলায় চড়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে।
ছাত্র-ছাত্রীদের ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষা দিতে নিয়ে গিয়ে তাঁদের সাথে ড্রিম ভ্যালি পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করি সেখানে ঘোরাঘুরির মাধ্যমে আপনারা বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আজকে আপনি এই ছোট পোস্টের মাধ্যমে ঘোরাঘুরির কিছু অংশ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোতে আস্তে আস্তে সবগুলোই তুলে ধরবেন। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একই সাথে দুইটা কাজ করে ফেলেছি খুবই ভালো একটা মজাও হয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ করতে গিয়ে আপনি সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর ভাইয়া। আমি আগে কখনো যাইনি কিন্তু আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে এবার ঈদে এখানে বেড়াতে যাব ভাইয়া শুভকামনা রইল।
আসলে জায়গাটা অনেক সুন্দর একবার সেখানে ভ্রমন করলেই মনটা ভরে যায়
জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে আমিও গিয়েছি জায়গাটি বেশ ভালো লাগে। অনেক বড় এরিয়া জুরে তৈরি করেছে অনেক কিছু দেখার আছে। আপনি বেশ ভালো সময় পার করেছেন দেখছি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঠিক কথা বলেছেন জায়গাটা খুব তাড়াতাড়ি অনেক বড় করে ফেলেছে তারা।
ভাইয়া ঝিনাইদহে ডিম ভ্যালি পার্ক আমার যাওয়া অনেক শখ যদি এখনো যাওয়া হয়নি তবে একদিন যাব ইনশাআল্লাহ। তবে আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই পার্কের বেশ কিছু অংশ দেখতে পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা আরো বেড়ে গেল। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন। মনে হচ্ছে আপনারা যে এই স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে গিয়েছিলেন এখানে হয়তো গিয়েছিলেন। পার্কের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন সেখানে দোলনা ট্রেনসহ অন্যান্য আরো অনেক কিছু তবে আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনি জায়গাটি একবার ঘুরে দেখবেন আশা করি জায়গাটি আপনার অনেক পছন্দ হবে।
আমাদের দেশের যে পার্ক গুলো রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দর হয়ে থাকে৷ এখন প্রতিনিয়ত খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পার্ক তৈরি হচ্ছে৷ এই পার্ক গুলোর মধ্যে খুব সুন্দর কিছু পার্কে আমার ঘোরা হয়েছে৷ আজকে আপনি ঝিনাইদহের এরকম সুন্দর একটি পার্কে ভ্রমণ করে এর প্রথম পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এর মাধ্যমে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো অনেকগুলো পর্ব আপনার কাছ থেকে দেখতে পাব৷
সুন্দর হবে না কেন সেখানে তো দর্শনার্থীদের কে আকর্ষণ করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্কে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার পর তাদেরকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। পার্কের পরিবেশটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনাদের কাটানো সুন্দর এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ক্যাডেট পরীক্ষার দিতে নিয়ে যে তাদেরকে একটা সুন্দর পরিবেশ দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়ে গেল।
দীর্ঘ চারটা বছর ঝিনাইদহে থাকার পরও আমি ড্রিম ভ্যালি পার্কে ঘুরতে যেতে পারেনি। শুনেছি ড্রিম ভ্যালি পার্কটা দেখতে খুবই সুন্দর। আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমি পার্কে বেশ কিছু কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম। আমার কাছে ড্রিম ভ্যালি পার্কটি দেখতে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে নাগর দোলা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
তাহলে তো দেখছি অনেক মিস করে ফেলেছেন এত সুন্দর জায়গা কাছে থেকেও দেখতে পারেননি।
হ্যা ভাই অনেক বড় মিস করে ফেলেছি। আর সুযোগ হবে কি না জানি না।
আপনি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্কে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন, জেনে ভালো লাগলো ভাই। এটা ঠিক কথা যে, বাচ্চা-কাচ্চারা এরকম সাজানো গোছানো পার্ক অনেক বেশি পছন্দ করে, বিশেষ করে এইসব জায়গায় থাকা বিভিন্ন ধরনের রাইড গুলো। তাছাড়া নাগরদোলা টা আসলেই অনেক বড় ছিল, এজন্য ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি হলে তো কখনোই ওই নাগরদোলায় উঠতাম না। তবে পার্কটা ছোট হলেও দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল, যা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম ভাই।
তাদের মানসিক প্রশান্তি সৃষ্টি করার জন্যই মাঝে মাঝে কোথাও না কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয়।
খুব ভালো কথা বলেছেন ভাই। বাচ্চাদের মানসিক প্রশান্তির কথাও যে আপনি ভাবেন, সেটা জেনে ভালো লাগলো।