জেনারেল রাইটিংঃ তীব্র গরমের কারণে মাছ বিক্রি করে দেওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫/২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা সকলে লক্ষ্য করে দেখেছেন অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছরই গরমের পরিমাণটা অনেক বেশি। এই গরমের কারণে সকলের জীবন ধারণ করাটা কষ্টসাধ্যকর হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র মানুষের জন্যই যে এই গরমে জীবন ধারণ করা কষ্টের হয়ে যাচ্ছে তা কিন্তু নয় অন্যান্য পশুপাখিদের জন্য ও এই গরম হয়ে উঠেছে হুমকিস্বরূপ। আপনারা যারা আমার পোস্ট গুলো নিয়মিত পড়েন তারা জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক হলেও বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকি। আমার নিজস্ব দুইটা পুকুর রয়েছে সেই পুকুরে আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে থাকি। যেহেতু এই বছরে প্রচুর পরিমাণে গরম পড়ছে তাই পুকুরের পানির পরিমাণটাও দিন দিন যেন কমে আসতে শুরু করে দিয়েছে। আর আপনারা সবাই জানেন যে পানি কমে গেলে সেখানে মাছ চাষ করাটা খুবই কষ্টের একটা ব্যাপার হয়ে যায়। পানি কমে যাবার কারণে এমনকি মাছ মারা যেতেও শুরু করে।
বিশেষ করে গত কয়েকদিন যাবত লক্ষ্য করে দেখছি যে পুকুরের পানির পরিমাণ খুব বেশি হারে কমতে শুরু করে দিয়েছে। আর তখনই আমি বিষয়টা দেখার পরে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিতাম যে এভাবে কোনভাবেই মাছ চাষ করা সম্ভব হবে না। যদি এতগুলো মাছ এভাবে আমার পুকুরের মধ্যে রেখে দেই আর তাদেরকে খাবার দিতে শুরু করি তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তারা মারা যেতে শুরু করবে। আর মাছ মারা গেলে তো আমি লসের মধ্যে পড়ে যাব তাই আর দেরি না করে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিলাম।
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরেই আমি আমাদের গ্রামের স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বললাম যেন তারা আমার পুকুরের মাছগুলো ধরে দেয়। যদিও আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে মাছ উৎপাদন হয় কিন্তু মাছের চাহিদাও অনেক রয়েছে। এজন্য আমাকে খুব একটা বেশি দিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয়নি বলার সাথে সাথেই তারা আমার পুকুরে হাজির হয়ে গিয়েছে পরের দিনে।
গত দিনে আমি আমার পুকুরের অর্ধেক মাছ বিক্রি করে দিয়েছি। যদি তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত এভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে আরো মাছ বিক্রি করে দিতে হবে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। কেননা যদি আমি মাছ রেখে দেই তাহলেই সবগুলো মাছ মারা যাবে আর তখন আমি লসের মধ্যে চলে যাব। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন এই তা প্রবাহ কিছুটা কমে আসে এবং তিনি আমাদের সকলের মাঝে স্বস্তির বৃষ্টি দেন। আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের এখন একটাই প্রার্থনা সেটা হচ্ছে স্বস্তির বৃষ্টি।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ ভালই করলেন অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণেই পুকুরের পানি যেমন শুকিয়ে যায় তেমনি পুকুরের পানিও গরম হয়ে যায়। আর গরম সহ্য করতে না পারলেও মাছ মারা যেতে পারে। যেহেতু মাছের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি প্রয়োজন হয় পানি না পেলেও তো মাছ মারা যাবে। আপনি একটি বুদ্ধিমানের কাজ করলেন আগেভাগে মাছগুলো বিক্রি করা শুরু করে দিলেন। প্রথম ধাপে অনেক মাছ বিক্রি করে দিলেন। আশা করি দ্বিতীয় ধাপেও বিক্রি করা শুরু করে দেবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তটি শেয়ার করলেন।
মাছ মারা যাওয়ার ভয়েই তো আগে থেকেই মাছ বিক্রি করে দিলাম।
আসলে এই তীব্র গরমের কারণে আমাদের জন জীবনে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আপনি গরমে বাঁধ্য হয়ে আপনার পুকুরের মাজ গুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রচন্ড রোদের তাপে পুকুরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, এটা আসলে মাছ চাষীদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। আপনি পুকুরের মাছ গুলো বিক্রি করে দিয়ে বেশ ভালো কাজ করেছেন। কেননা যত দিন যাচ্ছে রোদের তাপমাত্রা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তীব্র এই গরমের কারণে প্রায় সব পুকুরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত গরমে পুকুরের পানি যেমন কমে আসছে তেমনি যে কোন মুহূর্তে মাছ মরে ভেসে থাকতে। তাই এই মুহূর্তে মাছ বিক্রয় করা এবং পুকুরে মাছ কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। আমরাও কিছুদিন আগে মাছ বিক্রয় করে পুকুর পাতলা করে দিয়েছি।
আমিও দেখলাম পাতলা না করে দিলে মাছ মারা যাবে বেশি।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন যে হারে গরম পড়ছে,আর পুকুরের পানি কমে যাচ্ছে মাছ মারা যেতে পারে। মাছ বিক্রয় করে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। আবার আবহাওয়া পরিবর্তন হলে মাছ চাষ শুরু করবেন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টির দেখা পাবো। ধন্যবাদ।
বুদ্ধিমানের মত এই কাজ না করলে তো আপু লসের মধ্যে চলে যেতে হতো।
সঠিক একটি কাজ করেছেন আপনি৷ আপনার এই কাজের প্রশংসা আমি করছি৷ কারণ যেভাবে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে মানুষেরই থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ মাছের কথা তো আর নাই বললাম৷ তারা তো পর্যাপ্ত পানিও পাচ্ছেই না এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে মাছ বিক্রি করে দিয়েছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
বৃষ্টি হয়ে কবে যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি হবে পুকুরে সেটাই বলতে পারছিলাম।