জেনারেল রাইটিংঃ ঈদের ছুটি শেষেই প্রথম মূল্যায়নে অংশগ্রহণ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮/২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। আমাদের স্কুলে অনুষ্ঠিত হওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম গুলো আমি আপনাদের মাঝে সব সময়ই পোস্ট আকারে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকে ও আমি আমাদের স্কুলের একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গেলাম। দেখতে দেখতে রমজান এবং ঈদুল ফিতর শেষ হয়ে গেল। আর ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথেই অনুষ্ঠিত হতে শুরু হয়েছে আমাদের স্কুলের প্রথম মূল্যায়ন। যেহেতু ঈদের পরেই আমাদের এই প্রথম মূল্যায়ন হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাই ঈদের আগেই এই মূল্যায়নের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। যথারীতি ১৭ই এপ্রিল থেকে আমাদের স্কুলের মূল্যায়ন শুরু হয়েছে।
যেহেতু অন্যান্য বছরের তুলনায় আমাদের এই বছরের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা একটু বেশি তাই আমাদেরকে আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। এর জন্য আমরা ঈদের পরে খুব একটা বেশি দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পায়নি। পহেলা বৈশাখের দিন থেকেই আমরা আমাদের স্কুলের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। আমি চিন্তা করেছিলাম মূল্যায়ন প্রথম দিনেই আপনাদের মাঝে বিষয়টা পোস্ট আকারে শেয়ার করব কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততার কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি।
যেহেতু আমাদের স্কুলে প্লে শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে তাই বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী বয়সে অনেক ছোট। এর জন্য তাদেরকে মূল্যায়ন এ অংশগ্রহণ করানো এবং সকল বিষয়ে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য আমাদের সকলকেই যথেষ্ট পরিমাণে কষ্ট করতে হয়। যেহেতু আমরা সব সময় একটু ভালোভাবে তাদেরকে লেখাপড়ার মধ্যে রেখেছি তাই তাদেরকে মূল্যায়নের বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিলেই তারা খুব সহজেই এগুলোর উত্তর করে দিতে পারে। একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের স্কুলে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করে তাদের মধ্যে ছোট শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী গুলো একটু বেশি পারদর্শী। তারা বেশি পারদর্শী হবার সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে তারা ছোট থেকেই আমাদের স্কুলে লেখাপড়া করছে আর আমরা তাদেরকে নিজেদের মতো তৈরি করে নিতে পারছি। আমি এমনটি ও লক্ষ্য করে দেখেছি ছোট শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার সময় ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট হওয়া সত্ত্বেও তারা মাত্র ২০-৩০ মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করে ফেলে।
যাই হোক এত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এত সুন্দর ভাবে পরীক্ষা দিছে এটা দেখে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আশা করি তারা এই মূল্যায়নে অনেক ভালো করবে এবং এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে নিজেদের ভালো একটা অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ ভালো লাগলো অনেকদিন পর বিদ্যালয়ের সুন্দর সেই চিত্র দেখে। মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে জানতে পারলাম। আশাকরি প্রত্যেকজন খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েছে। এভাবেই এগিয়ে যাবে স্বপ্ন। সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
আশা করি এই মূল্যায়নে সবাই ভাল ফলাফল করতে পারবে।
অনেক ভালো লাগলো আপনাদের স্কুলের পরীক্ষার সুন্দর মুহূর্ত দেখে। অনেকদিন পর আপনাদের স্কুল সম্পর্কে দারুন একটি পোস্ট দেখতে পারলাম। আশা করি আপনাদের বিদ্যালয় ভালো লেখাপড়া হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নেতার উন্নতি হবে।
অনেকদিন স্কুলের বিষয়ে পোস্ট করা হচ্ছিল না তাই বিষয়গুলো দেখতে পারেননি।
অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর পোস্ট পড়ে। আসলে ঈদের আনন্দে শেষে সকলকেই নিজেদের জীবনের সে পথকে আবার চালাতে হবে৷ তেমনি আপনাদের স্কুলের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটি শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে দেখে খুব ভালো লাগলো৷ ধন্যবাদ এরকম একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য৷
এটাই ভাইয়া ঈদের ছুটি শেষ করেই সকলে মূল্যায়নের অংশগ্রহণ করেছে।
খুব ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট দেখতে পেরে।