জেনারেল রাইটিংঃ তাপদাহে হুমকির মুখে কৃষকের ফসল উৎপাদন
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, মে ২/২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তাপদহ চলমান। আর এই তাপদাহ এর কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আমরা ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছি। আমরা শুধুমাত্র শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে পড়ে রয়েছি যে এই গরমের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমরা একবারও চিন্তা করে দেখি না যে গরমের ফলে কৃষকেরা কিভাবে ফসল উৎপাদন করছে। যদিও কৃষক আমাদের দেশের প্রধান চালক। তাদের উৎপাদিত ফসল খেয়েই আমাদের প্রতিনিয়ত জীবন ধারণ করতে হয়। কৃষক যদি একবার ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের সকলকেই না খেতে পেয়ে মারা যেতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সত্য যে কৃষকের দুঃখের কথা কেউ বলে না এমনকি কেউ মনে মনে ও চিন্তা করে না।
যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা হয়তোবা লক্ষ্য করে দেখেছেন যে ধান পেকে যেতে শুরু করেছে কিন্তু জমিতে কোন পানি নেই। আর পানি না থাকার কারণে ধানের ফলন অনেক কমে যাবে। তাহলে ভাবুন এই কঠিন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা কিভাবে তাদের ফসল উৎপাদন করবে। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই এই জিনিসটা আমার মাথায় এসেছে। এই তো কিছুদিন আগে আমি ধানের জমি ঘুরে দেখতে গিয়েছিলাম ঠিক সেই সময়টাতেই এটা লক্ষ্য করে দেখলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম কৃষকেরা বৃষ্টির পানির অভাবে সেচ প্রক্রিয়া দিয়ে ফসল উৎপাদনের কাজ চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। যদিও এতে তাদের অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে তারপরও তারা চেষ্টা করছে যতটা ভালোভাবে সম্ভব ফসল ঘরে নিয়ে আসতে। তারা যদি শুধুমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তার দেয়া বৃষ্টির আশায় বসে থাকতো তাহলে হয়তোবা আমাদের দেশের সকল মানুষ একসময় না খেতে পেয়ে মারা যেত। তারা চেষ্টা করছে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদনের ধারাটাকে ধরে রাখতে। কিন্তু বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করলে কি হবে পানির লেয়ার তো অনেক নিচে চলে গিয়েছে তাই সেখানেও খরচের পরিমাণটা দ্বিগুণ।
গত দিনে যেদিন আমি ধান ক্ষেত ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম তখন দেখতে পেলাম ধানগুলো প্রায় পেকে যাবার মত অবস্থা হয়ে গিয়েছে। এখন যদি একটু ভালোভাবে পানি পাই তাহলে ফসলের উৎপাদন ভালো হবে।আজকে শুনতে পেলাম যে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আমাদের এলাকাতে এখন পর্যন্ত বৃষ্টির কোন দেখা পেলাম না। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি দ্রুত যেন আমাদের এলাকাতে বৃষ্টি হয় এবং কৃষকেরা তাদের ফসল ভালোভাবে উৎপাদন করতে পারে।
আর যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে যেহেতু এবার ফসলের উৎপাদন অনেক কমে যাবে তাই ধানের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য যে ঊর্ধ্বগতি আমরা লক্ষ্য করছি তাতে এখানে যদি কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় তাহলে তাদের চাষাবাদ করার আগ্রহ টাই হয়তো বা নষ্ট হয়ে যাবে। আর সেই সাথে সাথে যারা এই জিনিসগুলো কিনে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদের জন্য তো বিষয়টা আরো কষ্টের হয়ে যাবে।
আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা দ্রুত বৃষ্টি দিয়ে কৃষকদেরকে রক্ষা করুন। আমার শেয়ার করা এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের মতামত জানার জন্য অপেক্ষা করলাম।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমানে সারা বাংলাদেশে এই বৃষ্টির অনেক প্রয়োজন। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশের কৃষকরা তাদের ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আর উৎপাদন কমে গেলে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আশা করছি আপনাদের ওইদিকেও খুব তাড়াতাড়ি বৃষ্টি হবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক কথা বলেছেন আমাদের এই দেশে এখন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির প্রয়োজন।
হ্যাঁ প্রচন্ড গরমের কারণে শুনেছি অনেক জায়গায় নাকি ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত যেভাবে রোদ গরম চলছে এতে এটা হওয়ায় স্বাভাবিক। তবে সমস্যা হবে ধান উৎপাদন কম হলে এর দাম অনেক বেড়ে যাবে চালের দাম বেড়ে যাবে। আর এর ভোগান্তির শিকার হবে জনসাধারণ। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
শুনবেন কি আমি তো লক্ষ্য করেই দেখছি সব জায়গাতেই ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে আমি বাড়িতে ফোন দিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামে আব্বু অনেক ধান উৎপাদন করেছিল। কিন্তু প্রচন্ড হয়ে রোদ গরমের জন্য পানি দেয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে পাইপে পানি কমছে। তাই উনারা খুবই চিন্তিত রয়েছেন ফসল কেমন হবে সেই জন্য। আসলে একটা না এভাবে যদি প্রচন্ড রোদ গরম হয়ে যায় তাহলে ফসলের খুবই ক্ষতি। আর এদিকে ধানের দাম যদি বেড়ে যায় তাহলে চালের দামও বেড়ে যাবে। এতে হয়তো অনেক মানুষের ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
আপনাদের ও ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই গরমের কারণে এটা জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগলো।
কৃষকের জন্য মাঝে মাঝে বৃষ্টি আশীর্বাদ স্বরূপ আবার মাঝে মাঝে অভিশাপ। তবে এই গরমের মধ্যে বৃষ্টি খুবই দরকার। গ্রামের দিকে প্রায় ধান পাকা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে খবর পেলাম ধান কাটাও শেষ। এরকম রোদ ফসলের জন্য আসলেই বেশ ক্ষতিকর। আর এটার প্রভাব প্রায় সবার উপরেই পড়বে।
এই মুহূর্তে আমাদের দেশের কৃষকের জন্য বৃষ্টির পানি পাওয়াটা খুবই প্রয়োজন।
x promotion
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন,কৃষকরা বৃষ্টির আশায় তীর্থের কাকের মত তাকিয়ে আছে। বৃষ্টি না হলে ডিপ মেশিন,সেলু মেশিন দিয়ে আর কতদিন চলবে। এখন বৃষ্টি খুবই জরুরী। ধন্যবাদ।
কবে যে তাদের মনের আশা পূর্ণ হবে সেই আশাতেই এখন কৃষকেরা বসে রয়েছে।