ভ্রমণঃ ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক দ্বিতীয় পর্ব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো ভাল আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বিভিন্ন জায়গাতে ভ্রমণ করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এজন্য আমি মাঝে মাঝে ভ্রমণে বের হয়ে যাই। আর ভ্রমণ করে এসে সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে আমি প্রতিনিয়তই পোস্ট আকারে শেয়ার করে থাকি। বেশ কিছুদিন আগে আমি ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালিতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্তের প্রথম পর্বটা আমি আপনাদের মাঝে ইতিমধ্যেই শেয়ার করে ফেলেছি। আজকে আমি আবারও সেই ড্রিম ভ্যালি ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক এর মধ্যে প্রবেশ করার কিছু সময় পরেই আমরা সেখানে খুবই সুন্দর একটা ঝর্ণা দেখতে পেয়েছিলাম। ঝর্ণাটার আকৃতি অনেক বড় এবং সুন্দর ছিল। ঝর্ণাটার দেখার পরে আমার মনের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছিল যে এর পেছনে কেমন রয়েছে সেটা দেখব। এজন্য আমি প্রথমে ঝর্ণার সামনের অংশ দেখলাম এবং তার পরেই পিছনের দিকে চলে গেলাম আর সেই অংশটা দেখে আসলাম। পিছনের অংশটা কেমন ছিল সেটা ও আমি আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
গত পর্বে আমি বড় আকৃতির একটা নাগরদোলার কথা আপনাদের মাঝে বলেছিলাম। যদিও নাগরদোলাতে চড়তে আমার অনেক ভয় লাগে তারপরও আমি নাগরদোলার পাশে গিয়েছিলাম সেটা কেমন দেখার জন্য। দূর থেকে নাগরদোলাটা দেখতে যতটা সুন্দর লাগছিল কাছ থেকে আসার পরেও সেটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক এর মধ্যে ডলফিন মাছের আকৃতির খুবই সুন্দর একটা ঝর্ণা রয়েছে। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে আমরা যেদিন এখানে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম সেই দিন ডলফিন মাছের আকৃতির এই ঝর্ণাটি বন্ধ ছিল। যদি এটা সচল থাকতো তাহলে হয়তো বা আরো সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি টা ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারতাম।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক এর মধ্যে খুবই সুন্দর একটা লেক রয়েছে এবং সেই লেকের পাশে রয়েছে অনেকগুলো বসার জায়গা। যেহেতু আমরা সকলে অনেক সময় ঘুরাঘুরি করেছিলাম তাই আমরা সকলেই কিছুটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এজন্য লেকের পাশে থাকা জায়গা গুলোতে আমরা কিছু সময় বসে বিশ্রাম নিয়েছিলাম। বিশ্রাম নেয়া হয়ে যাবার পরেই আমরা পার্কের বাকি অংশগুলো দেখার জন্য বের হয়ে গেলাম।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক এর মধ্যে আমরা আর কি কি দেখেছিলাম সেটা আপনাদের মাঝে পরবর্তী পোস্ট এর মাধ্যমে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
শ্রেণী | ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
W3W | https://w3w.co/elevated.wins.profound |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ড্রীম ভ্যালি পার্কের লেকটা অনেক সুন্দর ভাইয়া।ঝিনাইদহের এই পার্কে কখনো যাওয়া হয় নি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম।পার্কের ভিতরে অনেক ফটোগ্রাফি ও করেছেন।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
তুমি যদি সময় সুযোগ হয় তাহলে একদিন জায়গাটা ঘুরে আসবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে
ইতোমধ্যে আমরা আপনার পোস্টের মাধ্যমে ড্রিম ভ্যালি পার্কের প্রথম পর্ব দেখতে পেরেছি। আজকে আপনি ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। আসলে পার্কের ভিতরের পানির ঝর্ণা গুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। ঠিক অনুরুপ ভাবে ড্রিম ভ্যালি পার্কের ঝর্না টি দেখতে বেশ সুন্দর।আর ড্রিম ভ্যালি পার্কের মধ্যে একটি লেক রয়েছে জেনে ভালো লাগলো।অন্যান্য পার্কের মধ্যে লেক থাকে না।
পানির ঝর্ণা দেখে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।
দেখতে দেখতে এক বছরের বেশি হয়ে গেল আমাদের ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্কে ঘোরাঘুরি। আপনার আজকের পোস্ট দেখে আবারও মনে পড়ে গেল সেই স্মৃতিময় দিনগুলো। খুবই ভালো লেগেছিল দিনটি। বলতে গেলে ঘোরাঘুরি করার মধ্যে দিয়ে এই জায়গাটি আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। আপনার পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক কথা বলেছেন দেখতে দেখতে এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে এই জায়গাটা ভ্রমণ করা।
অনেকদিন পর ড্রিম ভ্যালির সেই চিত্র দেখতে পারলাম। বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত তৈরি করে নিয়েছিলাম আমরা। গাড়ি ড্রাইভার আমাদের কথায় রাজি হয়ে সুযোগ করে দিয়েছিল এই পার্ক ভ্রমণের। বেশ ভালো লাগলো ড্রিম ভ্যালি পার্কের সেই চিত্র দেখে।
আপনার জন্যই আমরা এমন সুন্দর একটা জায়গা ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
এই ভ্রমণের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ আপনি এই স্থানে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং আজকের দ্বিতীয় পর্বটিও খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ এই পর্বের মধ্যে খুব সুন্দরভাবে সবগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই স্থানে যা কিছু ছিল সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনাও দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ৷
যেহেতু আমরা অনেক সদস্য সেখানে গিয়েছিলাম তাই সকলে মিলে অনেক মজা করতে পেরেছি।
তা দেখেই বুঝে গিয়েছি৷ অনেক ধন্যবাদ।
ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের আগের পর্বটি আমি দেখেছিলাম। আমাদের এই কমিউনিটির একজন ভাইয়ার পোস্ট এর মাধ্যমে এই পার্কের বেশ কিছু দৃশ্য দেখেছিলাম। আপনিও খুব সুন্দরভাবে পার্ক টির দৃশ্যগুলো তুলে ধরেছেন। আর্টিফিশিয়াল ঝর্না এবং গাছগুলো দেখতে খুব সুন্দর। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে এই জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে তাই দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।