দুর্গম আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে যাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। প্রত্যেক বছরে আমি আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিয়ে যাই। প্রত্যেক বছরে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এই বছরেও আমাদের স্কুলের দুইজন ছাত্রীকে নিয়ে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু ক্যাডেট কলেজের পরীক্ষা সকাল দশটার সময় হয় আর আমাদের বাড়ি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে অনেক দূরে তাই আমরা খুব সকালের দিকেই ঝিনাইদহ এর উদ্দেশ্যে বের হয়। আজকে আমরা সকাল সাতটার দিকে বের হয়েছিলাম আমাদের বাড়ি থেকে মাইক্রো নিয়ে।
যখন আমরা আমাদের এলাকা থেকে মাইক্রোতে যাত্রা শুরু করলাম তখন দেখতে পেলাম যে আবহাওয়ার অবস্থা অনেকটাই ভালো ছিল। আমরা ভাবছিলাম যে এভাবেই হয়তো বা আমরা ঝিনাইদহ পর্যন্ত পৌঁছে যাব। যেহেতু আমাদের এলাকার আবহাওয়া ভালো ছিল তাই আমরা কোনভাবেই চিন্তা করেছিলাম না যে রাস্তাতে পরবর্তী সময়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে।
কিছুটা সময় অতিক্রম হয়ে যাবার পরে অর্থাৎ আমাদের জেলার সীমানা পার হয়ে যাবার পরে লক্ষ্য করলাম যে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আমরা সকলেই জানি যে চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ তে প্রচুর পরিমাণে শীত পড়ে। আমি সাথে সাথে মোবাইলের ওয়েদার অ্যাপস এ লক্ষ্য করলাম তখনই দেখতে পেলাম যে তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সব সময় ই চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ তে প্রচুর পরিমাণে শীত লক্ষ্য করা যায়। ঠিক তেমনি দৃশ্য আমরা ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে প্রবেশ করার সাথে সাথে দেখতে পেলাম। আমি যখন এই রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করছিলাম ঠিক সেই সময় ডিসকভার্ডে কয়েকজন ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিল। তাদেরকে আমি সেই সময়ে আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি গুলো দেখা ছিলাম। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানো অনেক কঠিন এজন্য আমি গাড়ির ড্রাইভারকে আস্তে চালানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করলাম যেহেতু আমরা সকাল সকাল বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তাই গাড়ি আস্তে চালানোর কারণে ও আমাদের তেমন সমস্যা হবে না সেটা আমরা আগে থেকেই জানতাম।
এই খারাপ পরিস্থিতিতে আমরা আস্তে আস্তেই গাড়ি চালিয়ে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পৌঁছে গেলাম। সকাল ৯ টার দিকেই আমরা ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আমরা আজকে কি কি দেখেছি সেগুলো আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আজকের দিনে আপনাদের এলাকাতে আবহাওয়ার অবস্থা কেমন ছিল সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবে নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile




















Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
আমাদের এলাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা খুব বেশি দ্রুত না তারপরেও তাপমাত্রা অনেক কম বেশি। সকালবেলা দেখছি ভীষণ কুয়াশা হয়েছিল। শীতের মধ্যে এরকম সকাল সকাল কুয়াশার মধ্যে জার্নি করা সত্যি অনেক কঠিন। আপনারা সুস্থতার সঙ্গে জার্নি সম্পন্ন করেছেন সেটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। খুবই ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
এই জায়গাটাতে আসলেই অনেক বেশি শীত পড়ে প্রত্যেক বছরই।
শীতের সকালে গাড়িতে ভ্রমণ করা খুবই বিপদজনক। খুব সকালে চারিদিকে ঘন কুয়াশা পড়ে যা গাড়ি চালাতে অনেক বেগ পেতে হয়। যাই হোক আপনি ড্রাইভারকে সতর্ক করে অনেক ভালো একটা কাজ করেছেন। সুস্থ শরীরে আপনি আপনার কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন যেন অনেক ভালো লাগলো ।
শীতের সকলে গাড়িতে ভ্রমণ করা আসলেই অনেক বিপদজনক।