ভ্রমণঃ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্সে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। এই তো কিছুদিন আগের কথা আমার প্রাইভেটের ছাত্র-ছাত্রীরা যাচ্ছিল যে একটা পিকনিকের আয়োজন করা হোক। আসলে ওই সময়টাতে তেমন কোন পিকনিকের মৌসুম ছিল না যার কারণে কোন জায়গায় এই পিকনিক হচ্ছিল না। যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত ছাত্র-ছাত্রীদের কোন পিকনিক করা হচ্ছিল না তাই তারা আমার কাছে আবদার করে কোন একটা পিকনিকের আয়োজন করতে। যেহেতু আমাদের গ্রামে একটা সুন্দর পার্ক রয়েছে তাই আমি আমাদের গ্রামের সেই পার্ক এ একটা পিকনিকের আয়োজন করলাম।
যেহেতু এটা একটা প্রাকৃতিক পরিবেশে তাই দেখতে অনেক সুন্দর। আমাদের গ্রামে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় পুকুরের সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে। আমাদের গ্রামে যে পার্ক তৈরি হয়েছে সেটা ও মূলত মৎস্য চাষ কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। মৎস্য চাষ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও এটা অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এজন্য প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে দর্শনার্থী এখানে ভ্রমণ করার জন্য আসেন। দর্শনার্থীদের আনন্দের জন্য সেখানে সুন্দর নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে। পিকনিকে আসার পরে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা ও নৌকায় ভ্রমণ করেছে। আমি দূর থেকে জুম করে নৌকার ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম। সত্য কথা বলতে নৌকায় ভ্রমণ করার মধ্যে অন্য রকমের একটা মজা রয়েছে। যারা নৌকাতে ভ্রমণ করেছেন তারা জানেন এই ভ্রমণে কতটা মজা।
সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে ধারণ করা কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সুন্দর পুকুর আর সেই সাথে সুন্দর ফুলবাগান সব মিলিয়ে দর্শনার্থীদের মন ভরে যায়।
যেহেতু আমার গ্রামে পিকনিক তার আয়োজন করা হয়েছিল যার কারণে আমাকে ওই দিন প্রচুর পরিমাণে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। আর এই ব্যস্ত সময় পার করার কারণে আমি মূলত তেমন কোন ফটোগ্রাফি ধারণ করতে পেরেছিলাম না। তারপরও যে কয়েকটা ফটোগ্রাফি ধারণ করতে পেরেছি সেটা দিয়েই আজকে আমি আপনাদের মাঝে এই ভ্রমণ কাহিনী লেখার চেষ্টা করলাম। ঘোরাঘুরির পর্ব শেষ হয়ে যাবার পরে যখন খাওয়া-দাওয়ার পরও আসলো সেই সময়ই হয়ে গেল একটা বিপত্তি। ঠিক যখন আমি খাবার নিয়ে আসছিলাম সেই সময়ই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের এই ভ্রমণ কাহিনীটা কেমন হয়েছিল সেটা আমি আজকের পোস্টটি শেয়ার করছি না। খাওয়া দাওয়া এবং বৃষ্টির মধ্যকার বিষয়গুলো আমি আপনাদের মাঝে পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী পোস্ট এর মাধ্যমে সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জানার জন্য অপেক্ষা করুন।
শ্রেণী | বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | জুগীরগোফা |
W3W | https://w3w.co/unknotted.whimpered.many |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। আপনি খুবই সুন্দর একটি দিন পার করেছেন। আর এই প্রকৃতির মধ্যে কি অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খুশি করার জন্যই এমন ভ্রমণের আয়োজন করেছিলাম।
আপনার স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বেয়াহ ভালো সময় পার করেছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বাচ্চাদের কে নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করলে তাদের মন অনেক ভালো থাকে। আপনি ঘোরাঘুরির জন্য অনেক সুন্দর একটি পরিবেশে নির্বাচন করেছেন। জায়গা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। জায়গাটা উপভোগ করে আপনার ছাত্র ছাত্রীরা অনেক আনন্দ পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
তাদের মন ভালো করার জন্যই মূলত এমন একটা ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছিল।
আশা করি এতে তাদের মন অনেকটা ফ্রেশ হয়েছে।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আপনাদের গ্রামের বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্সে ভ্রমণ পোস্ট। সেখানে আপনারা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পিকনিক করে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে খুব বেশি ফটোগ্রাফি আপনার মোবাইলে ধারণ করতে পারেননি সেই দিন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু জায়গাটি অনেক সুন্দর তাই ঘোরাঘুরি করে আমরা ভালই মজা পেয়েছি।
বেশি ভালো লাগলো সুন্দর এই পোস্ট দেখে। বঙ্গ একরকমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হচ্ছে দেখলাম। হয়তো গ্রামে দেখার মত একটি পার্ক সৃষ্টি হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই। যদিও পূর্ব থেকে তার সৌন্দর্য রয়েছে তবে নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে দেখলাম। আর সেখানে নৌকা ভ্রমণ করেছে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে, দেখে আরো ভালো লাগলো।
এখনো যা রয়েছে তা দেখে আশা করি সকলেরই ভালো লাগে।
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি স্থানে ভ্রমন করেছেন আপনি । খুব সুন্দরভাবে সকলে মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ একইসাথে যখন সকলে এখানে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলেন এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ঠিক কথা বলেছেন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
ভাই, আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের আবদার পূরণ করতে গিয়ে তাদের জন্য পিকনিকের ব্যবস্থা করেছেন এবং নৌকায় করে সবাইকে নিয়ে ঘুরেছেন, সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, এটা জেনে বেশ ভালো লাগছে। দারুন একটি ভ্রমণ কাহিনী পড়লাম অনেকদিন পর। তাছাড়া আপনার শেয়ার করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলোও বেশ ভাল ছিল।
ছাত্রছাত্রীরা নৌকায় ভ্রমণ করতে পেরে সবথেকে বেশি খুশি হয়েছিল।
আপনি যেহেতু সবকিছুর ব্যবস্থা করেছিলেন তাহলে তাদের খুশির কারণ আপনিই ভাই।