লাইফস্টাইলঃ পুষ্টি সমৃদ্ধ উপকরণ ব্যবহার করে উন্নত পদ্ধতিতে মাছের খাবার তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা অনেকেই ভালোভাবে জানেন যে আমাদের এলাকাতে মাছের চাষ খুবই ভালো হয়। আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি দুইটা পুকুর নিয়ে মাছ চাষ করি। আসলে আমার বয়স অল্প হলেও আমি বিভিন্ন পেশার সাথে বর্তমানে নিয়োজিত আছি যেন আমার চলাচল এবং অর্থনৈতিক অবস্থা আরো ভালো হয়। যেহেতু আমি শিক্ষিত মানুষ তাই সব সময় চেষ্টা করি উন্নত জিনিস ব্যবহার করতে জানো খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালোভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি অনেকে রয়েছে বাজার থেকে কেনা মাছের খাবার মাছদেরকে খাওয়াই উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে ওই খাবারগুলোতে কি পরিমাণে পুষ্টি গুণ রয়েছে তা বস্তার উপরে লেখা থাকলেও আমরা সঠিকভাবে জানিনা। আজ সঠিক পুষ্টির অভাবে উৎপাদন অনেক কমে যায়। তুমি হয়তো আমি বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানি তাই সব সময় নিজে চেষ্টা করি উন্নত উপকরণ ব্যবহার করে মাছের খাবার তৈরি করতে। যেন মাছ ভালোভাবে পুষ্টি পায় এবং তারা দ্রুত বৃদ্ধি হতে পারে।
যদিও আমি গ্রামে বাস করি কিন্তু আমাদের গ্রামে অনেক উন্নত মেশিন রয়েছে যা দিয়ে আমরা উন্নত পদ্ধতিতে মাছের খাবার তৈরি করতে পারি। আর এই কারণে আমাদেরকে এই খাবার তৈরি করার জন্য দূর-দূরান্তে যা করার প্রয়োজন হয় না। আমাদের বাড়ির কাছ থেকেই আমরা এগুলো খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারি।
যেহেতু আমার মাছের খাবার শেষ হয়ে গিয়েছিল তাই আমি সেখানে গিয়েছিলাম আবার মাছের জন্য খাতা তৈরি করতে। যাবার পরে আমি একটু সমৃদ্ধ উপকরণ গুলো একটু বেশি পরিমাণে নিয়ে নিলাম।
সকল উপকরণ নেয়া হয়ে যাবার পরে সেগুলো ভালোভাবে মাখানো প্রয়োজন হয়। আর এই উপকরণগুলো মেশানোর জন্য দুইজন ছেলে ছিল যারা সকল কাজ করছিল।
সকল উপকরণ ভালোভাবে মেশানোর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেগুলোকে আস্তে আস্তে মেশিনের মধ্যে দেওয়া হল। সম্ভবত ৩০ মিনিটের মধ্যেই ১২ বস্তা মাছের খাবার তৈরি হয়ে গেল।
আর উন্নত পদ্ধতিতে এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ উপকরণ দিয়ে মাছের খাবার তৈরি করার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলোকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলাম। যেহেতু উন্নত মেশিনের সাহায্যে এটা তৈরি করা হয়েছে তাই অতিরিক্ত ভাবে এই খাবারগুলোকে রোদে শুকানোর কোন প্রয়োজন হয় না। খাবার তৈরি করার কিছুক্ষণ পরেই সেগুলো বস্তা ভর্তি করা যায় আর এগুলো ছয় মাসের বেশি সময়ে ধরে মাছকে খাওয়ালে ও নষ্ট হয়ে যাবার কোন ভয় থাকে না।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অল্প বয়সে যদি পরিশ্রম করি, তবেই তো জীবন ভালো কিছু উপহার দিবে! তার আপনার নানা দিকে সংশ্লিষ্টতাকে আমি ভীষণ পজেটিভ ভাবে দেখি। আর আপনার পুকুরের মাছের খাবারের জন্য রেডিমেড খাবার না কিনে নিজে বাছাই করা উপাদান দিয়ে খাবার তৈরি করে নিলেন, যা ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। এটাই তো বেশ ভালো! যদিও আমার এ বিষয় এ ধারণা ছিলো না, আপনার পোষ্ট পড়ে কিছু ধারণা পেলাম। দোয়া করি এভাবে যেন আপনার মাছের ভালো পুষ্টিগুণ পায় এবং উৎপাদন ভালো হয়।
পরিশ্রম না করলে তো জীবন ভালো কিছু উপহার দিবে না আপু।
খাবারের সঠিক পুষ্টি ও গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আমরা নানা রকম উপকরণ ব্যবহার করে থাকি। যেহেতু আমরা মাছ চাষ করি তাই আমাদের লক্ষ্য থাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাছ বাজারজাতকরণের জন্য। মাছের জন্য আপনি পুষ্টকর সমৃদ্ধ উপকরণ ব্যবহার করে খাবার তৈরি করছেন। এখানে আমি নানারকম উপকরণ দেখতে পারছি যেগুলা অবশ্যই মাছের জন্য অনেক উপকারী খাবার।
খাবারের পুষ্টি কন্ঠ ঠিক না রাখলে ভালো ফলন হওয়া সম্ভব নয়।
যাক মাছের খাবার যে এভাবে নিজেরা তৈরি করতে পারেন এটা আমি আসলে জানতাম না। আর সত্যিই বর্তমানে বাজারের সব কিছুই যেন ভেজালে পরিণত হয়েছে। তেমনি মাছের খাবারের পুষ্টিগুণ নেই। তবে নিজেরা তৈরি করলে যে সেই খাবার অনেক বেশি পুষ্টিগুন এটার জন্য ভালো লাগলো। বেশ ভালোই করেছেন নিজেরাই দেখছি ১২ মাছের খাবার তৈরি করে ফেললেন।
এটা নিজেরাই তৈরি করি তাতে অনেক দিক থেকে সাশ্রয়ী হওয়া যায়।