রেসিপিঃ ঈদে মিষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য পরীক্ষামূলক মিষ্টি তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার ,৩১ মে ২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। সামনেই চলে আসছে ঈদুল আযহা আর এই ঈদের সময়ে সকলেই মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করে। যেহেতু এখন দ্রব্যমূল্য দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই মিষ্টির দাম যেন আমাদের সকলের ধারা ছোঁয়ার বাইরে চলে এসেছে। যদিও আমরা বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে মিষ্টি কিনে আনি তারপরও সেটা খেতে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না। এর জন্য আমি চিন্তা করলাম যে এবার ঈদে নিজেই মিষ্টি তৈরি করব বাড়ির জন্য। আর সেই কারণেই প্রথমত আমি পরীক্ষামূলকভাবে এই মিষ্টির রেসিপিটা তৈরি করছিলাম। প্রথমে ভাবতে পেরেছিলাম না যে এই মিষ্টিটা খেতে এত বেশি সুস্বাদু হবে , পরে খাবার পরে জানতে পারলাম যে এটা খেতে আসলে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এবার চিন্তা করেছি এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই ঈদে বাড়ির জন্য মিষ্টি নিজেই তৈরি করব। আপনারাও চাইলে আমার দেখানো এই পদ্ধতি তে অবলম্বন করে ঈদে বাড়ির জন্য নিজেরাই মিষ্টি তৈরি করতে পারবেন। এতে যেমন আপনাদের অর্থ সাশ্রয়ী হবে ঠিক তেমনি ভাবে ভালো মিষ্টি খেতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | গুঁড়া দুধ |
২ | ময়দা |
৩ | খাবার সোডা |
৪ | তেল |
৫ | লবণ |
৬ | তরল দুধ |
৭ | চিনি |
৮ | তেজপাতা |
৯ | লেবুর পাতা |
ধাপ-১
প্রথমে আমি বড় চা কাপের এক কাপ গুড়া দুধ নিয়ে নিলাম।
ধাপ-২
এরপর আমি ২ চা চামচ ময়দা দিয়ে দিলাম। তারপর হাফ চা চামচ খাবার সোডা ও ২ চা চামচ তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৩
এরপর সব উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সঠিক পরিমাপের হলে মিশ্রণটি খুবই সফট হবে। হাতের সাথে নিলে পিছলে ও তেলতেলে ভাব হয়ে যাবে। মুঠি বাধলে খুব সহজে তা ভেঙ্গে যাবে। আর এটা যদি ঠিকঠাক ভাবে হয় তাহলে আপনার মিষ্টি একদম পারফেক্ট হবে।
ধাপ-৪
এরপরে আমি অল্প অল্প করে লিকুইড দুধ দিয়ে মিষ্টির ছানা তৈরি করে নিলাম। প্রথমে ছানাটি শক্ত করে নিবেন তারপরে আস্তে আস্তে নরম করবেন।
ধাপ-৫
এরপর অল্প অল্প করে ছানা নিয়ে আমি অনেকগুলো মিষ্টি তৈরি করে নিয়েছি। এখানে আমি বেশিরভাগ লম্বা মিষ্টি ও কয়েকটি গোল মিষ্টি তৈরি করেছি। আপনারা আপনাদের ইচ্ছামত মিষ্টি তৈরি করে নিবেন।
ধাপ-৬
এরপর আমি একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তারপর মিষ্টি গুলো হালকা আঁচে ভেজে নিলাম।
ধাপ-৭
এরপর আমি কড়াই এর মধ্যে দুই কাপ পানি দিলাম। তার সাথে দেড় কাপ চিনি ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ জ্বাল করার পর যখন চিনি গলে গেল তখন তিনটা তেজপাতা ও কয়েকটা লেবুর পাতা দিয়ে দিলাম। এখানে আমি লেবুর পাতা দিয়েছি সুন্দর ফ্লেভারের জন্য। আপনারা চাইলে এলাচের গুড়াও দিতে পারেন। তবে অনেকেই এলাচের গুড়া পছন্দ করে না। তাই আমি লেবুর ফ্লেভার দেওয়ার জন্য লেবুর পাতা দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৮
যখন চিনির শিরা তৈরি হয়ে যাবে তখন আমি মিষ্টিগুলো দিয়ে দেব। এরপর মিষ্টি গুলো কিছুক্ষণ সিরাতে ডুবিয়ে রেখে নাড়াচাড়া করে নিব। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে এক ঘন্টা ঠান্ডা করতে রেখে দিব। এই এক ঘন্টায় মিষ্টি গুলো ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
ধাপ-৯
আমার তৈরি করা মিষ্টির এই রেসিপিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়া নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলছেন মিষ্টির দাম যে হারে বেড়েছে । আর সব থেকে বড় কথা বাজারের গুলো এতো স্বাস্থ্যসম্মত নয়।আর আপনি খুব সাধারণ ভাবে বেশ মুখরোচর ভাবে স্বাস্থ্যসম্মত মিষ্টি তৈরি করেছেন।দেখতে বেশ লোভনীয় ছিলও।যাক তাহলে বাসায় স্বাস্থ্যসম্মত মিষ্টি তৈরি করতে পারলে বাজারের ভেজালযুক্ত মিষ্টির কি দরকার।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এবার চিন্তা করব ঈদের মধ্যে মিষ্টি না কিনে বাড়িতে তৈরি করার জন্য।
বর্তমান বাজারের যে পরিস্থিতি তাতে করে ভালো-মন্দ কোনো কিছু কিনে খাওয়াই মুশকিল হয়ে গেছে।আমাদের এখানে আগে মিষ্টির দাম ১২০ টাকা অতিরিক্ত দেড়শ টাকা কেজি ছিলো এখন সেই মিষ্টির গুনে গুনে ৩০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়।আর যদি আরেকটু ভালো মানের মিষ্টি নিতে চান তাহলে তো কথাই নেই দাম ধরাছোঁয়ার বাহিরে।আপনার আইডিয়াটা খারাপ না ভাইয়া।যদি স্বল্প খরচে নিজেদের চাহিদা মেটানো যায় তাতে সমস্যা কোথায়!গুড়া দুধ দিয়ে অনেক সুন্দর মিষ্টি তৈরি করেছেন যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।চাহিদা মিটানোর জন্য এই অনেক।সুন্দর একটি আইডিয়া মূলক রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহলে ভাবুন প্রতিদিন যদি এভাবে দাম বাড়তে থাকে তাহলে কিভাবে খাওয়া যাবে।
খুব সুন্দর একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আপনি। ঈদের সময় মিষ্টির দোকানে অনেক ক্রেতার ভিড় থাকার কারণে মিষ্টির কোয়ালিটি অনেক খারাপ হয়ে যায় তাই যদি নিজের মিষ্টি তৈরি করা যায় এর থেকে ভালো কিছু হয় না বলে আমি মনে করি। আপনি পরীক্ষামূলক মিষ্টি তৈরি করেছেন এবং প্রথম অবস্থায় বেশ ভালোভাবেই মিষ্টি তৈরি করেছেন। তবে মিষ্টির ছানাগুলো আরেকটু সুন্দর করে ফিনিশিং দিলে বেশি ভালো হতো। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইদানিং কোয়ালিটি তো খারাপ হয়ে যায় সাথে দামের কারণে কেনা যায় না।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। মিষ্টির মনটা একটু ভালো হলেও সান্তনা পাওয়া যায়।
বাহ আপনার মিষ্টি তৈরীর রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমি এখনো মিষ্টি তৈরী করি নাই তবে রসমলাই তৈরী করেছিলাম। সাদা মিষ্টি গুলো বানালে দেখতে আরো সুন্দর লাগতো। যায়হোক সফল হয়েছেন। ধন্যবাদ।
কিনে খাবার থেকে বাড়িতে তৈরি করে খাওয়াটাই ভালো।
আসলেই বাজারে জিনিসের দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।আর ঘরে তৈরি খাবার তো সবসময় মজাদার ও স্বাস্থ্যসম্মত।তাছাড়া আপনার ময়দা ও গুঁড়া দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টিগুলি সুন্দর হয়েছে।আমার মনে হয়, আপনার ডো মাখাটি আরো স্মুথ হলে মিষ্টিগুলি ফাটল না ধরে আরো সুন্দর লাগতো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরি করা যায় তাই বাড়িতে তৈরি করে খাওয়াই ভালো।
মিষ্টি খেতে সকলেই ভালোভাবে।আর ঈদের সময় মিষ্টি যদি হাতের তৈরি তাহলে তো ব্যাপারটা আরো জমে যায়।মিষ্টি বাসায় তৈরি করেছেন শুনে ভীষণ ভালো লাগলো।দারুন লাগছে ভাইয়া আপনার তৈরি মিষ্টি গুলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।