কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতি||১০% @shy-fox||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , এপ্রিল ২২/২০২২
আচ্ছালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতি শেয়ার করতে চলেছি। চলুন শুরু করা যাক.....
কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | কাঁঠালের এঁচোড় |
২ | পেঁয়াজ |
৩ | রসুন |
৪ | লবণ |
৫ | সয়াবিন তেল |
৬ | জিরা |
৭ | ধনিয়া |
৮ | দারচিনি |
৯ | এলাচ |
১০ | হলুদের গুঁড়া |
🍲ধাপ - ০১🍲
কাঁঠালের এঁচোড় রান্না করার জন্য প্রথমে আমি কড়াইয়ের মধ্যে কিছু পানি নিয়ে নিলাম এবং পানি হালকা গরম করে নিলাম।
🍲ধাপ - ০২🍲
তারপরে আমি কাঁঠালের এঁচোড় গুলোকে কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ০৩🍲
তারপরে কাঁঠালের এঁচোড় এর মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, এবং লবন দিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ০৪🍲
এরপরে আমি কাঁঠালের এঁচোড় এর মধ্যে দারচিনি, এলাচ, ধনিয়া,জিরা এবং কিছু রসুন একত্রে বেটে দিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ০৫🍲
সবগুলো জিনিস কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দেয়া হয়ে গেলে আমি কাঁঠালের এঁচোড় গুলোকে খুবই ভালোভাবে সিদ্ধ করতে শুরু করে নিলাম। কাঁঠালের এঁচোড় শুদ্ধ হবার জন্য প্রায় ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল।আর এই ১৫ মিনিটে আমার তৈরী রেসিপিটি কেমন হয়েছিল তা আপনারা উপরের ছবিগুলো লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন।
🍲ধাপ - ০৬🍲
কাঁঠালের এঁচোড় সিদ্ধ করে নেয়া শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলো কে আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
🍲ধাপ - ০৭🍲
এরপরে আমি একটি শুকনো করায় নিলাম এবং কড়াইয়ের মধ্যে প্রথমে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিলাম। সয়াবিন তেল গরম হয়ে যাবার পরে তার মধ্যে আমি পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ০৮🍲
তারপরে আমি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া দিলাম, তারপরে পেঁয়াজ এবং রসুন গুলোকে খুবই ভালো ভাবে ভেজে নিলাম।
🍲ধাপ - ০৯🍲
সবগুলো জিনিস ভাজা হয়ে যাবার পরে আমি পূর্বে সিদ্ধ করা কাঁঠালের এঁচোড় গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপরে আমি আরও পাঁচ মিনিট মতো কড়াইয়ের মধ্যে রেখে সে গুলোকে জ্বাল দিতে থাকলাম।
🍲 পরিবেশন 🍲
রেসিপিটি তৈরি হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলো কে আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
আপনারা হয়তোবা অনেকেই কাঁঠালের এঁচোড় পছন্দ করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে কাঁঠালের এঁচোড় দিয়ে রুটি খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনারা চাইলে আমার মতো করে এই ধরনের কাঁঠালের এঁচোড় রান্না করতে পারবেন এর জন্য প্রথমেই আপনাদেরকে আমার দেখানো প্রত্যেকটি উপকরণ সংগ্রহ করে নিতে হবে। তারপরে আমার দেখানো ধাপগুলো অবলম্বন করলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু একটি কাঁঠালের এঁচোড় রান্না।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
শুধুমাত্র শিখে নিলেই হবে না ভাইয়া বাড়িতে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে।
ভাইয়া অনেক দিন পর কাঁঠালের এঁচোর রান্না রেসিপি দেখে নিলাম। দেখে খেতে অনেক ইচ্ছে করছে। কাঁঠালের এরকম এঁচোর রান্না রেসিপি দেখে আমার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা লাগবে। এতো সুন্দর ভাবে রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু এই ধরনের রেসিপি আগে অনেক তৈরি হতে দেখতে পওায়া যেতো।কিন্তু এখন খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়।
আমি শুনেছি এঁচোড় নাকি খেতে অনেক স্বাদ।আমি কখনো খাই নি।তবে আমার কাজিন বললো,মাংস দিয়ে রান্না করলে খেতে নাকি অনেক মজা।রুটি খেতে ভালো লাগে, আজ শুনলাম।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
কাঠাল সিদ্ধ রেসিপি খেয়েছি কিন্তু কাঠাল এর যে এঁচোড় রেসিপি নাম তো কখনো শুনি নি।রেসিপিটি কিন্তু বেশ লোভনীয় হয়েছে আর সেইসাথে শুকনা মরিচ গুঁড়া করে দেওয়ায় আরো দুর্দান্ত হয়েছে ভাই।
জি ভাইয়া এই ধরনের রেসিপিতে মরিচ গুড়া ব্যবহার করলে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতিটি দেখে আমার বেশ কাজে লাগবে। কেননা এভাবে কাঁঠালের এঁচোড় রান্না করে খাওয়া যায় তা আমার জানা ছিল না। তবে আমার এক বড় ভাবি কাঁঠালের এঁচোড় খাসির মাংস দিয়ে রান্না করে খাইয়ে ছিল। তখনই বেশ বুঝতে পেরেছিলাম রান্না করা কাঁঠালের এঁচোড় এর খুবই স্বাদ। আর এই স্বাদের রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমাদের এলাকায় এই ধরনের রেসিপি অনেক তৈরি হতে দেখতে পায়৷
কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে কাঁঠাল আমি খেতে পছন্দ করি। কিন্তু কাঁঠালের রেসিপি তৈরি করা আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হয়। তাই আমি কখনো তৈরি করিনি। তবে আপনার উপস্থাপন দেখে সহজ মনে হল। তাই আমি পরবর্তীতে তৈরি করব। দেখি অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, শুভকামনা ভাইয়া।
এই ধরনের রেসিপি তৈরি করা একটু কঠিন হলেও এটা খেতে অনেক সুস্বাদু।
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কাঁঠালের এঁচোড় আমি কখনো খাইনি। তাই এর টেস্ট কেমন সেটা জানি না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে এটি। কাঁঠালের এঁচোড় এভাবে রান্না করে খাওয়া যায় সেটাও জানা ছিল না আমার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক মজা লাগে এটা খেতে। একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখেন আশা করি মজা পাবেন।
কাঁঠালের এঁচোড় রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি এবং কি আগে কখনো নাম ও শুনেনি। কিন্তু আপনার কাঁঠালের এঁচোড় রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে। অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে এই ধরনের রেসিপি তৈরি করা একটু কষ্টের তাই এটা কম তৈরি হতে দেখতে পাওয়া যায়।
এর আগেও আমি এই রেসিপিটি খেয়েছি, তবে এটাকে যে এঁচোড় বলা হয় তা আমার আগে জানা ছিলো না । যাইহোক আপনার রেসিপিটি এককথায় দারুন হয়েছে ভাইয়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাদের এলাকায় এই রেসিপিটিকে কী বলা হয় ভাই।
আসলে ভাইয়া আমি মাছটাই ভালোমতো চিনতে পারতেছি না। এই নামে আমাদের এলাকায় কোন মাছ আছে বলে আমার মনে হয় না। হতে পারে এটা আপনাদের আঞ্চলিক নাম।
ভাইয়া আপনি এমন একটা খাবার নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। সত্যি কাঠালের আচার জীবনেও খাইনি। আপনার এই পোস্টটি দেখে মনে হচ্ছে আমাকে রান্না করে খেতে হবে। আপনার এই পোষ্টটিতে আচারের আইটেম দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি আপনার এই সিস্টেমগুলো দেখে দেখে রান্না করবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা রইল
এই ধরনের রেসিপি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া আশাকরি অনেক মজা পাবেন।