ছোটবেলার স্মৃতির পুনরাবৃত্তি ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি তার সাথে হয়তো বা আপনাদের সকলেরই ছোটবেলার অনেক মজার মজার স্মৃতি লুকিয়ে আছে। ছোটবেলায় ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে যাইনি এমন মানুষ হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যায় না। এই ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো কে নিয়ে কবিরা ও অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন।
মামার বাড়ি ঝড়ে দিনে আম কুড়ানোর সুখ।
আসলেই এটা খুবই সুখের একটা বিষয়। অনেকদিন হয়ে গিয়েছিল এমন সুখ অনুভব করার সময় এবং সুযোগ কোনটাই হচ্ছিল না। হঠাৎ আজকে সন্ধ্যায় চারিদিক কালো মেঘে সে আসলো। ভাবলাম বৃষ্টি শুরু হবে কিন্তু কাঙ্খিত সেই বৃষ্টির দেখা আমরা পেলাম না। বৃষ্টি না হলেও অনেক দিন পর ঝড়ের মধ্যে আম কুড়ানোর সুযোগটা পেয়ে গেলাম।
ঝড়ের কারণে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে জোরে বাতাস হচ্ছিল তাই মনে হচ্ছিল যেন নারিকেল গাছ গুলো ভেঙ্গে পড়ে যাবে। নারিকেল গাছগুলো এত জোরে দোল খাচ্ছিল তা দেখে মনে হচ্ছিল নারিকেল গাছগুলো এখনই ভেঙে যাবে। চারিদিকে বাতাসের কারণ এই সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছিল।
দৌড়াতে দৌড়াতে আমি আম বাগানে চলে গেলাম। সেখানে যাবার পরে লক্ষ্য করলাম ইতিমধ্যেই একজন আম বাগানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছে আম কুড়ানোর জন্য। আমার যাবার পরে আরো কয়েকজন আম কুড়ানোর জন্য সেখানে উপস্থিত হলো। ছোটবেলায় এভাবে যে কত বেশি পরিমাণে আম কুড়িয়েছি তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। রাত কিংবা দিন যখনই ঝড় শুরু হতো তখনই আমি দৌড়ে আম বাগানে চলে যেতাম এবং আম কুড়াতে শুরু করতাম। অনেকদিন পর আম কুড়াতে পেরে আমার যেন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
যাইহোক অনেকজন আম বাগানে উপস্থিত থাকলেও আমি বেশ কিছু আম পেয়েছিলাম। আসলে আম কতটা পেয়েছি বা কত বেশি পেয়েছি সেটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। অনেকদিন পরে যে আম কুড়ানোর এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে পেরেছি এটাই সবথেকে বড়। আপনাদের ঝড়ে দিনে আম কুড়োনোর সুন্দর গল্পগুলো আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো জানার জন্য আমি অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর মজাটাই অন্যরকমের। আজকে আপনি যে আমগুলো কুড়িয়ে এনেছেন সেগুলো খেতে অনেক মিষ্টি। দেখা যাক কালকে এই আমগুলো দিয়ে আচার তৈরি করতে হবে।
কিছুদিন পরে এই আম পেকে যাবে তাই মিষ্টি হয়ে গিয়েছে।
আসলে ভাই আজকে আপনি আমাদের মাঝে একটা আবেগ জনিত পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার আজকের পোস্টটি দেখে আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আসলে ছোটবেলায় যখন বাইরে ঝড় উঠতো তখন আমরা দ্রুত আম গাছের নিচে গিয়ে আম কুরাতাম। আসলে সেই স্মৃতিগুলো এখন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আসলে এত সুন্দর একটা আনন্দের অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।
আসলে ভাইয়া এটা তো আবেগের একটা ব্যাপার যা অনেকদিন পরে করতে পারলাম।
কেউ কখনো স্মৃতিচারণ করলে আমার সেই সমস্ত স্মৃতি গুলো জানতে খুবই ভালো লাগে। আসলে ছোটবেলায় আমরাও আম কুড়িয়েছি। আম কুড়াতে আমারও ভালো লাগলো এখনো মাঝেমধ্যে কিন্তু আম কুড়ানোর চেষ্টা করি নিজেদের কাছে। যাইহোক এত সুন্দর স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক কথা বলেছেন ছোটবেলায় আমরা কত যে আম কুড়িয়েছি তা মনে করাটাই কষ্টের।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ হ্যাঁ শুধু মামার দেশে নয় সব জায়গায় ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে সুখ।আম আপনার ঘরে পচে যাবে কিন্তুু গাছের তলায় একটি আম পেলে ভীষণ সুখ অনুভব হয়।আপনার আম কুড়ানোর মুহুর্তের অনুভূতি গুলো ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহুর্তের অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভালো বলেছেন আপনি সব জায়গাতেই আম কুড়ানোর মজাটা অনেক বেশি।
ভাই আপনি কত সুন্দর আম কুড়িয়েছেন।কিন্তু আমার মা ঝড় বা বাতাস দেখলে ঘর থেকেই বেড় হতে দেয় না। বলে বাজ পরবে এই জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আমারও বাইরে যেতে দেয় না আসলে ওইদিন আমি বাইরে ছিলাম তাই এমনটা করতে পেরেছি।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আম কতটা পাওয়া গেল এটা মূল বিষয় নয়। আনন্দটাই অনেক বেশি। আর সময়টা দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন বুঝতে পারছি। সত্যি ভাইয়া ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। এখন আর আম কুড়োতে যাওয়া হয় না। এখন আর সেই আনন্দগুলো অনুভব করতে পারি না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক কথা কয়টা পেয়েছি সেটা বড় কথা নয় অনেকদিন পর মজা পেয়েছি এটাই সব থেকে বড় কথা।