রেসিপিঃ ছোলার ঘুগনি তৈরির পদ্ধতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার ,৭ জুলাই ২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে কিন্তু সময়ের অভাবে রেসিপি তৈরি করা হয়ে ওঠেনা। অনেকদিন থেকেই মনে হচ্ছিল যে যদি ছোলার ঘুগনি খাব কিন্তু কোনভাবেই যেন সেটা হয়ে উঠছিল না। যেহেতু আপনাদের আপু এইখানে নেই তাই তাকেও বলতে পারছিলাম না এটা তৈরি করে দিতে যেন আমি খেতে পারি। এটা খাবার জন্য আমি আগে থেকেই বাজার থেকে কিছু ছোলা কিনে এনে রেখে দিয়েছিলাম। এরপরে সুযোগ বুঝে শুক্রবারের দিনে আমি এটা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। যেহেতু শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকে তাই এই দিনটাকে আমি বেছে নিয়েছিলাম এটা তৈরি করার জন্য। ছুটির কারণে আমি সারাদিন বাড়িতে ছিলাম যার ফলে এটা তৈরি করতে আমার তেমন কোন সমস্যা হয়নি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | ছোলা |
২ | কাঁচা মরিচ |
৩ | লবণ |
৪ | পেঁয়াজ |
৫ | রসুন |
৬ | সয়াবিন তেল |
ধাপ-১
এই রেসিপিটা তৈরি করার জন্য আমি আগের দিন সন্ধ্যার দিকে ছোলা ভিজিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। কারণ আগে থেকে যদি এটাকে ভিজিয়ে রেখে দেওয়া যায় তাহলে রেসিপিটা তৈরি করা খুবই সহজ হয়।
ধাপ-২
ছোলা ভেজানো হয়ে যাবার পরে আমি রেসিপিটা তৈরি করতে শুরু করলাম। প্রথমেই আমি পরিমান মত লবণ ব্যবহার করে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপরে আমি রেসিপিটা তৈরি করার জন্য অন্যান্য সকল উপকরণ যেমন পেয়াজ মরিচ কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। সবগুলো উপকরণ দেয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে শুরু করলাম।
ধাপ-৪
এই ধাপটিতে ছোলা সিদ্ধ করার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এটাকে খুবই ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে যদি ভালোভাবে সিদ্ধ করে নেওয়া যায় তাহলে এটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হবে।
ধাপ-৫
এরপরে আমি একটা শুকনো কড়াই নিলাম এবং কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিলাম। সয়াবিন তেল গরম হয়ে যাবার পরে আমি তার মধ্যে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ দিলাম ভেজে নেবার জন্য।
ধাপ-৬
পেঁয়াজ ভাজার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি পূর্বে সিদ্ধ করা ছোলা গুলোকে করা এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৭
এরপরে আমি সকল উপকরণগুলোকে কড়াইয়ের মধ্যে আরো কিছু সময় নাড়তে থাকলাম। আর তারপরেই আমি আলাদা একটা পাত্রে খোলা গুলোকে তুলে নিলাম আর এরই মধ্য দিয়েই তৈরি হয়ে গেল আমার ছোলার ঘুগনি তৈরির রেসিপি।
আমার তৈরি করা এই রেসিপিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোলা ভুনা খেতে ভালই লাগে । ভালোই হয়েছে আপনার আপু কাছে নেই আর আপনি নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন । মাঝে মাঝে নিজের হাতে তৈরি করা খাবার খেতে হয় ভালই লাগে । আমি অবশ্য এগুলোর ভিতরে আরো অনেক মসলা এড করে থাকি তার সাথে আলু এড করি । আপনারা ছোলা ভুনা দেখে ভালো লাগলো ।
কি আর করব আপু খেতে ইচ্ছা করেছে তাই তো নিজেই তৈরি করে ফেললাম।
আমার প্রিয় একটি রেসিপি ভাইয়া। আমিও ছোলা ভূনা খেতে অনেক পছন্দ করি। ছোলা ভূনা খাবেন বলে বাজার থেকে এনে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু সময় সুযোগ করে রান্না করে খেতে পারেননি। আর আপু বাসায় ছিল না বলে আপনি নিজেই রান্না করে খেলেন। বুঝা গেল আপনি ভালোই রান্না করতে জানেন। আমি তো ছোলা ভূনা করলে আরো অনেক কিছু ব্যবহার করি। কিন্তু আজ আপনার ছোলা ভূনায়এত কিছু ব্যবহার না করেও দেখতে দোকানের মত লাগছে। দেখেই মনে হচ্ছে ছোলা ভূনাগুলো অনেক মজা হয়েছিল।
আমি সকল উপকরণ আগে থেকেই কিনে এনেছিলাম এটা তৈরি করার জন্য।
ছেলে খেতে আমার কাছে মোটামুটি বেশ ভালোই লাগে। তবে ছোলা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি দেখছি বাড়িতে বসে ছোলার ঘুগনি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ছোলার ঘুঘনি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।আর আপনি এই রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া শরীরের জন্য এটা খাওয়া খুবই উপকারী।
ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে ছোলা ঘুগনি রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে ছোলা যে আমার কত প্রিয় তা বলে বোঝাতে পারবো না। ছোলার তৈরি যে কোন জিনিস খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে ভাই। আর ছোলা ঘুগনি হলে তো আর কোন কথাই নেই। ছোলা ঘুগনি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক লোভনীয় ছিল প্রতিটি ধাপ বেশ আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই জিনিসটা পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যায় না।
ছোলা বোট আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। এটা আমি প্রায় সময় খেয়ে থাকি। আর এটাতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন রয়েছে। ভুনা করে খাওয়ার থেকে সকাল বেলা খালি বেটে কাঁচা খেলে বেশি ভিটামিন পাওয়া যায়। যায়হোক ছোলার ঘুগনি রেসিপিটা অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ঠিক কথা বলেছেন এটাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।
ছোলা ভুনা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আমরা সবাই জানি ছোলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। আপনার ছোলা রান্নার রেসিপি টি দেখে অনেক ভালো লাগলো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ।
আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে তাই তো আমি নিজেই রান্না করতে শুরু করে দিয়েছি।
রোজার সাথে সাথে সোনার ঘুগনি খাওয়া শেষ হয়ে গেছে এর মধ্যে আর ছোলার ঘুগনি খাওয়া হয়নি ,আপনার রেসিপি দেখে আবার ছোলার ঘুগনি খেতে মন চাইছে । ছোলার ঘুগনি আমার অনেক পছন্দ। আপনার এই ছোলার ঘুগনি রেসিপিটার সমস্ত প্রক্রিয়া আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এমন মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক কথা বলেছেন আপু রোজার দিনে এমন রেসিপি সবথেকে বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়।