রেসিপিঃ মজাদার পাকান পিঠা তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার ,২৪ জুন ২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এজন্য আমি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন পিঠা তৈরি করে এবং খেয়ে থাকি। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমি পিঠা পছন্দ করার জন্য আমার বাড়িতে এবং আমার শ্বশুর বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে পিঠা তৈরি হয়। আমি যখনই আমার শ্বশুর বাড়িতে যাই তখনই আমার জন্য পিঠা তৈরি করা হয় কারণ তারা জানে আমি পিঠা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি।
যেহেতু পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। হয়তোবা এলাকাতে এই পিঠার নাম বিভিন্ন রকমের হতে পারে কিন্তু আমাদের এলাকাতে এই পিঠাটাকে বলা হয় পাকান পিঠা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | আটা |
২ | চিনি |
৩ | লবণ |
৪ | দুধ |
৫ | তেল |
৬ | পানি |
ধাপ-১
প্রথমে আমি একটি পাত্রে অল্প পরিমাণে পানি নিয়ে নিলাম। তারপর এর মধ্যে এক চা চামচ লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ-২
এরপর লবণ ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে নিলাম। তারপর দুই কাপ আটা দিয়ে দিলাম। তারপর দুই কাপ এর একটু কম চিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৩
এরপর আটা গুলো চিনির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। মেশানো হয়ে গেলে অল্প অল্প করে তরল দুধ দিতে থাকলাম। দুধ অল্প অল্প করে দিতে হবে আর হাত দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। যেন দলা বেঁধে না যায়। তারপর অল্প অল্প করে দুধ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে সুন্দর একটি ডো তৈরি করে নেব। এই ডোটি আপনারা বেশি ঘন করবেন না আবার বেশি পাতলা ও করবেন না।
ধাপ-৪
এরপর করার মধ্যে একটু বেশি করে তেল দিতে হবে। যেন পিঠা গুলো দিলে তেলের ভিতরে ডুবে থাকে। তারপর অল্প অল্প করে ডো দিয়ে আমি পিঠাগুলো তৈরি করে ফেললাম। পিঠাগুলো উল্টানো লাগবে না বেশি করে তেল দিলেই হবে।
ধাপ-৫
আর এভাবেই আমি অনেকগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম এবং আপনাদের সামনে সেগুলো একটা জায়গাতে রেখে ছবি তুলে শেয়ার করলাম।
আমার তৈরি করা পিঠার এই রেসিপিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময় আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
ভাইয়া আমাদের দিকে এই পিঠাকে তেলের পিঠা বলে আর আমরা একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি করি। তাছাড়া আঠার পরিবর্তে সব সময় চালের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। যাই হোক আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনার বাড়িতে ও শ্বশুর বাড়িতে এই পিঠা বেশি করে বানানো হয় জেনে ভালো লাগলো। আপনি আজ খুবই মজাদার একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। পিঠাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দরভাবে ফুলে উঠেছে। এ পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দুই বাড়িতেই পিঠা তৈরি করা হয় আর এজন্য আমিও মজা করে সেটা খেতে পারি।
এ ধরনের পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি।আর আপনার পিঠাগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার ছিল। পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ ছবিসহ এত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
চেষ্টা করেছি আপু ভালোভাবে বিষয়টা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
অনেক মজা করে পাকান পিঠাগুলো তৈরি করেছিলেন। পিঠাগুলো খেতে সত্যি অনেক মজা হয়েছিল। পাকান পিঠা তৈরীর প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন বর্ণনা গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। পিঠা গুলো দেখে এখন আমার খেতে ইচ্ছে করছে।
চেষ্টা করেছি বৃথা তৈরির ধাপগুলো আপনাদের মাঝে ভালোভাবে শেয়ার করতে।
শ্বশুরবাড়িতে গেলে তো মজার মজার পিঠা খেতেই পারবেন কারণ শশুর বাড়ির লোকজন জামাইদেরকে পিঠা খাওয়ানোর জন্য সব সময় ব্যস্ত থাকে । আর আপনার পছন্দের পিঠাগুলো তৈরি করে খাওয়ায় জেনে ভালো লাগলো । পাকান পিঠাগুলো দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে মজা হয়েছিল নিশ্চয়ই খেতে ।
এটা ঠিক কথা বলেছেন শ্বশুরবাড়ি গেলে তো সকলে পিঠা খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আশা করি পিঠাটিও মজা হবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমার এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই খুশি হলাম।
বাহ বেশ মজাদার একটি পিঠা তৈরি করেছেন দেখছি। ময়দা চিনি ও দুধ দিয়ে পাকান পিঠা তৈরি করেছেন। তবে আমাদের এখানে এই পিঠা গুলো কে তেলে পিঠা বলে। আর পাকান পিঠা গুলো ডাল দিয়ে তৈরি করে। যাইহোক দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পিঠা খেতে যে কত মজা তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
আজ আপনি আমাদের মাঝে মজাদার পাকান পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই বেশ সুস্বাদু হয়েছে। এ ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি পিঠা তৈরীর প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পাকান পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই পিঠা একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে।
পাকান পিঠা আমাদের গ্রামের ঐঐতিহ্য বাহি একটি পিঠা।এটা বানাতে যেমন পরিশ্রম খেতেও খুব সুস্বাদু। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন প্রতিটি ধাপ। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া এটা একটা ঐতিহ্যবাহী পিঠা।
এই রেসিপিটা আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার পাকান পিঠা তৈরি করা। আমি প্রায় মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলে এটা তৈরি করে খাই এবং পরিবারের সবাইকে খাওয়ায়। এত সুন্দর ভাবে পিঠা তৈরি করে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
এই পিঠাটি আপনার খুবই পছন্দের সেটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।