লাইফস্টাইলঃ আবু রায়হানের দাঁড়ানো শেখার প্র্যাকটিস
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আবু রায়হান তার নানীদের বাড়িতে আছে কিছুদিন। যেহেতু বাংলাদেশকে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে তাই আমার সময়টা যেন অবসরে কেটে যাচ্ছে। এই অবসর সময়টাকে আরো একটু ভালোভাবে কাটানোর জন্য আমিও ভাবলাম যে একটু শ্বশুরবাড়ি থেকে ঘুরে আসি। কারণ ছেলে সেখানে রয়েছে বাড়িতে থাকতে তো আর একা একা ভালো লাগে না। সেখানে যাবার পরে দেখতে পেলাম কিছুটা দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। আমি সেখানে যখনই যাই আবু রায়হানকে দাঁড়ানো হাঁটা ওই ধরনের প্র্যাকটিস গুলো পড়াতে থাকি। কেননা ছোটদের যদি এইভাবে প্র্যাকটিস করানো হয় তাহলে অল্প বয়সেই দাঁড়ানো এবং হাঁটা শিখে যায়।
সেখানে যাবার পরেই আমি লক্ষ্য করে দেখলাম আবু রায়হান আমাকে ধরে নিজে নিজেই দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এজন্য তাকে আমি আরো একটু ভালোভাবে এই প্র্যাকটিসটা করানোর জন্য জানালার পাশে নিয়ে গেলাম এবং জানালার রড ধরে দাঁড় করিয়ে দিলাম। দেখতে পেলাম জানালার রড ধরে দাঁড়াতে পেরে আবু রায়হান অনেক খুশি হচ্ছে। যে মুহূর্তে আমরা এই প্যাকটিসটা পড়ছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরের বৃষ্টি দেখে আবু রায়হান অনেক আনন্দিত হচ্ছিল। এজন্য আমি তাকে বাধা দিলাম না আরো কিছু সময় সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখলাম যেন সে ভালোভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সক্ষমতা লাভ করতে পারে।
আমাদের দুজনের এই কর্মকাণ্ড দেখে আপনাদের আপু একটা ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরে চলে গেল ছবি তোলার জন্য। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছিল তাই সে ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরে চলে গেল না হলে তো ভিজে যাবে। বাইরে যেয়ে আমার কাছ থেকে মোবাইলটা নিয়ে কয়েকটা ফটোগ্রাফি ধারণ করে নিল আমাদের দুজনের। লক্ষ্য করে দেখলাম এই দাঁড়ানোর মুহূর্তে আবু রায়হান ছবি তুলতে খুবই আনন্দ বোধ করছে। আসলে ছোটবেলা যখন নতুন কিছু শেখা যায় তখন ছোটদের মাঝে অন্য রকমের একটা আনন্দ অনুভূতি কাজ করে।
এইভাবে যদি আবু রায়হানকে আরো কিছুদিন প্র্যাকটিস করানো যায় তাহলে হয়তোবা সে খুব সহজেই নিজে নিজেই দাঁড়ানো শিখে যেতে পারবে। আবু রায়হানের এই দাঁড়ানোর বিষয়ে আজকে আর আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তাহলে কিছু দিন আরামে আছেন।আসলে এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাচ্চাদের অনেক ক্ষতি স্যারদের আরাম। যাইহোক ছোট বাচ্চাদের প্র্যাকটিস করালে সব কিছু তারাতাড়ি শিখবে।বেশ কিউট লাগছে বাবুকে।সত্যি দুজনে অনেক আনন্দে ছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
কি আর করা যাবে আপু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অবসর সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
যেহেতু দেশের পরিস্থিতির জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে তাই সবাই এখন বাড়িতে একটু সময় কাটাচ্ছে। আপনার সময়টা এভাবে ছেলেকে নিয়ে কাটছে দেখে খুব ভালো লাগলো। সবসময় তো এভাবে সন্তানদের সময় দেওয়া যায় না। ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের প্রথম থেকে এভাবে চেষ্টা করাতে থাকলে তারা খুব তাড়াতাড়ি হাঁটা শিখে যায়। আপু বাপ ছেলের খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করেছেন। আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল।
ছুটির দিনে ছেলেকে নিয়ে ভালোই সময় কাটাচ্ছি।
আপনার ছেলে দেখছি অল্প বয়সেই দাঁড়াতে শিখে গেছে ভাই! তবে আমারও আসলে মনে হচ্ছে যে, সে দাঁড়াতে পেরে অনেক খুশি হয়েছে। আর এইভাবে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে থাকলে আশা করি খুব দ্রুত সে দৌড়াদৌড়ি করতে পারবে। তাছাড়া বাচ্চার কাছে এসে আপনাকেও বেশ খুশি খুশি লাগছে ভাই।
ঠিক কথা বলেছেন ভাই সে অল্প সময়ে দাঁড়ানো শিখা যাচ্ছে।
বাচ্চাদের এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।এই সময়ে যদি বাচ্চার হাত ধরে ধরে হাঁটানো যায় আর বাচ্চার সাথে কথা, নতুন নতুন শব্দ বলে বলে শেখানো হয়।বাচ্চারা খুব দ্রুত তা শিখে নিতে পারে।এজন্য মায়ের পাশাপাশি বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উচিত বাচ্চার সাথে কথা বলা।আপনার ছেলে হাঁটার চেষ্টা করছে আর আপনিও তাকে সময় দিচ্ছেন যা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো।মাশাল্লাহ আবু রায়হানকে সুন্দর লাগছে হাসিতে।সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুক এমনটাই দোয়া করি।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কথা বলেছেন এই সময় বাচ্চাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।