পৌষ মাসে পৌষ ধানের আমেজ
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম
প্রীতি ও শুভেচ্ছা
পৌষ মাসের পিঠা পায়েস পিঠা খাওয়ার ধুম
রাত্রি জেগে বানায় পিঠা নষ্ট করে ঘুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার আজকের পোস্ট টি পৌষ মাসের পৌষ ধান সম্পর্কে।
ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য শস্য। বিশ্বে ধান উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।এদেশে সারা বছর কত রকমের ধান উৎপাদন করা হয় বলা মুশকিল।
চলছে পৌষ মাস।কতটা শীত পড়ছে তা তো নতুন করে বলতে হবে না কারণ শীতের প্রকোপ সবার কাছেই বিরাজমান।পৌষ মাসের এই প্রচন্ড শীতে ও গ্রামের মানুষের বিশেষ করে যারা কৃষি কাজে নির্ভরশীল তাদের ব্যস্ততার শেষ নেই।শীতের ভয়কে গ্রামের মানুষ জয় করে নেয়।যেহেতু এই প্রচন্ড শীতে পৌষ ধানের আগমন তাই নতুন ধান ঘরে তুলতেই হবে।কারণ পিঠা পুলি খাওয়ার সময় যে এখন।
- গত সপ্তাহ আমাদের ও পৌষ ধান ঘরে উঠালো।তখন শীতের প্রকোপ আরেকটু কম ছিল।বর্গা চাষীরা আমাদের ধান বস্তায় করে দিয়ে গেল বাড়িতে। তার পরের কাজ আমাদের। কিন্তু ধান ঘরে আনার আগের কৃষকের কষ্টের কথা ভাবলে ভীষণ খারাপ লাগে।কৃষকের ঘামের গন্ধ যেন ধানের গায়ে লেগে থাকে।
- পৌষ ধান উৎপাদন করার সময় কোন সার ব্যবহার করা হয় না তাই পৌষ ধানের চাল খেতে মজা এবং পুষ্টি ও বেশি। পৌষ ধান কিছুটা লাগছে কালারের হয়ে থাকে তাই দেখতেও সুন্দর লাগে। এই ধানগুলো আমরা কিছু সিদ্ধ করেছি এবং কিছু পিঠা খাওয়ার জন্য রোদে শুকিয়ে রেখেছি। যদিও শীতের প্রকোপে রোদ পড়ছে না। তাই ছাদে অল্প তাপে ছয় দিন লাগিয়ে শুকাতে হয়েছে। পুরো গ্রাম জুড়ে পৌষ ধানের মাতামাতি। এজন্য নতুনের আমেজ। এই শীতের মধ্যে ধান সিদ্ধ করাটা যে গ্রামের মানুষের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার ,তা হয়তো শহরের ব্যস্ত নগরীর মানুষেরা বুঝতে পারবে না। তবে এই কষ্টের মধ্যেও অন্যরকম আনন্দ উপলব্ধি করা যায়।
- অবশেষে ধান সিদ্ধ করে ধান শুকানো শেষ হল। ধান যেহেতু শুকানো শেষ এবার মেশিনে ধান থেকে চাল বের করার পালা। আর সেই পৌষ ধান দিয়ে পিঠা বানিয়ে আরেকদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব ।আজ এ পর্যন্তই আমার ব্লগটি।
🌺 আশা করি আমার আজকের ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺 |
---|
🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺 |
---|
পৌষ মাস এ খুবই ভালো সময় কাটানো যায়। বিশেষ করে পৌষ ধান যখন ঘরে ওঠায় তখন। আমাদের এই দিকে অনেক বছর আগে এরকম চুলায় ধান সিদ্ধ করা হতো। তখন তো সবাই মিলে বেশ ভালোই মজা করতাম। এখন তো এরকম দৃশ্যগুলো দেখাই যায় না। সবাই অন্য মাধ্যমে ধান সিদ্ধ করে থাকে। এখন সব জায়গায় পিঠাপুলি তৈরি করার আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। পুলি পিঠার উৎসব আমার একটু বেশি পছন্দ। ধন্যবাদ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আসলে ঠিক বলেছেন পৌষ মাস আসার পর থেকেই গ্রামীণগঞ্জেই দেখছি ধানের আমেজ বেড়ে গেছে। গ্রামর কৃষকেরা পৌষ ধান নিয়ে ভীষণ কষ্ট করছে। আর এখন গ্রামেগঞ্জে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যাবে ।আপনার পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। বেশ ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেছেন আপনি পৌষ মাসের ধান সম্পর্কে।
আপনি ঠিকই বলেছেন বিশ্বে ধান উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ।এটা কিন্তু একেবারেই সত্যি পৌষ ধান উৎপাদনের সময় কোন সার ব্যবহার করা হয় না তাইতো এটি খুবই ভালো খেতে। গত সপ্তাহে আপনাদেরও পৌষ ধান ঘরে উঠিয়েছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে। এখন তো পাতিলে করে ধান সিদ্ধ একেবারেই দেখা যায় না। আসলে গ্রামের মানুষের জন্য শীতকালে ধান সিদ্ধ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। দেখে বেশ ভালই লেগেছে অনেকদিন পর এরকম দৃশ্য দেখলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাদের দিকে দেখছি অনেক পরে ধান ঘরে তুলছে! আমাদের দিকে একমাস আগেই ধান তুলা হয়ে গেছে! এখন পৌষ মাসের শেষের দিকটা! জমিতে আবার ধানের চারা রোপণ করা হয়! ধান সিদ্ধ করার মুহুর্তটা সুন্দর! গ্রামে গেলেই দেখা যায়
এই সময়ে ধান সিদ্ধ করে রোদে শুকানো বড়ই মুশকিল। কারণ রোদের দেখা তো পাওয়াই যাচ্ছে না। এই কয়েকদিন ধরে সত্য প্রবাহ চলছে। চারদিকে কুয়াশা, সকাল বিকেল বোঝাই যাচ্ছে না কোনটা কোন সময়। যাইহোক আপনি আমাদের মাঝে পৌষ ধানের আমেজ নিয়ে দারুন একটি পোস্ট করেছেন। তবে আপনারা বড় পাতিলে করে ধানগুলো সিদ্ধ করছেন। কিন্তু আমাদের এদিকে দেখি একটা বড় আকারের তাওয়ার মধ্যে এগুলো সিদ্ধ করা হয়।
ঠিক বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য শস্য ধান ৷ আর এ ধান উৎপাদনে আমাদের দেশের কৃষকেরা অনেক পরিশ্রম করে ৷ যাই হোক পৌষ মাস মানেই পিঠা পুলি খাওয়া সময় ৷ তবে আমাদের এদিকে আরো আগেই ঘরে ধান তুলে থাকি ৷ আপনারা দেখছি অনেক দেরিতেই ঘরে ধান তুলছেন ৷ যাই হোক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
হুম পৌষ মাসে নতুন ঘরে তোলে গ্রাম বাংলার কৃষকেরা ৷ আসলে গ্রামের মানুষ প্রচুর পরিশ্রম করে ৷ তবে আপনাদের ধান সিদ্ধ করার পদ্ধতি টা অনেক ভালো লাগলো ৷ একসাথে তিনটা পাতিল এক চুলায় ৷ আমাদের এই দিকে ইট দিয়ে বানানো একটি পাতিলের জন্য একটি ৷ যা হোক বেশ ভালো লাগলো পদ্ধতি টা ৷
আসলে ছেলে বেলা থেকে শহরের মানুষ তো । তাই পৌষ মাসে যে গ্রামে ধান উঠে, সে ধান শুকানো, সিদ্ধ করা আর অন্যান্য সব কাজ নিয়ে গ্রামবাসীকে যে ব্যস্ততম সময় কাটাতে হয়, তা আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আপনি প্রতিটি বিষয়কে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এর আগে এ বিষয়গুলো আমার জানা ছিল না।
কৃষি প্রধান আমাদের দেশ। কৃষক কষ্ট করে আমাদের খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে । আপনি ধান সিদ্ধের ছবি দিয়ে গ্রামের এসময়ের চিরায়ত দৃশ্য তুলে ধরেছেন। আর পৌষ ধানের নাম আগে আমার জানা ছিলনা!! এটা কোন এলাকায় হয়? শুভ কামনা আপনার জন্য।