আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম
প্রীতি ও শুভেচ্ছা
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলাপাতায় তালের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছি।
- তাল কতটা সুস্বাদু তা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। তাল দিয়ে গ্রাম বাংলায় নানা রকম পিঠাপুলি তৈরি করা হয়। কখনো নারিকেল দিয়ে তাল এঁটে খাওয়া হয়, কখনো বা তালের তেলের পিঠা, কখনো তালের কেক কখনো তালের কলা পাতায় তৈরি করার ঐতিহ্যবাহী পিঠা বানানো হয়। এক এক রকম পিঠার স্বাদ একেক রকম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কলা পাতায় তালের পিঠা বানানো। তালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন তবে যাদের গ্যাসের সমস্যা বেশি তারা খুব বেশি পরিমাণে তাল খেতে পারে না। তাছাড়া তাল দিয়ে তেলের পিঠা বানালে অনেকেই গ্যাসের জন্য খেতে পারেনা কারণ তেল। কিন্তু কলা পাতায় বানানো পিঠা তেলের স্পর্শ না পাওয়ায় গ্যাসের সমস্যা কারীর ব্যক্তিরা ও কিছুটা হলেও খেতে পারবেন। আর এই পিঠা ভীষণ স্বাদ। আমার অনেক পছন্দের একটি পিঠা। তাহলে চলুন আজকের কলা পাতায় তৈরি তাদের পিঠা দেখে নেয়া যাক।
- তাল
- চালের গুঁড়ো
- চিনি
- কোরা নারকেল
- লবণ
- বেকিং পাউডার
- প্রথমে তাল চিবিয়ে নিয়ে এর মধ্যে লবণ ও পরিমাণমতো চিনি দিয়ে দিলাম।
- এবার বেকিং পাউডার এবং কোরা নারকেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
- এবার পরিমাণমতো চালের গুড়ো দিয়ে তাল ঢেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম যাতে কোন দানা না থাকে।
- দুটি কলাপাতা নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলাম।
- এবার অল্প করে কলাপাতা ছেড়ে তার মধ্যে একপাশে তালের পিঠার আটা পাতলা করে মেলে আরেকবার দিয়ে চেপে দিলাম।
- এবার পাওয়ার মধ্যে কলাপাতার পিঠাগুলো দিয়ে অল্প আগুনে দুই পিঠ ভেজে নিলাম এভাবেই সবগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম।
- এবার কলাপাতা ছাড়িয়ে পিঠাগুলো পরিবেশন করে ছবি তুলে নিলাম।
🌺 আশা করি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺 |
🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺 |
আমার কাছে এই রেসিপিটি একদম নতুন লেগেছে। কলাপাতায় তালের পিঠা এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। খুব চমৎকারভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই ভিটা সম্পর্কে গ্রামের মানুষই বেশি ধারণা দিতে পারবে কারণ গ্রামাঞ্চলে তাদের মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের তালের পিঠা বানানো হয়ে। তার মধ্যে কলা পাতায় বানানো পিঠাতে অন্যতম আশা করি একসময় খাওয়ার চেষ্টা করবেন ভালো লাগবে।
আহারে কলার পাতায় তালের পিঠা কি লোভনীয় দেখাচ্ছে। এ ধরনের পিঠা খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে আগে গ্রামে থাকতে মাঝে মাঝেই খেয়েছি এখন অবশ্য আর খাওয়া হয় না তবে আপনার প্রস্তুত করা দেখে খুব লোভ হচ্ছে।
জ্বী ভাইয়া আমি জানতাম গ্রামের মানুষরাই এই পিঠা বেশি তৈরি করে এই পিঠার স্বাদ শুধুমাত্র গ্রামের মানুষরাই ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে। আমি মনে করি শহরের মানুষেরাও গ্রামে এসে মাঝে মাঝে এই পিঠার খাওয়া দরকার।
চলে এসেছে তাল পাকার মৌসুম। তাই এখন গ্রাম বাংলার মা-বোনেরা পাকা তালের রস দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরি করে পরিবারের আত্মীয়-স্বজন মিলে ভোজনের আয়োজন করে। তবে বেশ ভালো লাগলো আপনার এই কলা পাতার তাল পিঠা বানানো দেখে। খুবই লোভনীয় হয়েছে আপনার পিঠাটি।
ঠিক বলেছেন আপনি গ্রাম বাংলায় সবাই এখন তালের পিঠায় খাবে আমরা তো প্রায় প্রতিদিনই তাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি বানিয়ে খাচ্ছি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কলা পাতায় বানানো এই পিঠাগুলো আশা করি আপনিও খেয়ে দেখবেন।
শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে এই পিঠা খেয়ে । তালের পিঠা আসলেই খুব মজা হয় । কিন্তু অনেকদিন ধরে তালের পিঠা খাওয়া হয় না । আপনি শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিলেন । সুন্দর করে দেখিয়েছেন রেসিপি । ধন্যবাদ আপনাকে
আসলেই সেই আনন্দময় শৈশব গুলো যদি আবার ফিরে পাওয়া যেত তাহলে কতই না মজা হত। যদিও ইচ্ছে করলেই আপনি আবার নতুন করে তাদের পিঠা বানিয়ে খেয়ে শৈশবকে স্মৃতিচারণ করতে পারেন।
কলাপাতায় তালের পিঠা ছোটবেলায় খেয়েছি ভালোই লাগতো আর এটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। আপনি আজকে খুব সহজে আবার সেই ছোটবেলার কলাপাতায় তালের পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি অনেক সহজ উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
যেহেতু আপনি কলা পাতায় তালের পিঠা বানানো ছোটবেলায় খেয়েছেন তাহলে নিশ্চয়ই এই পিঠার স্বাদ সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে। যদিও অনেকদিন খাচ্ছেন না তবে এখন আবার নতুন করে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলা পাতায় তালের পিঠা তৈরি করে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি লোভনীয় লেগেছে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে এই ধরনের পিঠাগুলো খেতে অনেক মজা লাগে বিশেষ করে পরিবারের সবাই একসাথে খেতে অন্যরকম ফিল হয়। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে কলা পাতায় তৈরি করা এই পিঠাগুলো আপনিও খেয়ে দেখবেন।
এই ঐতিহ্যবাহী খাবার দেখে খুবই ভালো লাগছে। আমি আমার নানুকে এই পিঠা তৈরি করতে দেখেছিলাম। তবে টেস্ট ভুলে গেছি 😳। যাইহোক আজ শিখে নিলাম ধন্যবাদ সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই ঐতিহ্যবাহী পিঠা অনেক মজার আপনি যদি আপনার নানুকে কাছে পেয়ে থাকেন তাহলে ঝটপট এই পিঠা বানানো শিখে ফেলেন এবং নানুর হাতের পিঠা খেয়ে মনকে তৃপ্তি দেন😁।
অসাধারণ আপনি অনেক সুন্দর করে কলা পাতায় তালের পিঠা রেসিপি বানিয়েছেন। দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। মন চাইতেছে সবগুলো আমি খেয়ে ফেলি। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কলের পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে, কলাপাতা দিয়ে তালের পিঠা গুলো গ্রামে খুবই প্রচলিত। তাই আমি এ পিঠা তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
হ্যাঁ আপু এটা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী তালের পিঠা। এভাবে তৈরি করা পিঠা কত যে খেয়েছে তার স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। তালের সময়ে মানে সম য়ে গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে এ ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়। তবে আধুনিকতার এ যোগে তালের রস দিয়ে আরও বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন আইটেমের পিঠা তৈরি করে শেয়ার করতে দেখা যায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টপ বাংলায় তৈরি করা কলাপাতা দিয়ে এই ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলো প্রত্যেকের ঘরে ঘরেই বানানো হয় তবে আপনি ঠিক বলেছেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন তাহলে রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করা যায় যা খুবই জনপ্রিয়।
আসলে আপনি কথাটা ঠিক কথা বলেছেন তেলের দিয়ে তৈরি হয় তাই অনেকে গ্যাসের কারণে খেতে চায়না।
খুবই চমৎকার পদ্ধতিতে তালের পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝেই শেয়ার করেছেন আপু। এই সময়টিতে এই ধরনের তালির পিঠা খুব বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় কেননা এই সময় তাল পেকে থাকে।
ঐতিহ্যবাহী এই তালের পিঠা আমার অনেক পছন্দ গ্রাম বাংলার মানুষেরা এই তালের মৌসুমে প্রতিদিনই প্রায় তাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করে। আর কলাপাতা দিয়ে বাড়ানোর পিঠাগুলো কিন্তু খুবই জনপ্রিয় তাই আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম।