রেসিপি-শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। রমজান মাসে মজার মজার খাবার তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি খেতেও ভালো লাগে। বিশেষ করে কচু শাক কিংবা শুটকি মাছ এই ধরনের খাবারগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। তাইতো আজকে আমি শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাকের মজার একটি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।
শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না:
কচু শাক আমার খুবই প্রিয়। আর শুটকি মাছ আমার আরও বেশি প্রিয়। তাই তো কচু শাক এবং শুটকি মাছের সমন্বয়ে মজার একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। কচু শাকের সাথে শুটকি মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। কচু শাক যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। মাছের মাথা দিয়ে, শুটকি মাছ দিয়ে কিংবা চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। হাতের নাগালে যেহেতু শুটকি মাছ ছিল তাই তো আমি শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না করার চেষ্টা করেছি। খাবারটি খেতে সত্যি খুবই টেস্টি হয়েছিল। আর এই ধরনের খাবারগুলো গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার মত অনেকেই কচুশাক খেতে অনেক পছন্দ করেন। আর এভাবে যদি শুটকি মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন খেতে কতটা মজার হয়। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই রেসিপি তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
শুটকি মাছ | পরিমান মত |
কচু শাক | ২০০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ১ চামচ |
রসুন বাটা | ১/২ চামচ |
জিরা বাটা | ১/২ চামচ |
গোটা জিরা | ১/২ চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ১ চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
লেবু | পরিমাণমতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ৩ চামচ |
শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্নার রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
কচু শাক দিয়ে শুটকি মাছ রান্না করার জন্য প্রথমে আমি কচুশাকগুলো বেশ ভালোভাবে ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর শুটকি মাছ গুলো কেটে নিয়েছি এবং গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়ে গেলে কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়েছি এবং তেল গরম করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরপর তেল গরম হলে পেঁয়াজ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছি।
ধাপ-৩
এবার পেঁয়াজ কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করে সুন্দরভাবে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৪
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী রসুন বাটা, জিরা বাটা, কাঁচা মরিচ, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েছি। এরপর নাড়াচাড়া করে মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৫
এবার শুটকি মাছ গুলো গরম তেলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছি।
ধাপ-৬
সুন্দরভাবে নাড়াচাড়া করে ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৭
শুটকি মাছগুলো তেলে ভাজা হয়ে গেলে এবার পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়েছি এবং সুন্দরভাবে ভুনা করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার ভুনা শুটকি মাছের মধ্যে কচু শাকগুলো দিয়েছি।
ধাপ-৯
কচু শাকগুলো সুন্দর করে নাড়াচাড়া করে মিক্স করে নিয়েছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে।
ধাপ-১০
এবার কচু শাকগুলো ভালোভাবে ভুনা হয়ে গেলে সেদ্ধ করার জন্য সামান্য পরিমাণে পানি দিয়েছি। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করার পর কচু শাক বেশ ভালোভাবে হয়েছে। এরপর লেবুর রস দিয়েছি। আর এভাবেই আমি এই মজার রেসিপি তৈরি করেছি।
উপস্থাপনা:
কচু শাক দিয়ে শুটকি মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর আমার তৈরি করা এই খাবারটি খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। গরম ভাতের সাথে কচু শাক খাওয়ার মজাই আলাদা। আর সাথে যদি হয় শুটকি মাছ তাহলে একেবারে জমে যায়। গরম ভাতের সাথে শুটকি মাছের এই ফ্লেভারটা আমার বেশ পছন্দের। তাইতো মজার একটি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি সবার মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
মজার ব্যাপার হলো আজকে শুটকি দিয়েই রাতে খেলাম আপু। শুটকির সাথে বেগুন আর আলু দিয়ে রান্না করেছিল। মেসে তেমন একটা কেউ শুটকি খেতে চাই না। তবে আমার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কচুর শাকে শুটকি দেয়াতে খেতে মজা হবে মনে হচ্ছে।
আলু বেগুন দিয়ে শুটকি মাছ রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনিও শুটকি মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক সময় মেসের অনেকেই এই খাবার খেতে চায় না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কচুর শাক খেয়েছি কিন্তু কোনদিন শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না খাই নি। আসলেই আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক লবণীয় হয়েছে ।জানিনা খেতে কেমন লাগবে ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনি যেহেতু শুটকি মাছ দিয়ে কখনো কচু শাক খাননি আশা করছি একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন। বাননের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হবেন আপু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্নার রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। রেসিপি তৈরির সময় প্রত্যেকটি স্টেপ আপনি বেশ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে কচুর শাক খেতে আমিও বেশ পছন্দ করি আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কচু শাক দিয়ে শুটকি মাছের এই রেসিপি খেতে মজার হয়েছিল। তাইতো রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কাছেও কচু শাক কিংবা শুটকি মাছ খেতে ভালোই লাগে। কচুর ভর্তা খেতে আরও বেশি ভালো লাগে। বেশ দারুণ দক্ষতায় আপনি এই রেসিপিটি সম্পূর্ণ করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা করার প্রক্রিয়াগুলি বেশ সুন্দর ও সাবলীল ছিল। এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে অসাধারণ লাগে।আপনাকে রেসিপি কুইন বলে দেখা যায় অবশ্য। এর আগেও বেশ দারুন দারুন রেসিপি সম্পূর্ণ করেছেন।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
কচু শাক এবং শুটকি মাছ খেতে আপনি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। তাইতো আমি চেষ্টা করেছি মজার একটি রেসিপি তৈরি পদ্ধতি তুলে ধরার। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
কচু শাক এবং শুটকি মাছ দুটোই আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আপনার তৈরি করা রেসিপি দূরদান্ত লেগেছে আমার কাছে। এটা নিঃসন্দেহে খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। আর আপনার পরিবেশন লা-জবাব ছিল 👌
কচু শাক এবং শুটকি মাছ আপনি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। এই খাবারটি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর খুবই পুষ্টিকর খাবার। আমার রেসিপির পরিবেশন আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
গ্রামের নৃত্য খাবার হলো কচু কারন গ্রামের রাস্তার ধারে প্রচুর নানা জাতের কচু পাওয়া যায় ৷ আর কচু শুটকি দিয়ে কচু খেতে দারুন লাগে ৷ আমি যেহেতু গ্রামে থাকি তাই প্রায় মাঝে মধ্যে খাওয়া হয় ৷ ভালো অনেক সুন্দর একটি রেসেপি শেয়ার করেছেন ৷ অসংখ্য আপু
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কচু শাক গ্রাম অঞ্চলের মানুষের নিত্যদিনের খাবার। নিত্য বানানটি সংশোধন করে নিবেন ভাইয়া। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুশাক ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। কচুশাক সাধারণত চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে বেশি খাই। শুটকি আমার খুব একটা পছন্দ না। এইজন্য শুটকি দিয়ে কচুশাক কখনো খাইনি। কিন্তু আপনার রেসিপি টা দেখে বেশ ভালো লাগল। আপনার উপস্থাপনা টা এবং পরিবেশনা বেশ ভালো ছিল। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
সত্যি ভাইয়া কচু শাক ভিটামিনে সমৃদ্ধ। চিংড়ি মাছ কিংবা ইলিশ মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু সত্যি কথা বলতে কচুর শাক তো আমার অত্যন্ত পছন্দের। কচুর শাকের মধ্যে অনেক পুষ্টি রয়েছে। আর এই কচুর শাক আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বিশেষ করে চোখের ক্ষেত্রে এটার উপকারিতা অনেক বেশি রয়েছে। আপনি শুটকি মাছ দিয়ে কচুর শাকের রেসিপিটা তৈরি করেছেন। দেখেই তো অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দেখে তো মনে হচ্ছে কচুর সাথে এই রেসিপিটা অনেক বেশি লোভনীয় এবং মজাদার ছিল। নিশ্চয়ই এটা অনেক মজা করে খেয়েছেন আপনি।
কচু শাক আপনার অনেক পছন্দের জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। কচুশাক শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। আর চোখের জন্যও বেশ উপকারী। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
শুটকি মাছ দিয়ে কখনো কচু শাক রান্না করা হয়নি। তবে শুটকি মাছ এবং কচু শাক দুটোই আমার পছন্দের। তাই আপনার রেসিপিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আজকে গ্রাম থেকে আমার মা কচু শাক পাঠিয়েছেন। আপনার এই রেসিপিটা আমি রান্না করবো আমার বিশ্বাস এটা খেতে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু কচু শাকের লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি একদিন এভাবে কচু শাক দিয়ে শুটকি মাছ রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।