লাইফস্টাইল-ডক্টর দেখানোটাও আজকাল ভোগান্তির||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করি। নিজের ভালোলাগা কিংবা খারাপ লাগার বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। তেমনি আজকে আমি ডক্টর দেখানোটাও যে একটি ভোগান্তির কাজ সেই বিষয়ে উপস্থাপন করবো।
ডক্টর দেখানোটাও আজকাল ভোগান্তির:
Location
আপনারা হয়তো ইতোমধ্যেই অনেকে জানেন কয়েক দিন আগে আমি নিজেও ডক্টরের কাছে গিয়েছিলাম। আর সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছিলাম। এরপর কয়েকদিন আগে আমার এক রিলেটিভকে নিয়ে হসপিটালে যেতে হয়েছে। এমনিতে আমি নিজেই অসুস্থ তার উপর যখন অন্য কাউকে ডক্টর দেখানোর দায়িত্ব এসে পরে তখন নিজের দায়িত্বটা পালন করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়। তবে কি আর করার আপন মানুষগুলোকে সাহায্য করতেই হয়।
Location
আগের দিন রাতের বেলায় যখন আমরা ডক্টরের চেম্বারে গেলাম তখন জানতে পারলাম ডক্টর বসবেনা শুনে তো খুবই রাগ হয়েছিল। এরপর কি করবো বাধ্য হয়ে অন্য একজন ডাক্তারকে দেখালাম। কারন তিনি অনেক দূর থেকে ডক্টর দেখানোর জন্য এসেছিলেন। রাতের বেলায় একজন ডক্টরকে দেখালাম। দেখানোর আগে জানতে চাইলাম আজকেই সব টেস্ট করানো যাবে কিনা। তখন তারা আশ্বস্ত করলো সব টেস্ট করানো যাবে। কিন্তু যখনই ডক্টর দেখানো শেষ তখন বলল আজকে আর ডক্টর রোগী দেখবেন না। কালকে দেখান। শুনে তো মেজাজটাই গরম হয়ে গেল। কি আর করার এরপর চলে এলাম বাসায়। এরপর পরের দিন আবারো গেলাম টেস্ট গুলো করাতে।
Location
আমি যাকে নিয়ে ডক্টর এর কাছে গিয়েছিলাম তিনি আমার খালামণি। উনার কয়েকদিন থেকেই মাজা ব্যথা ছিল। তাই বেশ কিছু টেস্ট করাতে হয়েছে। আমরা যেহেতু তাড়াতাড়ি হসপিটালে গিয়েছিলাম তাই টেস্টগুলো তাড়াতাড়ি করেছিলাম। কিন্তু উনাদের কথা হচ্ছে আমি যখনই টেস্ট করি না কেন চারটার আগে কোন রিপোর্ট দিবে না। তখন আমি বললাম যেহেতু ডক্টর দুইটা থেকেই দেখা শুরু করেছে তাই আমাদের রিপোর্ট যদি আগে দেওয়া হতো তাহলে ভালো হতো। ওরা কোন কথাই শুনতে চাইছিল না। সবার রিপোর্ট নাকি একসাথে দেওয়া হয়।
Location
আসলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ কখনো কারো সমস্যা বুঝতে চায় না। আমরা যেহেতু আগের দিন রাত থেকেই এই একই ডাক্তারের কাছে ঘুরাঘুরি করছিলাম তাই উনাদের উচিত ছিল আমাদের রিপোর্টগুলো আগে দেওয়ার। অনেক রিকোয়েস্ট করার পরেও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে চারটার দিকে সবার রিপোর্ট যখন আনা হয়েছে তখন আমাদের রিপোর্টটাও দেওয়া হয়েছে। কি আর করার সবকিছু মেনে নেওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকেনা।
Location
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের ব্যবহার দেখতে মনে হয় যেন আমরা কোন মানুষ নই। অন্য গ্রহের প্রাণী। তারা এমন ভাবে ব্যবহার করে দেখে মনে হয় যেন টাকা ছাড়াই তারা টেস্টগুলো করিয়েছে। এত অনুরোধ করার পরেও যখন রিপোর্টগুলো হাতে পাচ্ছিলাম না তখন খুবই খারাপ লেগেছিল। অথচ আমাদের রিপোর্টগুলো অনেক আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমি নিজে ল্যাবে গিয়ে সেগুলো তাড়াতাড়ি তৈরি করতে বলেছিলাম। আর আমরা যেহেতু সকাল সকাল গিয়েছিলাম তাই রিপোর্টগুলো তৈরি হতে খুব একটা সময় লাগেনি। কিন্তু তারা সেই চারটার সময় রিপোর্টগুলো দিলো। এটা আসলে খুবই দুঃখজনক।
Location
কি আর করার অবশেষে রিপোর্টগুলো হাতে পাওয়ার পর ডক্টর দেখিয়ে এরপর বাসায় ফিরেছি। আসলে মাঝে মাঝে এমন কিছু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় যে অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের মাঝে তুলে না ধরলে কেমন জানি লাগে। হয়তো তারা চাইলেই পারতো আমাদের রিপোর্টটা দিয়ে দিতে। যেহেতু রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এতবার অনুরোধ করার পরেও তাদের যেন কানে কথাই ঢুকছিল না। আসলে তারা অন্যের সমস্যা কখনো বুঝতে চায় না। অবশেষে ডক্টর দেখিয়ে আমরা ফিরে গিয়েছিলাম। আর এই তিক্ত অভিজ্ঞতাটা সারা জীবনই মনে থাকবে। ডক্টর দেখানোটা সত্যিই অনেক ভোগান্তির কাজ।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার অভিজ্ঞতার বর্ণনা পড়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। হসপিটালের এমন ব্যবহারে রাগ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। অসুস্থ অবস্থায় নিজে যন্ত্রণার মধ্যে থেকেও অন্যের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানবিক গুণ আপনার মধ্যে রয়েছে, সেটাই বড় প্রশংসার বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না, কিন্তু তারপরও আপনার ধৈর্য ধরে যে সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, তা অনুকরণীয়। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন দুর্ভোগে আর পড়তে হবে না। আপনার খালামণির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
[@redwanhossain]
মাঝে মাঝে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় ভাইয়া। নতুন কিছু অনেক সময় ভালো লাগে না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলে আমাদের মত সাধারন মানুষ ডক্টর দেখাতে গিয়ে এখন বেশ ভোগান্তি শিকার হচ্ছে। আপনি নিজে অসুস্থ অবস্থায় থেকেও অন্যের পাশে দাঁড়িয়েছেন সত্যি এটা বেশ দারুন ব্যাপার। আসলে আমরা মানুষ তাই একে অপরের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে হাসপাতালে এরকম অবস্থা হলে সত্যি প্রত্যেকটা মানুষেরই অনেক রাগ হয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ডক্টরের কাছে যাওয়া মানেই আলাদা রকমের ভোগান্তি। নিজে ডক্টর দেখানো যেমন ঝামেলার তেমনি কাউকে ডক্টর দেখাতে নিয়ে যাওয়াও ঝামেলার।
https://x.com/Monira93732137/status/1826507881874948348?t=7l6aqY3TQgx4471erJstgQ&s=19
বাহ্ আপু আপনার পোস্ট পড়ে কিন্তু আজ আপনার প্রতি সম্মান আরও অনেক গুন বেড়ে গেল।দারুন একটি পোস্ট দেখলাম। তবে একথা সত্য যে হাসপাতাল একটি অন্য রকমের জায়গা। সেখানে গেলে বুঝা যায় যে মানুষ কত অসহায়। সত্যি আপু আজকে এত পোস্টের ভিড়ে আপনার আজকের পোস্টটি আমার মন কেড়েছে।
ঠিক বলেছেন আপু হসপিটালে গেলে বোঝা যায় মানুষ কতটা অসহায়। কেউ কারো সমস্যা বুঝতে চায় না আপু। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
সত্যি আপু ডাক্তার দেখানোটা আজকাল যেন একটু বেশি ভোগান্তির ব্যাপার হয়ে গেছে। ডাক্তার দেখাতে গেলে সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। আর হাসপাতাল এমন একটা জায়গায় সেখানে গেলেই বোঝা যায় মানুষ কতটা অসহায়। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। মানতেই হবে আপনার অনেক ধৈর্য। আপনার খালামণি ও আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আপু।
সত্যি আপু ডাক্তার দেখানোটা খুবই ভোগান্তির একটি কাজ। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি নিজে অসুস্থ হওয়া সত্বেও রিলেটিভকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। আসলে এই পরিস্থিতি গুলো মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো কিছুই করার থাকে না আমাদের। আপনার আত্মীয়ের সুস্থতা কামনা করছি আপু।