DIY-পুরনো দইয়ের বাটি নতুন করে সাজানো||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেহেতু ডাই সপ্তাহ চলছে তাই ভাবলাম একটি নতুন কাজ করার চেষ্টা করি। আর সেই ভাবনা থেকে পুরনো দইয়ের বাটি নতুন করে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমার পোস্ট সবার ভালো লাগবে।
পুরনো দইয়ের বাটি নতুন করে সাজানো:
পুরনো কোন কিছু থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি গাছ লাগাতে অনেক পছন্দ করি। আজকে যখন দেখলাম একটি পুরনো দইয়ের বাটি পড়ে আছে তখন ভাবলাম এটা দিয়ে আজকে কোন কিছু করে ফেলব। আর সেই ভাবনা থেকে রং তুলি নিয়ে বসে পড়লাম সুন্দর করে এই দইয়ের বাটি রং করার জন্য। এরপর গাছ লাগানোর চেষ্টা করেছি। ইনডোর প্লান্ট আমার অনেক পছন্দের। আর আমার বাসায় বিভিন্ন রকমের ইনডোর প্ল্যান্ট রয়েছে। আর সেখান থেকেই কিছু ডালপালা কেটে নিয়ে নতুন ভাবে রোপন করলাম। যাতে করে দেখতে ভালো লাগে। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি পুরনো দইয়ের বাটি নতুন ভাবে সাজালাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. দইয়ের বাটি।
২. পোস্টার রং।
৩. মাটি।
৪. গাছের ডালপালা।
৫. তুলি।
ধাপ সমূহ:
ধাপ-১
পুরনো দইয়ের বাটি নতুন করে সাজানোর জন্য প্রথমে দইয়ের বাটি ভালোভাবে কাপড় দিয়ে মুছে নিয়েছি। এরপর লাল রং করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-২
এবার সুন্দর করে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অংশে রং করেছি। যাতে করে দইয়ের বাটি দেখতে ভালো লাগে।
ধাপ-৩
এবার রং শুকিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করেছি। আর বাতাসে রেখেছি যাতে করে রঙ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
ধাপ-৪
এবার গাছ রোপন করার জন্য কিছু মাটি সংগ্রহ করেছি। এই মাটিগুলো বিভিন্ন রকমের সার দিয়ে মিক্স করাই ছিল। যেহেতু আমার বাসায় আরো অনেকগুলো গাছ আছে তাই মাটি প্রস্তুত করাই ছিল। এবার মাটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৫
ধীরে ধীরে মাটিগুলো সুন্দর করে দইয়ের বাটির মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৬
এবার এই ছোট্ট দইয়ের বাটিটি সুন্দর করার জন্য সাদা রঙের ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৭
সুন্দরভাবে চারপাশে ছোট ছোট গোল ফোটা দিয়েছি যাতে করে লালের উপর সাদা দেখতে ভালো লাগে।
ধাপ-৮
এবার চলে গিয়েছি আমার কিছু গাছের কাছে। আমার বাগানে বিভিন্ন রকমের গাছ আছে। আর বারান্দায় কিছু গাছ ঝুলানো আছে। সেই গাছগুলো থেকে কিছু অংশ কেটে নিয়েছি নতুন করে রোপণ করার জন্য।
ধাপ-৯
এবার গাছগুলো রোপন করার পালা। এজন্য আমি সুন্দর করে মাটিগুলো চাকু দিয়ে আলাদা করে নিয়ে মাটির অংশে গাছগুলো সুন্দর করে রোপন করে দিয়েছি।
শেষ ধাপ
এবার আমার তৈরি করা এই সুন্দর ফুলের টপটি আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সাদা রঙের ব্যবহার করেছি। যাতে করে দেখতে ভালো লাগে।
উপস্থাপনা:
নতুন কিছু তৈরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর সেগুলো যদি পছন্দের কোন কিছু হয় তাহলে তো কথাই নেই। ছোট ছোট ইনডোর প্লান্ট গুলো আমার ভীষণ পছন্দের। তাইতো আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছুর উপর এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা করি। এর আগেও বিভিন্ন রকমের টবে এই গাছগুলো লাগিয়েছি। আজকে প্রথমবার দইয়ের বাটির মধ্যে গাছ লাগালাম। জানিনা কেমন হবে। আশা করছি ভালোই হবে। আমার পোস্ট পরিদর্শন করার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
পুরনো কোন কিছুকে যদি নতুন রূপ দেওয়া হয়, তাহলে ওইটা আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। পুরনো দইয়ের বাটি কে আপনি নতুন রূপ দিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর লাগতেছে এই দইয়ের বাটিটাকে দেখতে। এটা যদি আপনি সাজিয়ে রাখেন তাহলে আরো বেশি সুন্দর লাগবে। আপনি কিছু মাটি দিয়ে আপনার বাগানের গাছ থেকে ঢালপালা কেটে এটার মধ্যে রোপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার পুরো কাজটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে আপু।
পুরনো কোন কিছুর নতুন রূপ দিতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। তাইতো আমিও পুরনো দইয়ের বাটি কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পুরনো দোয়ের বাটি আপনি নতুন করে আপনার আর্ট প্রতিভার মাধ্যমে এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন যে প্রশংসা না করে থাকতে পারছি না। আসলে এই বিষয়গুলো খুব ভালো লাগে এমন ক্রিয়েটিভিটি দেখিয়ে মনটা সত্যি ফুরফুরে হয়ে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুরনো কোন কিছু নতুনভাবে সাজাতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই তো নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি ভাইয়া।
ফেলে দেওয়া পুরনো দইয়ের বাটু আপনি নতুন করে এত সুন্দর রূপ দিয়েছেন। দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। সত্যি আপু আপনার এই পুরনো জিনিস নতুন করে তৈরি করার উপায় দেখতে পেয়ে মুক্ত হলাম এবং এখান থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করলাম।
ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি ফেলে দেওয়া পুরনো বইয়ের বাটি নতুন রূপ দেওয়ার। পুরনো জিনিস দিয়ে নতুন কিছু বানাতে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া বানানের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হবেন।
এই কাজটি জন্য প্রশংসার দাবিদার। ভীষণ ভালো লাগলো আমার। পুরনো দয়ের বাটি নতুন করে সাজানো। আপনার এটা বেশ ইউনিক ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। কালারটি অনেক সুন্দর ছিল। সব মিলিয়ে দারুন ছিল।
আমার এই কাজ আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য এবং প্রশংসা করার জন্য।
আপু আপনার সত্যি আইডিয়া দারুণ ছিল। পুরনো এই দইয়ের বাটি দিয়ে আপনি এত সুন্দর একটি ফুলের টপয়ের দৃশ্য তৈরি করলেন। আপনার এই ডাই পোস্টটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো এবং আমাদেরও উচিত পুরনো জিনিসকে এভাবে নতুন রূপ দেওয়া।
আমার আইডিয়া আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। এই কাজটি করতে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আর দেখতেও বেশ ভালো লাগছে।
দইয়ের বাটি আমার কাছে বেশ কয়েকটি ছিল। কিন্তু সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে 🙆♂️। আপনার এটা দেখে তো আফসোা হচ্ছে আপু। টেবলের উপরে এভাবে ছোট প্লান্ট লাগিয়ে রাখলে দেখতেও ভালো লাগতো। আপনার কাজটি ভালো ছিল। একে তো দইয়ের বাটি ইউজ হলো সাথে প্লান্ট তৈরি হয়ে গেল।
আবারো যখন দইয়ের বাটি পাবেন তখন এভাবে কাজে লাগাতে পারেন ভাইয়া। আশা করছি ভালো লাগবে।
আমার বাংলা ব্লগের কল্যাণে বাসার কোন জিনিস আর ফেলা যাচ্ছে না ।পুরনো সবকিছুই দেখি নতুন করে সবাই তৈরি করছে। সত্যিই সবার ক্রিয়েটিভিটি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই ।আপনার আজকের কাজ টি চমৎকার ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু এখন আর কোন কিছুই ফেলতে ইচ্ছে করেনা। এই ছোট ছোট গাছ গুলো লাগাতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই তো চেষ্টা করেছি নতুন কিছু করার।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পুরনো দইয়ের বাটিটা পোস্টার রং দিয়ে চমৎকারভাবে সাজিয়ে ভিতরের অংশে কাদা মাটি দিয়ে গাছ লাগিয়ে দেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার সাজানো দইয়ের বাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভালো লাগলো ভাইয়া। এই কাজটি করতে আমারও অনেক ভালো লেগেছে।
আপু আপনার মত ইনডোর প্ল্যান্ট আমারও খুব পছন্দের। আপনার পোস্টটি দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার কাছ থেকে খুব সুন্দর একটি আইডিয়া পেলাম। আপনার মত আমিও দইয়ের ছোট ছোট হাড়িতে গাছগুলো লাগাতে চেষ্টা করব। ধাপ গুলো এত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপনার কাছেও ইনডোর প্ল্যান্ট আছে জেনে ভালো লাগলো আপু। এই কাজগুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে। তাইতো আমিও নতুন ভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আপনিও কাজে লাগাতে পারেন আইডিয়াটা।