আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। কাছে কিংবা দূরে যে কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। ইতোমধ্যেই এই ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। দেখতে দেখতে আজকে শেষ পর্বে চলে এলাম। আশা করছি মুইব গার্ডেন ভ্রমণের শেষ পর্ব সবার ভালো লাগবে।

সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে আমার অনেক ভালো লাগে। এই জায়গাটিতে বেশ কিছুদিন আগে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে জায়গাটির সবচেয়ে দারুন ব্যাপার হলো গ্রামীণ পরিবেশে সবকিছু সাজানো গোছানো। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ঘর তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রকমের গ্রামীণ ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই দৃশ্যগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সব কিছু দেখে যখন ফেরার পালা তখন আবারো এই সুন্দর দৃশ্যটি দেখে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। যদিও এর আগে এরকম একটি দৃশ্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলেছিলাম।

এখানে এতটাই সুন্দর ভাবে গ্রামীণ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছিল যে ছোট ছোট ঘর গুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে ।গত পর্বে আপনারা দেখেছিলেন সেখানে ছোট ছোট খড় কুটোর ঘর রয়েছে। আর যখন ফিরছিলাম তখন দেখি গেটের মোটামুটি কাছের দিকে এই ঘর ছিল ঘর। কাঠ, টিন সবকিছু দিয়ে তারা ঘর তৈরি করার চেষ্টা করেছে। আর একটি গ্রামের মতো তৈরি করার চেষ্টা করেছে। ইতোমধ্যে যেহেতু বাঁশ দিয়ে তৈরি করা ঘর এবং খর কুটোর ঘর আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি তাই আজকে টিনের ঘর আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।

যখন আমি চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিলাম তখন হঠাৎ করে দেখি বাচ্চাদের খেলার জন্য কিছু জায়গা তৈরি করা হয়েছে। এখনও সেভাবে জায়গা গুলো প্রস্তুত হয়নি। তবে বেশ কিছু জায়গা ফাঁকা আছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুতই বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনার ব্যবস্থা করবে। তবে বাচ্চারা যদি এরকম জায়গায় ঘুরতে যায় তাহলে সত্যি অনেক সুন্দর সময় কাটায়। আর অনেকেই নিজেদের পরিবার নিয়ে সেখানে ঘুরতে যায়। আর তাদের কথা চিন্তা করেই দারুন সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করছি খেলার ব্যবস্থা আরো ভালো হবে। যেহেতু কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে তাই সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হবে।

ঘুরতে ঘুরতে যখন প্রায় গেটের কাছে চলে এসেছি তখন ফুল গাছগুলো দেখে ভালোই লেগেছে। এই ফুল গাছগুলো গার্ডেনের চারপাশেই ছিল। তবে গেটের কাছে এত সুন্দর ফুল ফুটেছিল যে ফুলগুলো দেখেই ছবি তুলতে ইচ্ছে করছিল। তাইতো আমি কাছে গিয়ে ছবি তুলেছিলাম। এই ফুলগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বাঁশ দিয়ে সুন্দর করে বেড়া দেওয়া। ডিজাইন করে বেড়া দেওয়ার কারণে দেখতে অনেক ভালো লাগছিল। বাঁশের বেড়াগুলো আজকাল খুব একটা দেখাই যায় না। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তাই ছবি তুলেছিলাম।

এবার দেখতে দেখতে ফেরার পালা। ধীরে ধীরে গেটের সামনে চলে আসলাম। আসার সময় ভাবলাম সামন থেকে একটি ছবি তুলি। আসলে যখন কোথাও আমরা ঘুরতে যাই তখন সেভাবে গেটের ছবি তোলা হয় না। বের হওয়ার পর বারবার ফিরে ফিরে তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আর জায়গাটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। তাই তো আমি ঘোরাঘুরি করেছি আর বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করেছিলাম। অবশেষে আমরা যখন বাড়ি ফিরে আসছিলাম তখন বাহির থেকে ভেতরটা দেখার চেষ্টা করছিলাম। বাহির থেকে ভেতরের সৌন্দর্য খুব একটা দেখা যায় না। তবে ভেতরটা সত্যি অনেক সুন্দর।