অনেকদিন পর বাজারে যাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেক দিন পর গতকালকে বাজার করতে গিয়েছিলাম। এমনিতে বাজার বেশিরভাগ আব্বুই করে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাজারে যাই। তবে ইদানীং ব্যস্ততার জন্য বাজার করার সময় তেমন একটা হয়ে উঠে না। কিন্তু বাজার করতে আমার বেশ ভালোই লাগে। কারণ সেই ছোটবেলা থেকেই আমার বাজার করার অভ্যাস রয়েছে। কারণ আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়তাম তখন আমার আব্বু বিদেশ চলে গিয়েছিলেন। তখন বাসায় বাজার করার মত তেমন কেউ না থাকায় সেই ছোট থেকেই আমাকে বাজারে যেতে হত। গতকালকে অনেক দিন পর আম্মু বললো যেহেতু ঈদ সামনে চলে আসছে তাই আমাকে বাজারে যেতে। কারণ আমি নাকি খুব ভালো বাজার করতে পারি।
যাইহোক আমাকে লম্বা একটা লিস্ট ধরিয়ে দিল। সকালে আমার একটু কাজ ছিল বিধায় আমি বেলা ১১টার দিকে বের হলাম বাজারের উদ্দেশ্যে। বাজার আমাদের বাসার কাছেই মদনপুরে। এই বাজারে সারাদিন ই মাছ-মাংস, সবজি সবকিছুই পাওয়া যায়। সোনারগাঁও,নয়াপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাজা সবজি এখানে নিয়ে আসে বিক্রি করতে। তবে আমার শীতকালীন সবজি খেতে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক প্রথমে ব্যাংকে ঢুকলাম টাকা তোলার জন্য। তারপর কসমেটিকস এর দোকানে গিয়ে আমার ওয়াইফ এর জন্য কিছু কসমেটিকস কিনলাম এবং ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষুধ কিনলাম। এরপর চলে গেলাম মাছের বাজারে। বাসা থেকে বলে দিয়েছিল বড় একটি কাতলা মাছ আনতে। পুরো বাজার ঘুরে শুধু এক জায়গায় দেখলাম বড় সাইজের একটি কাতলা মাছ আছে।
তাই আমি দাম জিজ্ঞেস করলাম এবং ওজন দিতে বললাম কত কেজি হয়। কাতলা মাছ ওজন দেওয়ার পর ৩কেজি ৩০০ গ্রাম হলো। দোকানদার কাতলা মাছের দাম চাইলেন প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা করে। যেহেতু বাসা থেকে বলে দিয়েছে কাতলা মাছ কিনতে, আর যেহেতু একটি কাতলা মাছই ছিল তাই ভাবলাম এটাই কিনতে হবে। তবে আমি প্রথমে দাম কমিয়ে বললাম যে ৩০০ টাকা কেজি দিব। সাধারণত মাছের দামের খুব বেশি পার্থক্য হয়না এই বাজারে। মোটামুটি কাছাকাছি দাম চেয়ে মাছ বিক্রি করে। কিন্তু আমি ৩০০ টাকা কেজি বলার পর দোকানদার বললো ৩৫০ টাকা কেজি হলে দিয়ে দিবে। আমি বললাম ৩০০ টাকা কেজি হলে আমি নিব। দোকানদারও ৩০০ টাকা কেজি কাতলা মাছটি আমাকে দিয়ে দিল। সত্যি বলতে আমি অনেকটা অবাক হয়েছি এত পার্থক্যে কাতলা মাছটি বিক্রি করার পর।
কাতলা মাছের দাম ৯৯০ টাকা দিলাম এবং দোকানদার বললো জিদ করে নাকি কাতলা মাছটি আমাকে দিয়ে দিল। কারণ অনেকে নাকি দামাদামি করেছে ঠিকই কিন্তু কেউ কিনেনি। যাইহোক আমার ভাগ্যে ছিল বিধায় কেউ কিনেনি আমি সেটাই ভাবলাম। তারপর কাতলা মাছটি ৪০ টাকা দিয়ে কেটে নিলাম। কারণ বাসায় কাটতে গেলে অনেক কষ্ট হবে। এরপর চিংড়ি মাছ এবং দেশি টেংরা মাছ কিনলাম ৬২০ টাকা কেজি করে। দুই ধরনের মাছ কিনলাম ৫০০ গ্রাম করে মোট এক কেজি। তারপর চলে গেলাম কাঁচা বাজারে। আসলে সবজির দাম অনেক বেশি। বেশিরভাগ সবজি ৮০ টাকা কেজি। আমি শিম,বরবটি, চিচিঙ্গা, করলা,ঢেঁড়স, ডাটা,পটল,লেবু এবং কাঁচামরিচ কিনলাম। সব ধরনের সবজি ৫০০ গ্রাম করে নিয়েছি এবং লেবু ৮ টা এবং কাঁচামরিচ ২৫০ গ্রাম কিনেছি। তারপর চলে গেলাম মাংস কিনতে। কয়েক ধরনের মাংস কিনে চলে গেলাম মুদি দোকানে। সেমাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মুদি আইটেম কিনলাম। তারপর বাসায় চলে আসলাম দুপুর ১টার পর।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৭.৪.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
অনেকদিন পরে বাজারে গিয়ে আপনি তো দেখছি একবারে সব ধরনের বাজার করে নিয়ে এসেছেন। আপনার তো দেখছি বাজার করার বেশ অভিজ্ঞতা আছে। আর আপনার আম্মু যেহেতু বলেছে আপনি বাজার করতে ভালো পারেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বাজার করতে ভালোই পারেন। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার বাজার করার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
বাজারের লম্বা লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছিল ভাই। তাই সব ধরনের বাজার করতে হয়েছে। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি ঈদের কেনাকাটা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে যারা বাজার ভালো করতে পারে তারা সবসময়ই ভালো করতে পারে। ভাবির জন্য কসমেটিক্স কিনেছেন এবং প্রয়োজনীয় সব বাজারগুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মাছগুলোর ফটোগ্রাফিও দারুন হয়েছে।
মাছের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে দারুণ লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম আপু। প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর বাজারে গিয়ে অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন। মাছ মাংস থেকে শুরু করে প্রায় সব বাজাই করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আবার ভাবির জন্য কিছু কসমেটিক্স কিনেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে অনেকদিন পর বাজারে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু বাজারে গিয়ে অনেক কিছুই কিনেছি। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ক্লাস থ্রিতে পরা অবস্থায় আপনার বাবা বিদেশ চলে গিয়েছে বিধায় আপনার বাজার করা অভ্যাস হয়েছে। তানা হলে এত ছোটবেলা কেউ বাজার করে না। বাজারের অভ্যাসটা করে ভালোই করেছেন নিজের হাতে বাজার করে মাছ মাংস কেনার মজাই মনে হয় আলাদা। সবজিগুলো দেখতে অনেক ফ্রেশ লাগছে। চিংড়ি মাছ ৬২০ টাকা কেজি করে কিনেছেন চিংড়ি মাছ মজার মাছ দাম একটু বেশি নিলেও খেতে ভালোই লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু অনেক আগে থেকেই বাজার করতে হয়েছে। কারণ বাসায় বাজার করার মত তেমন কেউ ছিল না বিধায়। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ভালো বাজার করতে পারেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনি দেখছি অনেক বড় একটা কাতলা মাছ কিনে ফেলেছেন। একই সাথে দেখছি আপনি ঈদের জন্য ও অনেক কিছু কিনে ফেললেন।
কাতলা মাছটি অনেক বড় ভাই। সামনাসামনি দেখতে বেশি বড় লেগেছিল। হয়তো ছবিতে ততোটা বড় লাগছে না। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ও দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদকে সামনে রেখে অনেক কেনাকাটা করেছেন আপনি।অনেকদিন পর বাজারে গেলেন।যদিও আপনার বাজার করার অভ্যাস ক্লাস থ্রি থেকেই ছিল,আপনার আব্বু বিদেশে থাকতে।আপনার বাসার পাশের বাজারে সবই পাওয়া যায়।এতে করে কেনাকাটা করতে বেশ সুবিধা হয়েছে আপনার ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু সেই ছোট থেকেই বাজার করার অভ্যাস ছিল আমার। এই বাজারে বলতে গেলে সবই পাওয়া যায়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার মতো আমার ছোট ভাইয়ার অবস্থাও একই রকম ছিল। সেও ছোটবেলা থেকে বাজার করা শুরু করেছে। মজার বিষয় তাকে মাছ আনতে বললে শুধু সিলভার কার্প আর পাঙ্গাস মাছ নিয়ে আসতো। মা বলতো বাজারে কি শুধু এই দুটো মাছই পাওয়া যায়। আপনার আজ বাজার করার অনুভূতি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়লো। ধন্যবাদ।
আপনার ভাইয়ের চোখে মনে হয় এই দুই ধরনের মাছ ছাড়া অন্য কোন মাছ চোখে পড়ে না। যাইহোক বরাবরের মত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।