অরিগ্যামি পোস্ট || রঙিন কাগজ দিয়ে একটি হাতপাখার অরিগ্যামি তৈরি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি অরিগ্যামি পোস্ট শেয়ার করবো। আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই খুব সুন্দর সুন্দর অরিগ্যামি তৈরি করে, আমাদেরকে প্রতিনিয়ত উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। যাইহোক আমি রঙিন কাগজ দিয়ে একটি হাতপাখার অরিগ্যামি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সামনে গরম আসছে, আর গরমের সময় হাতপাখা প্রয়োজন হয় অনেক সময়। যদিও এখন হাতপাখার ব্যবহার অনেকাংশে কমে গিয়েছে। তবে গ্রামে এখনো অনেকে হাতপাখা ব্যবহার করে থাকে। হাতপাখার অরিগ্যামি তৈরি করার পর আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে দেখতে। হাতপাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ভিন্ন রঙের ক্লে দিয়ে ফুল এবং পাতা তৈরি করে, পাখার মধ্যে লাগিয়ে দিয়েছি। মোটকথা অরিগ্যামিটি আকর্ষণীয় করে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে হাতপাখার অরিগ্যামিটি খুব ভালো লাগবে। আমি কিভাবে হাতপাখার অরিগ্যামি তৈরি করলাম, সেটা ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা চাইলে এমন অরিগ্যামি তৈরি করতে পারেন।
রঙিন কাগজ দিয়ে একটি হাতপাখার অরিগ্যামি তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- রঙিন কাগজ
- বিভিন্ন রঙের ক্লে
- কাঁচি
- আঠা
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরুপঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি রঙিন কাগজের পেইজের তিন ভাগের দুই ভাগ নিয়ে নিলাম। তারপর চিত্রের মতো করে ভাজ করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর কাগজটি ভাজ করে মাঝখান দিয়ে ভেঙে, আঠা লাগিয়ে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
আঠা লাগিয়ে পাখার কিছুটা আকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
চতুর্থ ধাপ
তারপর রঙিন কাগজ এভাবে পেঁচিয়ে স্টিকের মতো তৈরি করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
তারপর স্টিক টা মাঝখান দিয়ে ভেঙে, পাখার হাতল তৈরি করার চেষ্টা করলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
তারপর হাতল এবং পাখার অংশ আঠা দিয়ে লাগিয়ে, হাতপাখাটি তৈরি করে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
এরপর ক্লে দিয়ে ফুলের কয়েকটি পাপড়ি তৈরি করে নিলাম।
সর্বশেষ ধাপ
তারপর ক্লে দিয়ে ফুল এবং পাতা তৈরি করে, পাখার মধ্যে লাগিয়ে নিলাম। ব্যাস এভাবেই হাতপাখার অরিগ্যামিটি তৈরি করে ফেললাম। দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | অরিগ্যামি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৮.৩.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
গরমের দিনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি জিনিস তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার রঙিন পাখাটি দেখতে সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। এই ধরনের পাখাগুলো খুব কাজে লাগে গরমের দিনে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, গরমের দিনে হাতপাখা খুবই প্রয়োজন। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ চমৎকার একটি অরিগামি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। রঙিন কাগজ দিয়ে ঠিক এভাবে আরো অনেক কিছু সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায় যদি বিশেষ কোন দক্ষতা থেকে থাকে। খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই হাতপাখা তৈরি করতে দেখে।
আসলে এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে এই পোস্ট করাটা সার্থক বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনিতো দারুন একটি হাত পাখার অরিগামি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আসলেই ভাইয়া বর্তমান হাত পাখার প্রচলন আমাদের সমজে নাই বললেই চলে,গ্রামে অবশ্য এখনও এটার প্রচলন বিদ্যমান।আপনি খুবই দক্ষতার সাথে আমাদের মাঝে এই অরিগমি টি শেয়ার করেছেন।সেই সাথে তার ধাপ গুলিও খুবই দারুন ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।টা দেখে আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই গ্রামে এখনো অনেকেই হাতপাখা ব্যবহার করে থাকে। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হাতপাখার অরিগ্যামি খুব সুন্দর লাগতেছে। ক্লে দিয়ে ফুল এবং পাতা তৈরি করে দেওয়ার কারনে দেখতে একটু বেশি সুন্দর লাগতেছে। এখন কিন্তু বেশ গরম পরেছে। আর মাঝে মাঝেই কারেন্ট চলে যায়। আমার জন্য পাঠিয়ে দিন ভাই কাজে লাগলে। আপনার এধরনের ডাই গুলো দেখলে সত্যি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে এমন মন্তব্য পেলে কাজের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো হাতপাখার অরিগ্যামিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বানানো যায়।তবে একটু সময় দিতে হয়।যাইহোক ভাইজান খুব সুন্দর করে এই হাতপাখার অরিগ্যামিটি বানিয়েছেন।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান ভালো থাকবেন সব সময়।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনিও ভালো থাকবেন সবসময়।
আসলেই ভাই অরিগ্যামিটি খুব সুন্দর হয়েছে।
হাতপাখার অরিগ্যামি খুব সুন্দর লাগছে। বর্তমানে সব সময় হাতপাখার প্রয়োজন না থাকলেও মাঝে মাঝে হাতপাখার প্রয়োজন এখনো হয়। প্রচন্ড গরমে লোডশেডিং দৈর্ঘ্য সময় থাকলে হাতপাখার প্রয়োজন পরে।আপনার তৈরি হাতপাখা দারুণ লাগছে।ধাপে ধাপে হাত পাখাটি তৈরি পদ্ধতি খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে হাতপাখার অরিগ্যামিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু, দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হলে হাতপাখার প্রয়োজন হয় অনেক সময়। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর হাতপাখা তৈরি করেছেন। আসলে সামনে গরম আছে হাতপাখাটি দেখেই গরমের কথা মনে পড়ে গেল। আর আপনার এই হাতপাখাটি অনেক কাজে দিবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অরিগ্যামিটি দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আশা করি সামনেও এভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে।
হাতপাখা ব্যবহার খুব কম। এখন মানুষ ও ডিজিটাল যুগে বাস করতেছে। আপনি বেশি দারুণভাবে অরিগ্যামিটি সম্পন্ন করেছেন। রঙ্গিন কাগজ ব্যবহার করে হাতপাখার অরিগ্যামিটি বেশ দারুন ছিল।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা করার প্রক্রিয়াগুলি বরাবরের মতোই বেশ দারুন লাগে ।কালার কম্বিনেশনটি বেশ সুন্দর ছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ডিজিটাল যুগেও অনেকে হাতপাখা ব্যবহার করে ভাই। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সময়োপযোগী একটি ডাই পোস্ট তৈরি করলেন। আসলে এখন হাত পাখার খুবই দরকার, কারণ গরম এসে গেছে। আর আপনি এই গরম উপলক্ষে খুবই সুন্দর একটি ডাই পোস্ট তৈরি করলেন দেখতে ভালো লাগছে।
হ্যাঁ ভাই গরমের দিনে হাতপাখা অনেকেই ব্যবহার করে থাকে। যাইহোক অরিগ্যামিটি দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।