প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কিভাবে টাটা কোম্পানি থেকে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করে আমার নামে নিলাম সেই প্রসঙ্গে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় এর সাথে জড়িত আছি। মূলত নোয়া স্কয়ার হাইব্রিড এবং প্রাইভেট কার ছিলো আমার। নোয়া স্কয়ার হাইব্রিড গাড়ি এখনো আছে এবং খুব ভালো চলছে আলহামদুলিল্লাহ। তবে প্রাইভেট কারটি ২/৩ মাস চলার পর বিক্রি করে দেই। কারণ ভালো ড্রাইভার পাচ্ছিলাম না। মূলত প্রাইভেট কারটি উবারে ট্রিপ মারার জন্য নিয়েছিলাম। কিন্তু ড্রাইভার নেভিগেশন ভালো করে বুঝতো না এবং ঢাকার রাস্তাঘাট ভালো করে চিনতো না। এভাবে করে ২/৩ জন ড্রাইভার পরিবর্তন করেছিলাম। গাড়ি নিয়ে বের হলেই রাস্তাঘাট ভালো করে চিনতো না বলে,উল্টো রাস্তায় ঢুকে বেশ কয়েকবার জরিমানা দিতে হয়েছে।

তাই অবশেষে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট কারটি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। বিক্রি করার পর একদিন ভাবলাম একটা পিকআপ গাড়ি কিনবো। কারণ আমাদের এখানে গার্মেন্টস এর টুকরো কাপড়, তুলা,সুতা বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি দিয়ে আসতে হয়,তাই পিকআপ গাড়ির বেশ ভালোই চাহিদা রয়েছে। ভালো ড্রাইভারও পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই এই বছরের জানুয়ারীতে একটি পিকআপ গাড়ি কিনি। এর আগে আমি সেই পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তো যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক, পিকআপ গাড়িটা কেনার পর আমি টাটা কোম্পানির কাছে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করি। মূলত পিকআপ গাড়িটা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে টাটা কোম্পানি ইন্ডিয়া থেকে ইমপোর্ট করে। তারপর টাটা কোম্পানি থেকে একজন কিস্তিতে গাড়িটা কিনে। কেনার পর ৩/৪ মাস সেই লোকটা গাড়িটা চালায়। কিন্তু ঠিকমতো কিস্তি চালাতে পারতো না বিধায়, টাটা কোম্পানি সেই লোকের কাছ থেকে গাড়িটা নিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে এককালীন নগদ টাকা দিয়ে টাটা কোম্পানি থেকে আমি সেই গাড়িটা কিনে ফেলি। গাড়িটা ২০২১ সালের মডেল এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। বলতে গেলে একেবারে নতুন গাড়ি। তাই আমি সবমিলিয়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করে গাড়িটা কিনি। যেহেতু আমি এককালীন নগদ টাকা দিয়ে গাড়িটা কিনেছিলাম,তাই অনায়াসে নাম পরিবর্তন হয়ে যাবে আমার নামে। তবে সেক্ষেত্রে মিনিমাম ৬ মাস সময় লাগে। যাইহোক আমি আবেদন করি যাত্রাবাড়ী লালমিয়া টাওয়ারে টাটার যে শাখা রয়েছে সেখানে। তারপর সেখানকার স্টাফ আলী রেজা ভাই, আমাকে টাটা কোম্পানির মহাখালী হেড অফিস এবং খিলগাঁও রেলগেইট এর পাশে যে টাটা কোম্পানির অফিস রয়েছে, সেখানকার মোবাইল নম্বর দেয়। আমাকে রেজা ভাই বলেছে মাঝেমধ্যে তাদেরকে ফোন দিয়ে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। যাতে করে তাড়াতাড়ি মালিকানা পরিবর্তন করা যায়।

যাইহোক আমি বেশ কয়েকবার ফোন করেছিলাম ওনাদেরকে। ওনারা বলেছিল ৬/৭ মাস লাগবে পুরো প্রসেসিং শেষ করতে। যাইহোক অবশেষে গত মাসে আমি খিলগাঁও রেলগেইট এর পাশে থাকা টাটা কোম্পানির অফিসে ফোন করে জিজ্ঞেস করি যে মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে কিনা। তিনি চেক করে আমাকে জানালো যে,সবকিছু কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। তারপর আমাকে বললো আমি সেখানে গিয়ে যেন সব ডকুমেন্টস নিয়ে আসি। এই কথাটি শোনার পর আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। কারণ প্রায় ৬ মাস ধরে অপেক্ষা করছিলাম এই কথাটা শোনার জন্য। আমি সেদিনই বেলা ১২ টার দিকে বাসা থেকে রওনা দেই। দুপুর ১.৩০ টার মধ্যেই খিলগাঁও রেলগেইট পৌঁছে যাই। তারপর টাটার অফিসে ঢুকলাম মালিকানা পরিবর্তনের সব ডকুমেন্টস নিতে। এরপর কি কি হলো সেটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।