প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি গত ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে করেছিলাম কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ থেকে। ফায়ারওয়ার্কস দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। দক্ষিণ কোরিয়াতে থাকতে বিভিন্ন জায়গায় ফায়ারওয়ার্কস দেখতে যেতাম। বিভিন্ন ধরনের উৎসবকে কেন্দ্র করে সেখানে ফায়ারওয়ার্কস করা হতো। তাছাড়া ফায়ারওয়ার্কস ফেস্টিভ্যাল হতো বছরে ১ বার। যাইহোক বাংলাদেশে আসার পর থেকে ফায়ারওয়ার্কস দেখার সুযোগ হয়নি। এবার কক্সবাজার যাওয়ার আগে কয়েকজনের কাছ থেকে শুনেছিলাম, কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচে নাকি ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে কনসার্ট হবে এবং ফায়ারওয়ার্কস করা হবে। আর এমনিতে শীতের সময় কক্সবাজার যেতে বেশ ভালো লাগে। তো সবমিলিয়ে আমরা প্ল্যান করেছিলাম আমরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে কক্সবাজার থাকবো। সেভাবে প্ল্যান করে ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখ রাতে আমরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং বাসায় এসেছিলাম ১৫ তারিখে।

যাইহোক ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে সন্ধ্যার পরপরই আমরা সুগন্ধা বিচে চলে গিয়েছিলাম। তবে কনসার্ট হয়নি সেদিন, কিন্তু ফায়ারওয়ার্কস দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আসলে সী বিচের মধ্যে এমন বিশাল জায়গায় ফায়ারওয়ার্কস করতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি দেখতেও ভীষণ সুন্দর লাগে। বিচের মধ্যে প্রচুর মানুষের আনাগোনা ছিলো সেদিন। আমরা রাত ১০ টা পর্যন্ত ফায়ারওয়ার্কস উপভোগ করে,সুগন্ধা বিচে থাকা কয়েকটি দোকানে ঘুরাঘুরি করেছিলাম। সেদিন কিছু শামুক এবং ঝিনুক কিনেছিলাম বাসার জন্য। তাছাড়া খুব সুন্দর করে নাম লিখিয়ে নিয়েছিলাম শামুক ও ঝিনুকের মধ্যে। সেগুলো আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক আমরা রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত বিচে ছিলাম সেদিন। তারপর হোটেলে ফিরে গিয়েছিলাম। যাইহোক অনেক দিন পর ফায়ারওয়ার্কস দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড দূর করে কোনো গান অ্যাড করে দিতে পারতাম। তাহলে আপনারা ফায়ারওয়ার্কস এর শব্দ মিস করতেন। সেটা ভেবেই আমি অরিজিনাল সাউন্ড রেখে দিয়েছি। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।