আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে হ্যালো টিচার। এই নাটকটি কিছুদিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং সারিকা সাবরিন। অপূর্বর নাটক দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ লাগে। সারিকার নাটক আগে অনেক দেখা হতো। তবে ইদানীং দেখা হয় না। অনেক দিন পর সারিকার নাটক দেখে অনেক ভালো লেগেছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক অপূর্ব পেশায় তেমন কিছু করে না। সারাদিন গান বাজনা এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ায় ব্যস্ত থাকে। এমনই একদিন অপূর্ব যখন তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল, তখন তার ভাবী ফোন দিয়ে বলে যে, তার ভাতিজিকে ম্যাডামের কাছে দিয়ে আসতে হবে। অপূর্ব এমনিতে বাসার কোনো কাজ করতে চায় না। কিন্তু তার ভাবী অনুরোধ করাতে অপূর্ব রাজি হয়ে যায়। তারপর তার ভাতিজিকে নিয়ে ম্যাডামের বাসায় যায়। ম্যাডাম আর কেউ নয়, সে হচ্ছে এই নাটকের নায়িকা সারিকা। অপূর্ব সারিকা কে প্রথম দেখায় খুব পছন্দ করে ফেলেছিল। শুধু পছন্দই না মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছিল। এককথায় যাকে বলে লাভ এট ফার্স্ট সাইড। যাইহোক বাসায় যাওয়ার পর অপূর্বর ভাতিজিকে এবং তার ভাবীকে বলে যে, এখন থেকে প্রতিদিন ভাতিজিকে নিয়ে ম্যাডামের কাছে দিয়ে আসবে।

এটা শুনে তো অপূর্বর ভাবী খুবই অবাক হয়ে যায়। পরের দিন অপূর্ব যখন সারিকার বাসায় গেল, তখন সারিকার হাতের চা খায়। বেশ ভালোই চলছিল ওয়ান সাইডেড লাভ। কিন্তু হঠাৎ করে অপূর্ব শুনে যে সারিকারা এই বাসা ছেড়ে চলে যাবে। কারণ এখান থেকে কিছুটা দূরে তাদের একটি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই তারা এখান থেকে চলে যাবে এবং অপূর্বর ভাতিজিকে এখন থেকে আর পড়াতে পারবে না। এই খবর শুনে অপূর্বর ভীষণ মন খারাপ। অপূর্ব প্রায়ই সারিকাকে দেখার জন্য রাস্তাঘাটে অপেক্ষা করে। এদিকে সারিকা তার বান্ধবীর সাথে অপূর্বর ব্যাপারে আলোচনা করে। সারিকার বান্ধবী সবসময় প্রেম পিরিতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং সারিকা কে বলে যে ভালো পাত্র ঠিক করে দিতে সে বিয়ে করবে। তখন সারিকা তার বান্ধবীকে বলে যে অপূর্বকে দেখলে তার পছন্দ হবে।

কিন্তু সারিকার বান্ধবী বলে যে অপূর্বর সাথে সারিকার প্রেম হয়ে যাবে। যাইহোক অপূর্ব যখন মন খারাপ করে তাদের বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলো,তখন তার বন্ধু অপূর্বর কাছে যায়। গিয়ে বলে যে বাসা থেকে তার বিয়ে ঠিক করেছে। সেজন্য অপূর্বর বন্ধু অপূর্বকে সাথে করে নিয়ে যেতে চায় পাত্রী দেখতে। কিন্তু অপূর্বর মন খারাপ বলে তার বন্ধুর সাথে যেতে রাজি হয় না। তখন অপূর্ব তার বন্ধুর কাছে সবকিছু শেয়ার করে এবং সারিকার ছবি দেখায়। তারপর তার বন্ধু চলে যায় একটি রেস্টুরেন্টে পাত্রী দেখার জন্য। গিয়ে দেখে পাত্রী আর কেউ নয় সারিকা। তখন অপূর্বর বন্ধু সারিকাকে সবকিছু খুলে বলে। সারিকা জানতে পারে অপূর্ব তাকে খুব বেশি ভালোবাসে। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

অপূর্বর রোমান্টিক নাটক গুলো দেখতে সবসময়ই খুব ভালো লাগে আমার। বরাবরের মতো অপূর্ব এবং সারিকা দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। আসলে ভালোবাসা বলে কয়ে আসে না। অনেক সময় এক দেখাতেই ভালোবাসা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমার মতে কাউকে ভালোবাসলে সাহস করে বলে দিতে হয়। নয়তো মনে মনে অনেক কষ্ট পেতে হয়। অনেক সময় সারাজীবন আফসোস করে যেতে হয়। তাই সময় থাকতে বলে দেওয়া উচিত। জীবনে ভালোবাসার মানুষকে পেলে আর কি লাগে। এর চেয়ে ভালো কিছুই হতে পারে না। সবমিলিয়ে দারুণ উপভোগ করেছি সম্পূর্ণ নাটকটি।

আমার রেটিং