ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (পঞ্চদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের চতুর্দশ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে পঞ্চদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা নাইক্ষ্যছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরাঘুরি করে, সিএনজি তে উঠে কলাতলী মেইন রোড অর্থাৎ হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। সিএনজি দিয়ে যেতে যেতে আশেপাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলাম। সেই রাস্তাটি আসলেই খুব সুন্দর। তারপর ঘন্টা খানেকের মধ্যে অর্থাৎ বিকেল ৪ টার মধ্যে আমরা কলাতলী মেইন রোডে পৌঁছে গেলাম।
আমরা তখন আমাদের হোটেলে না ঢুকে,একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম খাওয়া দাওয়া করার জন্য। কারণ বেশ কয়েক ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই ক্ষুধা পেয়েছিল। যাইহোক আমরা দু'জন রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে হোটেলে ঢুকলাম। কারণ প্রায় সারাদিন ঘুরাঘুরি করে শরীর কিছুটা ক্লান্ত লাগছিলো। তারপর আমরা হোটেল ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম এবং বিশ্রাম নিতে নিতে প্ল্যান করলাম সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত সুগন্ধা বীচে সময় কাটাবো। কারণ পরের দিন সকাল ১০.৩০ টার দিকে আমরা হোটেল থেকে চেক আউট করে গাড়িতে উঠবো বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আসলে কক্সবাজারে যতবারই যাই না কেনো,সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে বরাবরই মুগ্ধ হয়ে যাই। আসলে সমুদ্র একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে থাকে।
যেমন সূর্যোদয়ের সময় একরকম সৌন্দর্য ধারণ করে, সূর্যাস্তের সময় আরেক রকম সৌন্দর্য ধারণ করে, তাছাড়া বিকেল এবং রাতের বেলা ভিন্ন রকম সৌন্দর্য ধারণ করে থাকে। যাইহোক আমরা বিকেল বেলা অর্থাৎ সন্ধ্যার একটু আগে সুগন্ধা বীচে গেলাম সূর্যাস্ত দেখার জন্য। কারণ সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক সূর্যাস্তের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করে,আমরা সমুদ্র সৈকতে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম যে সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খাবো। আসলে এবারের কক্সবাজার ভ্রমণে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেয়েছিলাম। আর প্রতিদিনই ভিন্ন ধরনের মাছের ফ্রাই ট্রাই করেছিলাম। যাইহোক আমরা সেদিন টুনা মাছ,কাঁকড়া এবং চিংড়ি মাছ কিনেছিলাম ফ্রাই করে খাওয়ার জন্য।
সবমিলিয়ে খুব সম্ভবত ৫০০/৬০০ টাকা দিয়েছিলাম। যাইহোক অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই টুনা মাছ, কাঁকড়া এবং চিংড়ি মাছ গুলো ফ্রাই করে দিলো। তারপর আমরা টমেটো সস দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। তাছাড়া পাশেই গরম গরম পরোটা ভেজে বিক্রি করছিলো,তাই আমি ২ টা পরোটা নিয়েছিলাম টুনা মাছের ফ্রাই এর সাথে খাওয়ার জন্য। গরম গরম পরোটা দিয়ে টুনা মাছের ফ্রাই খেতে দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া কাঁকড়া ভাজা খেতেও দারুণ লেগেছিল। আমার ওয়াইফ শুধুমাত্র চিংড়ি মাছের ফ্রাই খেয়েছিল। সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেয়ে বিল মিটিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সুগন্ধা বীচে যাওয়ার। যাইহোক এরপর আমরা কক্সবাজার ট্যুরে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৭.৭.২০২৪ |
লোকেশন | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টগুলো দেখার মাধ্যমে অনেক কিছু দেখার ও জানার সুযোগ হয়েছে আমাদের। ইতোমধ্যে অনেকগুলো পোস্ট দেখেছি আবার আজকে ১৫ তম পর্ব দেখলাম। খুবই ভালো লাগলো কক্সবাজার সম্পর্কে এই সমস্ত ধারণাগুলো পেয়ে এবং দেখতে পেরে।
আপনাদেরকে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্যই কক্সবাজার ট্যুরের প্রতিটি পর্ব দারুণভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।