আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে আটকে আছি তোর মায়ায়। এই নাটকটি বেশ কিছু দিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল। তারা বেশিরভাগ রোমান্টিক নাটকে অভিনয় করে থাকে। তবে এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক অপূর্ব,কেয়া পায়েল এবং মৃদুল হাসানের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাসা থেকে। কেয়া পায়েল যখন তার মেয়ের জন্য খাবার তৈরি করছিল, সেই সুযোগে অপূর্ব এই কাজটি করে। যাইহোক বাচ্চা মেয়েটিকে অপহরণ করে অপূর্ব তার বাসায় নিয়ে যায়। বাচ্চা মেয়েটি অপূর্বর সাথে অনেক কথা বলে এবং অপূর্বর সাথে খুব সহজেই মিশে যায়। এদিকে কেয়া পায়েল এবং মৃদুল হাসান তাদের মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে যায়। সব জায়গায় খুঁজে না পাওয়ার পর,তারা থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। পুলিশরাও খোজাখুজি করার পর খুঁজে পায় না এবং তারা বেশ অবাক হয়।

কারণ অপহরণ করার পর সচরাচর ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তবে এমন কিছুই হয়নি বিধায় সবাই বেশ অবাক হয়। এদিকে অপূর্ব এবং বাচ্চা মেয়েটি বাহিরে ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছে। একদিন বাচ্চা মেয়েটি হঠাৎ করে অপূর্বকে বলে যে,আমি জানি তুমি আমার বাবা। এই কথাটি কেয়া পায়েল এর কাছে জানতে পারে বাচ্চা মেয়েটি। যাইহোক অনেক দিন পর অপূর্ব,বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে কেয়া পায়েল এবং মৃদুল হাসান এর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপর কাউকে না বলে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়েছে বলে তাদের কাছে ক্ষমা চায়। মূলত অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল প্রেম করে বিয়ে করে।

বিয়ের পর কেয়া পায়েল এর বাবা, তাদের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। তাদের একটি কন্যা সন্তান হয় এবং এই বাচ্চা মেয়েটি সেই মেয়ে। কেয়া পায়েল এর বাবা ষড়যন্ত্র করে অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল এর বিবাহের বিচ্ছেদ ঘটায়। তারপর মৃদুল হাসান ধনী বলে, কেয়া পায়েলকে তার সাথে বিয়ে দেয়। কেয়া পায়েলও অপূর্বকে ভুল বুঝেছিল। তবে তাদের ডিভোর্স এর পর কেয়া পায়েল জানতে পারে, সবকিছু হচ্ছে কেয়া পায়েল এর বাবার নাটক। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে এই নাটকটি একেবারে বাস্তবসম্মত। এই ধরনের ঘটনা বাস্তবে আমি অনেক দেখেছি। কিছু কিছু লোভী বাবা মা আছে, যারা নিজেদের মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পরও,অন্যের অর্থসম্পদ দেখে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চায়। তারা একবারও ভাবে না এতে করে তাদের মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আসলে লোভ একজন মানুষকে একেবারে নিচে নামিয়ে ফেলতে পারে। এই নাটকে কেয়া পায়েল এর বাবা ঠিক তেমনটা করেছে। পরবর্তীতে কেয়া পায়েল এর দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ার পর,কেয়া পায়েল এর দ্বিতীয় স্বামী কেয়া পায়েল এবং তার মেয়েকে মেনে নেয়। হয়তো বাস্তবে সবাই কেয়া পায়েল এর মতো ভাগ্যবতী হয় না। যাইহোক সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে। নাটকটি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

আমার রেটিং