আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে দুটি হৃদয়। এই নাটকটি প্রায় তিন মাস আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল। অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল এর নাটক দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ লাগে। এই নাটকটি রোমান্টিক, তাই আরো বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক অপূর্ব এবং নায়িকা কেয়া পায়েল বিদেশে পড়াশোনা করে। অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল একে অপরের আত্মীয়। পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে অনেক আগেই। অপূর্বর বাবা মা প্লেন দুর্ঘটনায় মারা যায়। যাইহোক অপূর্বর নানু এবং কেয়া পায়েল এর দাদু সকাল বেলা পার্কে বসে গল্প করার সময় তাদের বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করে। তারপর কেয়া পায়েল এর বাসায় গিয়ে সবাই মিলে প্ল্যান করে যেভাবেই হোক অপূর্ব এবং কেয়া পায়েলকে বাংলাদেশে আনতে হবে। কারণ তাদের ইউনিভার্সিটির ছুটি চলছিল। অপূর্বর নানু অপূর্বকে ভিডিও কল দিয়ে অসুস্থতার অভিনয় করে বাংলাদেশে আসতে বলে। অপরদিকে কেয়া পায়েল এর দাদুও একই কাজ করে। অবশেষে অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল বাংলাদেশে আসার পর জানতে পারে যে, তাদেরকে আনা হয়েছে বিয়ে দেওয়ার জন্য।

কিন্তু তারা দুজন একে অপরকে একেবারে সহ্য করতে পারে না। তাই তারা কিছুতেই একে অপরকে বিয়ে করতে রাজি হয় না। এদিকে অপূর্ব সিদ্ধান্ত নেয়, যে কয়দিন বাংলাদেশে আছে সেই কয়দিন বাড়িতে থাকবে না। তাই সে একটি রিসোর্ট ভাড়া নিয়েছে। বাসায় সারাক্ষণ কেয়া পায়েলকে বিয়ে করার কথা বলে বিধায় অপূর্ব বাসা ছেড়ে রিসোর্টে চলে যাবে। এদিকে অপূর্বর নানু এবং কেয়া পায়েল এর দাদু, কেয়া পায়েলকে সাথে নিয়ে সেই রিসোর্টে উঠে যায় অপূর্বর সাথে। যদিও অপূর্ব এই ব্যাপারে দ্বিমত করেছিল। তবে রিসোর্টের মধ্যে থাকা অবস্থায়ও তাদের দুজনের মধ্যে খুনসুটি চলতেই থাকে। অপূর্বর নানু এবং কেয়া পায়েল এর দাদু কোনোভাবেই তাদের দুজনকে রাজি করাতে পারছে না বিয়ের জন্য। অবশেষে দুইজন প্ল্যান করে যে,তারা দুইজন ঝগড়ার অভিনয় করবে। একদিন রাতে তারা দুইজন ঝগড়া করে। তাদের ঝগড়া অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল দেখে বেশ অবাক হয়।

ঝগড়ার মধ্যে তারা দুজন বলতে থাকে তোমার নাতি খারাপ, তোমার নাতনি খারাপ। সেজন্য তারা বিয়ে করতে রাজি হয় না। এগুলো দেখে কেয়া পায়েল এবং অপূর্বর খুব খারাপ লাগে। মুরুব্বি দুইজন রাগারাগি করার পর পরের দিন সবাই বাসায় চলে আসে রিসোর্ট থেকে। এই ঘটনার পর অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল একে অপরের ব্যাপারে ভাবতে শুরু করে। দুজন দুজনকে মনে মনে ভালোবাসতে শুরু করে। অপূর্ব কেয়া পায়েল এর দাদুর কাছে বলে যে, সে কেয়া পায়েলকে বিয়ে করতে রাজি। তখন কেয়া পায়েল এর দাদু বলে, এখন বলে আর কোনো লাভ নেই। কারণ কেয়া পায়েল এর বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক করে ফেলেছে। ইতিমধ্যে বাসায় বিয়ের আয়োজনও করা হয়ে গিয়েছে। এভাবেই চলতে থাকে নাটকের কাহিনী। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

অপূর্বর রোমান্টিক নাটক গুলো দেখতে সবসময়ই খুব ভালো লাগে আমার। একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি নাটক এটি। শুরুতে দুজনের মধ্যে বেশ খুনসুটি হতো। তবে আস্তে আস্তে সেই খুনসুটিগুলো প্রেমে পরিণত হলো। অনেক সময় বাস্তবেও এমন হয়ে থাকে। অনেক সময় ঝগড়াঝাটি এবং খুনসুটি হয় ঠিকই, কিন্তু গভীরভাবে ভাবলে দেখা যায় সেই মানুষটা দূরে থাকলে খুব মিস করে। এভাবেই ভালোবাসতে শুরু করে একে অপরকে। এই নাটকে দুই পরিবার আগে থেকেই বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল। তবে তারা দুইজন প্রথমে রাজি ছিলো না। পরে কিন্তু রাজি হয়ে অনুরোধ পর্যন্ত করে। আসলে কোনো কিছু সহজে পেয়ে গেলে আমরা অনেক সময় সেটার মূল্যায়ন করি না। তবে এটা ঠিক নয়। কারণ সাধা লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা ঠিক না। আর পরিবার আমাদের জন্য সবসময় ভালো চিন্তা ভাবনাই করে। এই নাটকে সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে।

আমার রেটিং