রেসিপি পোস্ট || চাল কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। তবে বেশিরভাগ সময় আমি চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করে থাকি। কারণ এই দুটি মাছ আমার খুব প্রিয়। তবে মাঝে মধ্যে চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই ভাবনা থেকেই চাল কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছিলাম। কয়েকদিন আগে বাজার থেকে প্রায় ৩ কেজি ওজনের কাতলা মাছ কিনে এনেছিলাম। কাতলা মাছ ভালো করে ভেজে রান্না করায় খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। সবমিলিয়ে রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়েছিল। এই গরমে ঝোল ঝোল রেসিপি খেতে দারুণ লাগে। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
চাল কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কাতলা মাছ | ৫ পিস |
চাল কুমড়া | ১ টা |
পেঁয়াজ | ২ টা |
কাঁচামরিচ | ৩ টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়ার গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমেই আগে থেকে কেটে রাখা চাল কুমড়ার মধ্যে হালকা হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ মাখিয়ে নিলাম হালকা ভেজে নেওয়ার জন্য।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে চাল কুমড়া ভেজে, আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে নিব।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
এরপর কাতলা মাছের টুকরো গুলো ভেজে আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
তারপর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,রসুন বাটা,ধনিয়ার গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম কষানোর জন্য।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
এরপর ভেজে রাখা চাল কুমড়া দিয়ে মসলা গুলোর সাথে একটু কষিয়ে নিলাম।
🍲সপ্তম ধাপ🍲
তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম ঝোল করার জন্য। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব।
🍲অষ্টম ধাপ🍲
একটু পর ঢাকনা খুলে দেখি পানিতে বলক চলে এসেছে। তারপর ভেজে রাখা মাছ গুলো এবং কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম ৭/৮ মিনিটের জন্য।
🍲নবম ধাপ🍲
৭/৮ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখি ঝোল অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। তারপর কেটে রাখা ধনিয়া পাতা গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর চুলা বন্ধ করে দিলাম। আর এভাবেই রেসিপিটা তৈরি করে ফেললাম।
🍲পরিবেশনা🍲
তারপর ডিনারের সময় পরিবেশন করলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৫.৭.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
তিন কেজি ওজনের কাতলা মাছ নিঃসন্দেহে সুস্বাদু হবে। চালকুমড়া দিয়ে তরকারিটা ভীষণ লোভনীয় স্বাদের হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন পোস্টটি। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, বড় সাইজের কাতলা মাছ এমনিতেই খুব সুস্বাদু লাগে খেতে। রেসিপিটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছিল। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
Twitter Link
চিংড়ি মাছ আর ইলিশ মাছ এমন একটি মাছ এ দুটি মাছ মনে হয় সবারই কম বেশি পছন্দ । আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে মাছগুলো । তবে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপিটি কিন্তু ভালো হয়েছে । চাল কুমড়া দিয়ে এভাবে করে যে কোন মাছের তরকারি রান্না করলে খেতে ভালোই লাগে ।
চাল কুমড়া আমি তেমন পছন্দ করি না। তবে চাল কুমড়া ভেজে রান্না করায়,খেতে খুব সুস্বাদু লেগেছিল। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার রেসিপির কালারটা জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।আপনি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন,এটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে।রেসিপি পরিবেশন দুর্দান্ত হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু রেসিপিটা খেতে খুব সুস্বাদু লেগেছিল। এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। আশা করি দারুণ লাগবে খেতে। এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
যদিও আমি কাতলা মাছ খাই না তবে আপনার রেসিপিটি অনেক চমৎকার হয়েছে। রং দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার জন্য অসংখ্য শুভকামনা রইল।
বড় সাইজের কাতলা মাছ খেতে দারুণ লাগে আপু। সম্ভব হলে খেয়ে দেখবেন। এভাবে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি খুবই লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। চাল কুমড়া ভাজি খেয়েছি আর চিংড়ি মাছ দিয়ে খেয়েছি। কিন্তু এভাবে কখনো বড় মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বড় মাছ দিয়ে যেহেতু চাল কুমড়া কখনো খাওয়া হয়নি আপনার। তাহলে অবশ্যই এভাবে খেয়ে দেখবেন আপু। আশা করি দারুণ লাগবে খেতে। এমন অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কাতলা মাছ দিয়ে চালকুমড়া রেসিপি চমৎকার হয়েছে। তবে আপনি দেখছি চালকুমড়া গুলো ভেজে নিয়েছেন। আপনার মতো এভাবে কখনো কাতলা মাছের রেসিপি তৈরি করিনি।আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চাল কুমড়া ভেজে নেওয়ায় রেসিপির স্বাদ অনেক বেড়ে গিয়েছে। পোস্টটি দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চাল কুমড়া সবজি খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। চাল কুমড়া দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই অসাধারণ হয়েছে। রন্ধন প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দুনিয়া পাতা দেওয়াতে তরকারি বেশ সুঘ্রাণ হবে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, ধনিয়াপাতা দেওয়াতে সুঘ্রাণ এসেছিল। সবমিলিয়ে খুব সুস্বাদু লেগেছিল খেতে। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।