প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে গুরুতর আহত পোস্টের (শেষ) পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন রাশেদ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। রাশেদ গ্লাস নামানোর সময়,রাশেদের গলায় ছুরি ধরে গাড়ির দরজা খুলতে বলে। তারপর দুইজন লোক গাড়িতে উঠে যায় তৎক্ষনাৎ। অন্ধকার ছিলো বিধায় অন্য কেউ তেমন খেয়াল করেনি ব্যাপারটা। রাশেদের কাছে ১৬ হাজার টাকা ছিলো এবং একটি মোবাইল ছিলো। ছিনতাইকারীরা সবকিছু নিয়ে যেতে চাইলে রাশেদ বাঁধা দেয়।

Source

এক পর্যায়ে জোরজবরদস্তি শুরু হয়ে যায়। এরইমধ্যে জ্যামও ছুটে যায়। রাশেদের গলায় ছুরি ধরে ছিনতাইকারীদের কথামতো রাশেদকে গাড়ি চালাতে বলে। তারপর খুব নিরিবিলি একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে,তাদের গ্রুপের আরো কয়েকজন সহ, রাশেদের হাতের রগ কেটে দেয়। রাশেদের সবকিছু নিয়ে তারা চলে যায়। রাশেদ মোগরাপাড়া পৌঁছানোর আগেই গাড়ির মালিককে ফোন করে বলেছিল, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি গ্যারেজে রাখতে আসবে এবং টাকা দিবে। তারপর গাড়ির মালিক অনেক খোজাখুজি করার পর রাশেদকে আহত অবস্থায় পায়। তারপর হসপিটালে ভর্তি করার পর সবকিছু জানতে পারে।

রাশেদের অবস্থা সত্যিই গুরুতর ছিলো। ছিনতাইকারীরা রাশেদের সবকিছু নিয়ে গেল এবং খুবই বাজেভাবে আহত করলো। রাশেদ যদি জোড়াজুড়ি না করে ১৬ হাজার টাকা এবং মোবাইল দিয়ে দিত,তাহলে হয়তোবা রাশেদকে ছিনতাইকারীরা এমন ক্ষতি করতো না। কিন্তু টাকার মায়া সবারই আছে। কেউ সহজে নিজের কষ্টার্জিত টাকা কাউকে এভাবে দিতে চায় না। যাইহোক কয়েকদিন আগে আমি রাশেদকে দেখতে গিয়েছিলাম তার বাসায়। এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছে রাশেদ। রাশেদ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো বিচার পেল না। হয়তোবা চেষ্টা করলে আসামীদেরকে সাময়িকভাবে সাজা দিতে পারতো।

কিন্তু রাশেদ জানে এতে করে তেমন কোনো লাভ হবে না। মামলা করলেও আসামীরা ঠিকই জেল থেকে বের হয়ে যাবে। আর এভাবেই দিনদিন বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম। যাইহোক আমাদের পাশের একটি মহল্লায় ভোরবেলা প্রায়ই ছিনতাইকারীরা পথচারীদের টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। এমনকি সন্ধ্যার পরও মাঝে মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। এগুলো কিন্তু এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সকলেরই জানা রয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে কারো কোনো পদক্ষেপ নেই। আসলে ভোরবেলা এবং রাতের বেলা এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। তাই আমাদের উচিত আরো বেশি সতর্ক হওয়া। কারণ যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের বিপদের সম্মুখীন আমরা হতে পারি। মনে রাখবেন একটি দুর্ঘটনা, সারা জীবনের কান্না।