প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের সমাজে ছিনতাই, রাহাজানি এবং বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম দিনদিন বেড়েই চলেছে। ভাবতে অবাকই লাগে স্বাধীন দেশে আমরা পরাধীন নাগরিক হয়ে বেঁচে আছি। বাসা থেকে বের হলে কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না সুস্থভাবে বাসায় ফেরত আসতে পারবে কিনা। কারণ রাস্তা ঘাটে মানুষ প্রতিনিয়ত বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। দিনদিন যেন দুষ্কৃতকারীদের সাহস বাড়ছে। তাদের সাহস বাড়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে সুষ্ঠু বিচারের অভাব। যদি সুষ্ঠু বিচার হতো তাহলে দ্বিতীয় বার এমন অপকর্ম করার সাহস পেত না কেউ।

Source

যদি উন্নত দেশের দিকে আমরা তাকাই, তাহলে এই ধরনের অপকর্ম চোখে পড়বে না। দীর্ঘদিন সাউথ কোরিয়াতে ছিলাম বিধায়, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি এগুলো। সারারাত কোটি কোটি টাকা নিয়েও যদি রাস্তায় কেউ হাঁটে, তবুও কোনো ছিনতাইকারী ধরবে না। মেয়েরা রাস্তায় অনেক রাত পর্যন্ত হাঁটাহাঁটি করলেও কোনো বিপদের সম্মুখীন হয় না। কারণ সেখানকার আইনকানুন খুব কড়াকড়ি। কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। এসব দেখে অবশ্যই শিক্ষা নেওয়া উচিত আমাদের। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক,আমাদের মহল্লার একটি ছেলে,নাম হচ্ছে রাশেদ। সে একজন পিকআপ ড্রাইভার।

তার সাথে মূলত আমার পরিচয় পিকআপ এর সূত্র ধরেই। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় এর সাথে জড়িত আছি বছর দুয়েক ধরে। সাত মাস আগে প্রথম বারের মতো আমি একটি পিকআপ গাড়ি কিনি। সেই পিকআপ গাড়িটি অন্য একজন ড্রাইভার চালাচ্ছে এবং আলহামদুলিল্লাহ গাড়িটা খুব ভালো চলছে বিধায়, রাশেদকে বলেছিলাম আরো একটি পিক গাড়ি কিনবো, যদি রাশেদ আমার গাড়িটি চালায়। কিন্তু রাশেদ আমাদের মহল্লার অন্য একজনের পিকআপ চালাচ্ছে বিধায়, আমাকে গাড়িটি পরে কিনতে বলে।

আসলে ভালো ড্রাইভার না হলে গাড়ি কিনলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। যাইহোক ঈদুল আযহার কিছুদিন আগে, রাশেদ যে গাড়িটি চালায়,সেই গাড়িতে তুলা লোড করে নিয়ে গিয়েছিল কুমিল্লায়। কুমিল্লা থেকে বাসায় আসার সময়, সোনারগাঁও মোগরাপাড়ার দিকে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। রাস্তায় তখন কিছুটা জ্যাম ছিলো বিধায়, রাশেদ গাড়িটি ব্রেক করে গাড়িতে বসেছিল। মাগরিবের কিছুক্ষণ পর এই ঘটনাটি ঘটে। রাশেদকে প্রথমে একজন লোক গাড়ির গ্লাস নামাতে বলে। রাশেদও তাদের কথামতো গাড়ির গ্লাস নামায়। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)