জেনারেল পোস্ট || ব্যতিক্রমধর্মী একটি ঈদের দিন যেভাবে কাটালাম
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করবো ঈদের দিন কিভাবে কাটালাম সেই প্রসঙ্গে। প্রথমেই সবাইকে ঈদুল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম ঈদের দিন আপনাদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করবো। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য পোস্টটি শেয়ার করা হয়নি। যাইহোক ঈদের দিনের আগের রাত থেকেই শরীরে হালকা জ্বর ঠান্ডা অনুভব করছিলাম। তবে মেডিসিন খাইনি রাতে। মোবাইলে এলার্ম সেট করে রাখলাম সকাল ৬.৪৫ মিনিটে উঠার জন্য। কারণ ঈদের জামাআত হচ্ছে সকাল ৮টায়।
আমাদের এখানে ঈদগাহ নেই বিধায় ঈদের জামাআত মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। যাইহোক এলার্ম বেজে উঠার পর ঘুম ভাঙলো। ঘুম ভাঙার পর শরীরটা আরো বেশি খারাপ লাগছিল। কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে থেকে সকাল ৭টার দিকে বিছানা থেকে উঠলাম। তারপর বাথরুমে গিয়ে গোসল করলাম। গোসল করার পর জ্বরের মাত্রা মনে হচ্ছে আরো একটু বেড়ে গিয়েছিল। যাইহোক রেডি হয়ে একটু সেমাই খেয়ে,সকাল ৭টা ৩০ এর দিকে ছাতা নিয়ে মসজিদে চলে গেলাম ঈদের নামাজ আদায় করতে। তখনও ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল ৮ টার দিকে যথারীতি ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ আদায় করে খুৎবা শুনে মোনাজাত শেষ করে বাসায় চলে আসলাম। অনেক বৃষ্টি ছিলো এবং শরীর খারাপ ছিলো বিধায় কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করতে যাওয়া হয়নি। যাইহোক বাসায় এসে অল্প কিছু খেয়ে নিলাম। কোরবানির পশু কাটাকাটি করার জন্য ৪/৫ জন লোক আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। তারা ৯টার দিকে এসে আমাকে ডাক দেওয়ার পর আমি বাসা থেকে বের হলাম। তারপর মসজিদের ইমাম সাহেবকে খবর দিলে,তিনি এসে কোরবানির পশু জবাই করে দিয়েছিল। তখন আবার বৃষ্টি আসেনি। তবে চামড়া ছোলার শেষের দিকে আবারো ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। তাই কয়েকজন অনেকটা ভিজে গিয়েছিল।
চামড়া ছোলা শেষ হলে আমাদের বাসার গ্যারেজে মাংস কাটাকাটি করা হলো। তখনও বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে বৃষ্টির জন্য আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি তখন। যাইহোক তারপর পশুর মাংস আত্মীয় স্বজন এবং গরিবদের মধ্যে বন্টন করলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া করে লম্বা একটা ঘুম দিলাম। কারণ এমনিতেই শরীর খারাপ ছিলো। আবার এমন বৃষ্টির দিনে ঘুমাতে অনেক ভালো লাগে আমার। ঘুম থেকে উঠে দেখি সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। এভাবেই ব্যতিক্রমধর্মী একটি ঈদের দিন কাটালাম। ব্যতিক্রমধর্মী বলার কারণ হচ্ছে প্রথমত অসুস্থ ছিলাম এবং দ্বিতীয়ত সারাদিন খুব বৃষ্টি ছিলো,তাই কোথাও ঘুরতে যার হয়নি। এমনিতে ঈদের সময় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া হয় ঈদের দিন বিকেলে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.৭.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
ভাইয়া আপনাদের এখানে ঈদ গাহ মাঠ নাই কেন?? আপনার জন্য অনেক অনেক সুস্থতা কামনা করছি ।ভাইয়া আশা করি আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। ভালোই বলেছেন ভাইয়া গরু কাটার জন্য আগে থেকে কয়েকজন লোক ঠিক করে রেখেছেন, তা না হলে আপনি অসুস্থ শরীর নিয়ে কিছুই করতে পারতেন না । ভালো লাগলো শুনে যে বৃষ্টির কারণে আপনার কোন সমস্যা হয়নি। ঠিক বলেছিলেন বৃষ্টির দিনে কিন্তু ঘুমাতে আসলেই বেশি ভালো লাগে। আর যেহেতু অসুস্থ তাহলে তো কথাই নেই।
ঈদগাহ একটু দূরে আছে, হেঁটে গেলে ১০/১২ মিনিট সময় লাগে। আর মসজিদ হচ্ছে বাসার একেবারে কাছে। মাত্র ২ মিনিটের রাস্তা। তাই ঈদগাহে যাওয়া হয় না। হ্যাঁ আপু আমি চেষ্টা করি সবসময় লোক ঠিক করে রাখতে। কারণ হঠাৎ করে একদিন কাটাকাটি করলে শরীর ব্যাথা হয়ে যায়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ঈদের ব্যস্ত কর্মসূচি সবার কাছেই বেশ পরিচিত। ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনার শরীর খুব খারাপ হয়েছিল জেনে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে কোরবানির পশু কাটার জন্য আপনারা চার থেকে পাঁচ জন লোক ঠিক করে লিখেছিলেন আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। কিন্তু আমাদের এলাকাতে কোরবানির পশু নিজে নিজেই কাটা হয় আসলে নিজের কাজ নিজে করতে বেশ ভালো লাগে।
আমাদের এদিকেও অনেকে নিজেদের কোরবানির পশু নিজেরাই কাটাকাটি করে। তবে আমার কাছে বেশ ঝামেলার মনে হয় এই কাজগুলো। তাই আগে থেকেই লোকজন ঠিক করে রাখি আমি। যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এবার সবার ঈদই একই রকম কেটেছে ঘর বন্দী। বৃস্টির জন্য কেউ কোথাও বেড়াতে যেতে পারেনি। বাসায় কাজ করে,টিভি দেখে আর ঘুমিয়ে ঈদ শেষ হয়ে গেছে। বর্ষা কালে ঈদ মানেই বৃষ্টি।তবে এবার বৃষ্টির পরিমাণটা একটু বেশি।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ঈদের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে এই ঈদে। তাই এবার ঘরবন্দী থাকতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে আপনাকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই, ঈদ মোবারক। ঈদের দিন বেশ ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটিয়েছেন। আসলে কোরবানি ঈদে আমাদেরকে ব্যস্ত থাকতে হয়। কারণ পশু জবাই মাংস বন্টন সহ আত্মীয়-স্বজন সকলে নিকট মাংস পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে। আপনার ঈদের দিনে অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো । ঈদের দিনের অনুভূতি গুলো চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাই এবারের ঈদে শরীর খারাপ ছিলো এবং ঝুম বৃষ্টি হওয়াতে ঈদের দিন তেমন ভালো কাটেনি আমার। যাইহোক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখছি ঈদের দিন অসুস্থ হয়ে পড়লেন তবে বেশ আনন্দ করতে পারলেন না খারাপ লাগলো। তারপরও আপনি নিয়ম মাফিক সব গুলো নিয়ম-কানুন মেনে ঈদ কাটালেন বেশ ভালো লাগলো। এমন সময় যদি বৃষ্টি হয় পরিবেশ অনেক বেশি বিশ্রি হয়ে যায়। তারপরও বাড়ির গ্যারেজের ভেতর কাটাছেড়া করতে পারলেন অনেক ভালো লাগলো।
অসুস্থ হওয়ার পরও চেষ্টা করেছি সবকিছু ঠিকমতো করানোর জন্য। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে ভাইয়া আপনার সুস্থতা কামনা করি। তবে অনেক জায়গা আছে ঈদ গায়ে ব্যবস্থা না থাকলে মসজিদে নামাজ পড়ে। অসুস্থতা নিয়ে আপনি ঈদের নামাজে গেলেন। তবে বৃষ্টি বেশি হলো আপনাদের সুবিধা হল গাড়ির গ্যারেজে মাংসগুলো কাটলেন। আসলে এটি মুসলমানদের বড় একটি দিন। তবে বৃষ্টির কারণে আমাদের এদিকে গরুর মাংস কাটতে অনেক সমস্যা হয়েছে। যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে ভালই লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এদিকেও বৃষ্টির জন্য মাংস কাটাকাটি করতে অনেকের খুব সমস্যা হয়েছে। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।