ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের পঞ্চম পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমরা ইনানী বিচ থেকে সিএনজি তে চড়ে মিনি বান্দরবান এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। ইনানী বিচ থেকে মিনি বান্দরবানের দূরত্ব ৮/৯ কিলোমিটারের মতো। তাই আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই মিনি বান্দরবান পৌঁছে গিয়েছিলাম। এর আগে বেশ কয়েকবার কক্সবাজার গেলেও, মিনি বান্দরবান স্পটের কথা আমি জানতাম না। তবে সিএনজি ড্রাইভার আমাদেরকে বলেছিলো মিনি বান্দরবান এর কথা। তো সিএনজি ড্রাইভারের কথা অনুযায়ী মূলত আমরা মিনি বান্দরবান গিয়েছিলাম। যাইহোক মিনি বান্দরবান পৌঁছে দেখলাম যে মানুষের প্রচুর ভিড়।
আসলে কক্সবাজারে গেলে আগে সবাই শুধু হিমছড়ি পাহাড়েই উঠতো। কিন্তু এখন মিনি বান্দরবান পাহাড়েও উঠতে পারে। মোটকথা কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত দেখার পাশাপাশি পাহাড় দেখার আনন্দটাই অন্য রকম। যদিও আমি পাহাড়ের চেয়ে সমুদ্র সৈকত বেশি পছন্দ করি। যাইহোক মানুষের উপস্থিতি দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো মিনি বান্দরবান বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা। বিশেষ করে মিনি বান্দরবানের পাকা রাস্তাটা আমার খুবই ভালো লেগেছিল। যাইহোক প্রচন্ড রোদের মধ্যেই আমরা পাহাড়ে উঠার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ মিনি বান্দরবান ঘুরাঘুরি করার পর আমাদের আরও কয়েকটি স্পট ঘুরতে হবে। পাহাড়ে উঠার সময় খেয়াল করলাম হিমছড়ি পাহাড়ে উঠার জন্য যেমন সিঁড়ি রয়েছে, তেমন সিঁড়ি মিনি বান্দরবানে নেই। মোটকথা সতর্কতা অবলম্বন করেই পাহাড়ের উপরে উঠতে হবে। কারণ সিঁড়ি এবং সিঁড়ির রেলিং থাকলে ধরে ধরে উপরে উঠা যায়।
তবে মিনি বান্দরবানের পাহাড় হিমছড়ি পাহাড়ের মতো ততোটা উঁচু নয়। যাইহোক আমরা দু'জন সাবধানতা অবলম্বন করে উপরে উঠার পর, একজন ক্যামেরাম্যান আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলো ছবি তুলবো কিনা। আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করার পর সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলো। তারপর আমরা দু'জন ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে নিজেদের বেশ কিছু ছবি উঠিয়ে রাখলাম স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য। তবে কক্সবাজার ট্যুরে গেলে আপনারা একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন, ক্যামেরাম্যানরা কিন্তু অনেক বেশি ছবি তুলে ফেলে। মানে একই স্টাইলের ছবি বারবার তুলতে থাকে,যাতে করে পরবর্তীতে আমাদের বাছাই করতে ঝামেলা মনে হয় এবং আমরা যাতে বলি সবগুলো ছবি দিয়ে দিতে। মূলত বাছাই করে ছবি নিলে প্রতি পিস ৫ টাকা এবং সবগুলো নিলে প্রতি পিস ৩ টাকা। অনেকে দেখলাম ক্যামেরাম্যানদের সাথে রাগারাগিও করে বাড়তি ছবি তুলে বলে। যাইহোক আমি ক্যামেরাম্যানকে বলেছিলাম ভালো করে ২০ টা ছবি তুলে দিতে, তাহলে ১০০ টাকা দিবো।
তো কথা অনুযায়ী ঠিকঠাক মতো ছবি তুলে দেওয়ার পর, টাকা দিয়ে ছবি গুলো আমার মোবাইলে নিয়ে নিলাম ক্যামেরাম্যানের কাছ থেকে। তারপর আমরা পাহাড়ে ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম। পাহাড়ের উপর থেকে যখন চারিদিকে তাকাচ্ছিলাম,শুধু সবুজ আর সবুজ গাছগাছালি ভরা। এককথায় বলতে গেলে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। ফাঁকে ফাঁকে আমি ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। পাহাড়ের উপরে আঁকাবাঁকা রাস্তা দেখে খুব ভালো লেগেছিল। প্রচন্ড রোদ ছিলো বিধায় মোটামুটি অনেকক্ষণ পাহাড়ের উপর থাকার পর সিদ্ধান্ত নিলাম যে পাহাড় থেকে নেমে যাবো। পাহাড় থেকে নেমে রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর আমরা সিএনজি তে উঠে কাঁকড়া বিচের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যাইহোক কাঁকড়া বিচে গিয়ে আমরা কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২১.৫.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে কক্সবাজার কয়েকবার যাওয়া হয়েছে কিন্তু এই মিনি বান্দরবান যাওয়া হয়নি। মেরিন ড্রাইভ সেই মুহূর্তটা অনেক সুন্দর ইনানী বিচে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম। আপনি দেখছি মিনি বান্দরবান খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনার মত আমার কাছে পাহাড় থেকে সমুদ্র অনেক প্রিয় । আপনার কাটানো মুহূর্ত সেখানকার দৃশ্য পটভূমি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
কক্সবাজারে গিয়েছি আমি অনেকবার কিন্তু কক্সবাজারের মিনি বান্দরবান যাওয়া হয়নি। আবার গেলে অবশ্যই সেখানে যেতে হবে দেখছি। আপনি দারুণভাবে মিনি বান্দরবনের সৌন্দর্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার ভ্রমন কাহিনীটি পড়ে খুব ভালো লাগলো
পরবর্তীতে কক্সবাজার গেলে অবশ্যই মিনি বান্দরবান যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া, আমি মিনি বান্দরবান এই নামটা আজকেই প্রথম শুনলাম। এমনকি এটা যে কক্সবাজারের কাছে সেটাই জানতাম না। এর আগে যখন কক্সবাজার গিয়েছিলাম আমাদের আসলে এই জায়গাটায় যাওয়া হয়নি। তবে জায়গাটা দেখছি খুবই সুন্দর। বিশেষ করে সমুদ্রের পাশে এইরকম পাহাড় দেখার সুযোগ রয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আসলে আমরা কখনো ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলিনি। তাই জন্য এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। তবে আপনারা দুইজনে ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে ফটোগ্রাফারের ব্যাপারে আপনার বলা কথাটা মাথায় রাখবো।
হ্যাঁ আপু মিনি বান্দরবান জায়গাটি আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা আছে এইবার কক্সবাজার ঘুরতে যাব আমিও। মিনি বান্দরবান জায়গাটা দেখছি ভীষণ জমজমাট। লোকে লোকারণ আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলিও সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাহাড়ে ওঠার আমার অনেক বেশি শখ। তবে এরকম জায়গাগুলোতে গেলে বেশিরভাগ সময় ক্যামেরাম্যানের সাথে ঝগড়া বেঁধে যায় তার কারণ তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ছবি তুলে ফেলে। তবে আশা করছি পরবর্তী পর্বে আপনি একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করবেন ভাইয়া যাতে আমরাও কিছুটা বান্দরবানের সৌন্দর্য ফিল করতে পারি।
কক্সবাজার ঘুরতে গেলে অবশ্যই মিনি বান্দরবান যাওয়ার চেষ্টা করবেন ভাই। আশা করি দারুণ লাগবে সেখানে। মিনি বান্দরবানের ভিডিওগ্রাফি বেশ কিছুদিন আগে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।